আ.লীগ বা বিএনপির মেরুকরণে নেই বাম জোট

মুজাহিদুল ইসলাম সেলিম
মুজাহিদুল ইসলাম সেলিম

বাংলাদেশের কমিউনিস্ট পার্টির (সিপিবি) সভাপতি মুজাহিদুল ইসলাম সেলিম বলেছেন, আওয়ামী লীগ বা বিএনপির মেরুকরণের সঙ্গে বাম জোট যাবে না।

আজ বৃহস্পতিবার দুপুর পৌনে ১২টার দিকে পূর্বঘোষণা অনুযায়ী বাম গণতান্ত্রিক জোট জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে সমাবেশ করে। ‘জনগণের ভোটের অধিকার প্রতিষ্ঠা, অবাধ ও নিরপেক্ষ নির্বাচনের গণতান্ত্রিক পরিবেশ নিশ্চিত করার দাবিতে’ নির্বাচন কমিশন ঘেরাও সমাবেশের আয়োজন করে এ জোট।

সমাবেশে সিপিবি সভাপতি মুজাহিদুল ইসলাম সেলিম বলেন, ‘অনেকে প্রচার করে বেড়াচ্ছেন বাম জোটের সঙ্গে বিএনপিসহ কয়েকটি দলের একটা মেরুকরণের জন্য চেষ্টা চলছে। চেষ্টা করেন, কোনো লাভ হবে না। বাম জোট আমরা পরিষ্কার সিদ্ধান্ত নিয়েছি-আওয়ামী লীগ বা বিএনপির সঙ্গে প্রত্যক্ষ বা পরোক্ষ কোনো মেরুকরণে বামপন্থীরা যাবে না।’ তিনি আরও বলেন, বাম জোট নিজেদের শক্তির ওপর দাঁড়িয়ে লড়াই করবে। এ লড়াইয়ে যাদের পাওয়া যাবে তাদের পরামর্শ নিয়ে চালাবেন। টেবিলে বসে আমরা আওয়ামী লীগ বা বিএনপি মেরুকরণের অংশীদার হওয়াকে ঘৃণাভরে প্রত্যাখ্যান করি।’

এখনকার নির্বাচন প্রহসনের নির্বাচন উল্লেখ করে সিপিবি সভাপতি বলেন, ‘শেখ হাসিনার প্রহসন হল ম্যাজিক প্রহসন। তাঁর প্রহসন কিচ্ছু টের পাবেন না। কিন্তু ভেতরে-ভেতরে কারবার হয়ে যায়।’ তিনি বলেন, নির্বাচনকালীন সরকার বলে কোনো শব্দ সংবিধানে নেই। শেখ হাসিনার অধীনে সংসদ নির্বাচন হবে-এমন কথা বলাও সংবিধান বিরোধী।

তফসিল ঘোষণার আগে বর্তমান সংসদ ভেঙে দিয়ে বিভিন্ন রাজনৈতিক দল ও শ্রেণি পেশার মানুষদের মতামতের ভিত্তিতে তদারকি সরকার গঠনের দাবি জানান মুজাহিদুল ইসলাম সেলিম। এ ছাড়া বর্তমান নির্বাচন কমিশনকে সরকাররে অনুগত কমিশন উল্লেখ করে এর সংস্কারের দাবিও করেন।

নির্বাচন কমিশন ঘেরাও কর্মসূচিতে তাদের দাবির মধ্যে ছিল, প্রার্থীর জামানত ৫ হাজার টাকা ও নির্বাচনী ব্যয় ৩ লাখ টাকা নির্ধারণ, অনলাইনে মনোনয়নপত্র জমা দেওয়ার বিধান চালু, স্বতন্ত্র প্রার্থীর ক্ষেত্রে ১ শতাংশ ভোটারের সমর্থনসূচক সইয়ের বিধান বাতিল ও ইভিএমের মাধ্যমে ভোট ডাকাতি বন্ধ করা।

জোটের সমন্বয়ক ও বাংলাদেশের বিপ্লবী ওয়ার্কার্স পার্টির সাধারণ সম্পাদক সাইফুল হকের সভাপতিত্বে সমাবেশে আরও বক্তব্য দেন সিপিবি সাধারণ সম্পাদক শাহ আলম, বিপ্লবী গণতান্ত্রিক পার্টির সাধারণ সম্পাদক মোশরেফা মিশু, গণসংহতি আন্দোলনের প্রধান সমন্বয়ক জোনায়েদ সাকি, বাসদ (মার্কবাদী) নেতা শুভ্রাংশু চক্রবর্ত্তী, ইউনাইটেড কমিউনিস্ট লীগের সাধারণ সম্পাদক মোশাররফ হোসেন নান্নু ও গণসংহতি আন্দোলনের কেন্দ্রীয় নেতা ফিরোজ আহমেদ প্রমুখ।