রক্ষক যখন ভক্ষক!

তিনি ছিলেন গুদামরক্ষক। বাংলাদেশ কৃষি উন্নয়ন করপোরেশনের (বিএডিসি) সার বিক্রির ডিও স্বাক্ষর করা এবং গুদামের সার্বিক দায়িত্বে নিয়োজিত। কিন্তু নিজেই সেই সার রক্ষার বদলে উধাও করে দিয়েছেন। ফলে তাঁর বিরুদ্ধে হওয়া মামলায় অভিযোগপত্র দিচ্ছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)।

অভিযুক্ত ওই ব্যক্তি বিএডিসির উপসহকারী পরিচালক (সার) মোহাম্মদ আবদুল হাই। তিনি ফেনীর মহিপালে বিএডিসির গুদামরক্ষক।

ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে দুদকের উপপরিচালক (জনসংযোগ) প্রণব কুমার ভট্টাচার্য জানান, সম্প্রতি কমিশন এ অভিযোগপত্র অনুমোদন দিয়েছে।

দুদক সূত্র জানায়, ২০০৭ সালের ৩১ ডিসেম্বর থেকে ২০১৬ সালের ৩ আগস্ট পর্যন্ত তিনি ফেনিতে দায়িত্ব পালন করেন। ওই ৯ বছরে ৫ কোটি ৪ লাখ ৫০ হাজার ৯৫০ টাকার প্রায় দেড় হাজার টন সার চুরি বা আত্মসাতের অভিযোগ উঠে তাঁর বিরুদ্ধে। এ ঘটনায় ২০১৬ সালের ৪ আগস্ট ফেনী মডেল থানায় একটি মামলাও (মামলা নম্বর ১৩) দায়ের করে জেলা পুলিশ।

মামলার তদন্ত করেন দুদকের নোয়াখালী সমন্বিত জেলা কার্যালয়ের সাবেক উপসহকারী পরিচালক হোসাইন শরীফ। তদন্ত শেষে তাঁর বিরুদ্ধে অভিযোগপত্র দেওয়ার সুপারিশ করে প্রতিবেদন জমা দেন। তারই পরিপ্রেক্ষিতে কমিশন এ অনুমোদন দেয়।

অভিযোগে বলা হয়, অভিযুক্ত মোহাম্মদ আবদুল হাই সার বিক্রির ডিও স্বাক্ষর করতেন এবং গুদামের সার্বিক দায়িত্বে নিয়োজিত ছিলেন। এ দায়িত্ব পালনকালে ক্ষমতার অপব্যবহার করে ১৪১৩ দশমিক ২০০ মেট্রিক টন সার বা ৫ কোটি ৪ লাখ ৫০ হাজার ৯৫০ টাকা (আমদানি মূল্য) চুরি বা আত্মসাৎ করেছেন।