সমাজকল্যাণমন্ত্রী রাশেদ খান মেনন বলেছেন, ড. কামাল হোসেন, বদরুদ্দোজা চৌধুরী মিলে বিএনপিকে ভোটে জিতিয়ে দিতে চান। তাঁরা বিএনপিকে পুঁজি করে নিজেদের রাজনৈতিক ফায়দা নিতে নানা নামে ঐক্য করার পাঁয়তারা করছেন। বিএনপির ভরসায় ড. কামাল হোসেন যেভাবে আকাশে উড়াল দিতে চাচ্ছেন, তাঁর এই আকাশে ওড়ার স্বপ্ন আর বাস্তবতার আলো দেখবে না।
আজ বুধবার বিকেলে রাজধানীর ইস্কাটন গার্ডেন স্কুল মাঠে আয়োজিত এক সভায় এ কথা বলেন মেনন। ১৯ নম্বর ওয়ার্ড আওয়ামী লীগ, রমনা থানা ও ঢাকা মহানগর দক্ষিণ আওয়ামী লীগের নেতা-কর্মীদের সঙ্গে বর্তমান সরকারের উন্নয়ন কর্মকাণ্ড পর্যালোচনা শীর্ষক আলোচনা সভায় প্রধান অতিথি ছিলেন মেনন।
বাংলাদেশের ওয়ার্কার্স পার্টির সভাপতি রাশেদ খান মেনন বলেন, ‘তারা নাম দিচ্ছে জাতীয় ঐক্য। কিন্তু তাতে আওয়ামী লীগের মতো বৃহৎ দলের কোনো সংশ্লিষ্টতা নেই। তাদের নিজদের পায়ের তলায় কোনো মাটি নাই, তাই তারা ভর করার চেষ্টা করছে বিএনপি-জামায়াতের ওপর। কিন্তু তারা হয়তো ভুলে গেছে, তাদের ভরসার দল বিএনপি গত নয় বছরে নয়টি আন্দোলনও করে দেখাতে পারেনি। প্রকৃতপক্ষে বিএনপি আন্দোলন আর করতেও পারবে না। কারণ বিএনপির দলীয় কর্মীদের কোনো নৈতিক আদর্শ নেই।’
মেনন বলেন, ‘বাংলাদেশকে আর কেউ পেছনে নিয়ে যেতে পারবে না। যে স্বপ্ন নিয়ে আমরা বাংলাদেশকে স্বাধীন করেছিলাম, জননেত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে আমাদের সেই স্বপ্নের বাস্তবায়ন এখন কেবল সময়ের ব্যাপার মাত্র। আমাদের বর্তমান সরকারের আমলে বাংলাদেশ এক অবিশ্বাস্য উন্নয়নের পথে এগিয়ে গেছে। বাংলাদেশে এ বছর স্বল্পোন্নত দেশ থেকে উন্নয়নশীল দেশের তালিকায় অন্তর্ভুক্ত হয়েছে। দেশের জিডিপি বেড়েছে কয়েকগুণ।’
রাশেদ খান মেনন বলেন, ‘দেশের মানুষের মাথাপিছু আয় ২০০৫ সালের বিএনপি-জামায়াতের শাসনের ৫৪০ ডলার থেকে এখন দাঁড়িয়েছে ১৭৫২ ডলারে। দারিদ্র্য কমে নেমে এসেছে ২২ শতাংশে। রেমিট্যান্স বেড়েছে, বেড়েছে রপ্তানি আয়। বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ এখন ৩৩ বিলিয়ন ডলার। মৎস্য চাষে বাংলাদেশ পৃথিবীর চতুর্থ ও সবজি উৎপাদনে তৃতীয়, গার্মেন্টস রপ্তানিতে দ্বিতীয় হয়েছে।
১৯ নম্বর ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের সভাপতি আবদুস সালামের সভাপতিত্বে সভায় আরও উপস্থিত ছিলেন রমনা থানা আওয়ামী লীগের সভাপতি মোখলেছুর রহমান, সাধারণ সম্পাদক রফিকুল ইসলাম, ১৯ নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলর মুন্সী কামরুজ্জামান কাজল, ঢাকা মহানগর আওয়ামী লীগের ত্রাণবিষয়ক সম্পাদক রইশুল আলম ময়না প্রমুখ।