প্রধানমন্ত্রী বিদেশে অন্য কথা বলেন: রিজভী

রুহুল কবির রিজভী। ফাইল ছবি
রুহুল কবির রিজভী। ফাইল ছবি

বিএনপির জ্যেষ্ঠ যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী বলেছেন, ‘প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা দেশে এক কথা বলেন, বিদেশে বলেন অন্য কথা। নিউইয়র্কে ব্রিটিশ পররাষ্ট্রমন্ত্রীর সঙ্গে বৈঠকে তিনি বলেছেন, সব দলের অংশগ্রহণে বাংলাদেশে আগামী জাতীয় নির্বাচন অনুষ্ঠানের আয়োজন করছে সরকার।’ রিজভী আরও বলেন, প্রধানমন্ত্রীর এই বক্তব্য সম্পূর্ণভাবে মিথ্যা। কারণ, এখন পর্যন্ত আগামী জাতীয় নির্বাচন নিয়ে সরকারের সব পদক্ষেপ একতরফা নির্বাচনেরই আলামত।

আজ বৃহস্পতিবার সকালে সংবাদ সম্মেলনে এ কথা বলেন রিজভী। রাজধানীর নয়াপল্টনে বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে এ সংবাদ সম্মেলন হয়।

রিজভী বলেন, ‘এবার আর একতরফা নির্বাচন করার সুযোগ পাবেন না প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।’

আজ নিয়মিত এই সংবাদ সম্মেলনে সরকারের সমালোচনা করেন রিজভী। তিনি বলেন, ‘সরকার ক্ষমতার উন্মাদনার মধ্যে থাকতে চায়, এ জন্য যখন যেটা প্রয়োজন, অর্থাৎ গুম, খুন থেকে শুরু করে মিথ্যা মামলায় বিরোধী নেতাদের ফাঁসাতে দ্বিধা করছে না। কারণ, রাষ্ট্রযন্ত্র তাদের হাতের মুঠোয়।’

সরকারের সমালোচনার পাশাপাশি রিজভীর বক্তব্যে উঠে আসে ২১ আগস্ট গ্রেনেড হামলার মামলা প্রসঙ্গ। তিনি বলেন, ‘রাষ্ট্রযন্ত্রকে দিয়েই বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানকে বোমা হামলার মিথ্যা মামলায় জড়িয়ে বিরোধী দল ও মতকে নির্মূলের চূড়ান্ত সীমায় উপনীত হয়েছে।’

রিজভী বলেন, ২১ আগস্ট বোমা হামলায় হীন উদ্দেশ্যসাধনের জন্য প্রতিহিংসার মনোভাব নিয়েই মাঠে নেমেছে সরকার। তারেক রহমানকে ফাঁসাতেই হবে—এই প্রতিহিংসা চরিতার্থের জন্যই ক্ষমতা হাতে পেয়েই বেছে আনা হয় অবসরপ্রাপ্ত পুলিশ কর্মকর্তা ও আওয়ামী লীগ নেতা কাহার আকন্দকে। তাঁকে দিয়ে তারেক রহমানের নাম বোমা হামলায় জড়ানো হয়েছে।

রিজভী বলেন, ‘সরকারপ্রধান তাঁর পুঞ্জীভূত ক্রূরতা, চাতুরী, কুটিলতা ও রক্ত ঝরানো কর্মসূচি নিয়ে বিএনপির ওপর ঝাঁপিয়ে পড়েছেন। সেটির প্রথম টার্গেট করেছেন জাতীয়তাবাদী শক্তির প্রতীক দেশনেত্রী খালেদা জিয়া ও তারেক রহমানকে। এই মামলায় তারেক রহমানের নাম জড়ানো বর্তমান সরকারপ্রধানের প্রতিহিংসা পূরণের মাস্টারপ্ল্যান।’

আগামী ১০ অক্টোবর ২১ আগস্ট গ্রেনেড হামলা মামলার রায়ের দিন নির্ধারণ করেছেন আদালত। ২০০৪ সালে বঙ্গবন্ধু অ্যাভিনিউতে আয়োজিত আওয়ামী লীগের সমাবেশে ওই হামলায় মহিলা আওয়ামী লীগের সভাপতি আইভি রহমানসহ ২৬ জন নিহত হন। আহত হন তৎকালীন বিরোধীদলীয় নেত্রী এবং বর্তমান প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।