বিএনপি নির্বাচনে না এলে নিবন্ধন ঝুঁকিতে: সিইসি

প্রধান নির্বাচন কমিশনার কে এম নুরুল হুদা। ফাইল ছবি
প্রধান নির্বাচন কমিশনার কে এম নুরুল হুদা। ফাইল ছবি

প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) কে এম নুরুল হুদা বলেছেন, আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচনে সব দলের অংশগ্রহন নিশ্চিত করা নির্বাচন কমিশনের পক্ষে সম্ভব নয়। কোন রাজনৈতিক দল নির্বাচনে আসবে কি না সেটা সেই দলের স্বাধীনতার বিষয়। এটা নির্বাচন কমিশনের সমস্যা নয়। রাজনৈতিক দল নির্বাচনে না এলে সেই দলের সঙ্গে কোনো আলোচনা বা সংলাপের উদ্যোগ নেওয়া নির্বাচন কমিশনের পক্ষে সম্ভব নয়।

বৃহষ্পতিবার বিকেলে বগুড়া জেলা প্রশাসকের সম্মেলন কক্ষে একাদশ সংসদ নির্বাচন উপলক্ষে জেলা প্রশাসন ও আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সংশ্লিষ্ট সদস্যদের সঙ্গে মতবিনিময় সভা শেষে সাংবাদিকদের এসব কথা বলেন সিইসি কে এম নুরুল হুদা।

সিইসি বলেন, তবে নির্বাচন কমিশন চায়, সবদলের অংশগ্রহনে দেশে প্রতিযোগীতামূলক, প্রতিদ্বন্দিতামূলক, অবাধ ও সুষ্ঠ নির্বাচন হোক। এ জন্য কমিশন সব প্রস্ততি গ্রহণ করছে। তিনি বলেন, আগামী নির্বাচনে অংশগ্রহণ না করলে বিএনপির নিবন্ধন ঝুঁকির মুখে পড়বে। নির্বাচন কমিশন আশাবাদি, বিএনপি নির্বাচনে আসবে।

ভোটগ্রহণে ইভিএম ব্যবহারের চুড়ান্ত সিদ্ধান্ত হয়েছে কি না সাংবাদিকদের এমন প্রশ্নের জবাবে সিইসি নুরুল হুদা বলেন, ইভিএম ব্যবহারের চুড়ান্ত কোন সিদ্ধান্ত হয়নি। নির্বাচন কমিশন চাচ্ছে না, নির্বাচনে ব্যাপকভাবে ইভিএম ব্যবহার কমিশনও চাচ্ছে না। তবে ভোটকেন্দ্রে সীমিত আকারে ইভিএম ব্যবহারের পরিকল্পনা রয়েছে কমিশনের।

সিইসি বলেন, ‘ইভিএম  ব্যবহার করতে হলে আইনের পরিবর্তন করাতে হবে। এ জন্য আইন মন্ত্রণালয়ে প্রস্তাব পাঠানো হয়েছে। আইন পাস হলে সীমিত আকারে যতটুকু সম্ভব হবে, ততটুকু ব্যবহার করার চেষ্টা করা হবে। তবে তার আগে ইভিএম নিয়ে প্রশিক্ষণ এবং সাধারণ মানুষকে এ পদ্ধতি সর্ম্পকে সচেতন করা হবে। দেশজুড়ে উন্নয়ন মেলায় ইভিএম সর্ম্পকে প্রদর্শন থাকবে। সেই প্রদর্শনী দেখে রাজনৈতিক দল, জনগণ সন্তুষ্ট হলে ইভিএম ব্যবহার করা হবে। ’

সিইসি দাবি করেন, ইভিএম এমন এক পদ্ধতি যেখানে নির্বাচনে কোন অনিয়ম করা সম্ভব নয়। ইভিএম নিয়ে বিএনপিকে বোঝানোর চেষ্টা করা হবে।
নির্বাচনে সেনাবাহিনী মোতায়েন করা হবে কি না প্রথম আলোর এমন প্রশ্নে প্রধান নির্বাচন কমিশনার বলেন, নির্বাচনে সেনাবাহিনী মোতায়েন এখনো ঠিক হয়নি, এটা পরিস্থিতি বুঝে নির্বাচন কমিশন ঠিক করবে। সিইসি নুরুল হুদা আরও জানান, নির্বাচন কবে হবে সেটা এখনো চুড়ান্ত হয়নি। তবে বর্তমান সংসদ ভেঙ্গে দেওয়ার ৯০ দিনের মধ্যে নির্বাচন করার বাধ্যবাধকতা রয়েছে। সেই অনুযায়ী ভোটগ্রহণের প্রস্ততি নিচ্ছে নির্বাচন কমিশন।

সভায় অন্যদের মধ্যে বগুড়ার জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ নূরে আলম সিদ্দিকী ও পুলিশ সুপার আলী আশরাফ ভূঞা ছাড়াও জেলার নির্বাচনে আইনশৃংখ্যলা রক্ষার দায়িত্বপ্রাপ্ত সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।

এর আগে সকালে প্রধান নির্বাচন কমিশনার নুরুল হুদা জেলা নির্বাচন কার্যালয় ও সার্ভার ষ্টেশনে সংশ্লিষ্ট নির্বাচন কর্মকর্তাদের নিয়ে সভা করেন।