রোববার বিএনপির জনসভা: মওদুদ

মওদুদ আহমদ। প্রথম আলো ফাইল ছবি
মওদুদ আহমদ। প্রথম আলো ফাইল ছবি

বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য মওদুদ আহমদ বলেছেন, কী কারণে শনিবার বিএনপিকে সমাবেশের অনুমতি দেওয়া হয়নি, সেটি সবাই জানেন। আগামী রোববার রাজধানীর সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে বিএনপির জনসভা হবে।

আজ শুক্রবার দুপুরে ঢাকার জাতীয় প্রেসক্লাবে এক অনুষ্ঠানে মওদুদ আহমদ এ মন্তব্য করেন। বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য আ স ম হান্নান শাহর দ্বিতীয় মৃত্যুবার্ষিকী উপলক্ষে নাগরিক অধিকার আন্দোলন ফোরাম নামের একটি সংগঠন আলোচনা সভার আয়োজন করে।

মওদুদ আহমদ বলেন, জাতীয় ঐক্য প্রক্রিয়া যখন নতুন শুরু হলো, তখন সবাই এটাকে স্বাগত জানালেন। আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদেরসহ দলটির অন্য নেতারাও স্বাগত জানালেন। এই স্বাগতটা একদিন-দুই দিন ছিল মাত্র। কিন্তু যখন তাঁরা দেখল বাংলাদেশে নতুন একটি আন্দোলন সৃষ্টি হচ্ছে, আওয়ামী লীগের বিরুদ্ধে জাতীয় ঐক্য সৃষ্টি হয়ে যাচ্ছে এবং তারা নির্বাচনে পরাজিত হবে, তখন তারা গালিগালাজ শুরু করে দিল। তিনি বলেন, 'প্রধানমন্ত্রী নিউইয়র্কে বললেন, সব দুর্নীতিবাজ ও ঘুষখোরেরা একত্রিত হয়েছেন। অত্যন্ত নিচু মনের পরিচয় দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী। একেবারেই অশালীন ভাষায় কথা বলেছেন, এটা আমরা প্রধানমন্ত্রীর কাছ থেকে প্রত্যাশা করি না।'

ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনের বিষয়ে মওদুদ আহমদ বলেন, নির্বাচনের আগে দুরভিসন্ধিমূলকভাবে গণমাধ্যমকে নিয়ন্ত্রণে রাখার জন্য এই আইন করা হয়েছে। কারণ হলো গণমাধ্যমকে স্বাধীনভাবে কাজ করতে দেওয়া যাবে না। গণমাধ্যমকে সরকার নিয়ন্ত্রণে রাখতে চায়।

মওদুদ আহমদ আরও বলেন, সরকারের দুই-একটি নেতিবাচক ঘটনা শুধু মানুষের সামনে তুলে ধরতে হবে। তাহলে আওয়ামী লীগের ভোট অনেক কমবে এবং বিএনপির ভোট বাড়বে। নেতা-কর্মীদের উদ্দেশে তিনি বলেন, গ্রামের মানুষদের বলেন, সরকার বলেছিল ঘরে ঘরে চাকরি দেবে। সেটা আপনারা পেয়েছেন কিনা? মানুষ তখন উল্টো আপনাকে বলবে, সামান্য একটি পিয়নের চাকরির জন্য পাঁচ লাখ টাকা দিতে হয়েছে।

সরকারের বিরুদ্ধে অভিযোগ করে সাবেক মন্ত্রী মওদুদ আহমদ বলেন, বর্তমান সরকার হাজার হাজার নতুন চাকরি দিয়েছে। বিভিন্ন সরকারি দপ্তরে ও অধিদপ্তরে। এসব দলীয়ভাবে দেওয়া হয়েছে এবং দলীয় নেতা-কর্মীদের নেওয়া হয়েছে। টাকা ছাড়া গত ১০ বছরে কেউ কোনো সরকারি চাকরি পায়নি। এমনকি টাকা ছাড়া আওয়ামী লীগের কোনো নেতা-কর্মীও চাকরি পায়নি। সুতরাং যারা টাকা দিয়ে চাকরি নিয়েছে, তারা কেউ আওয়ামী লীগকে আর ভোট দেবে না।

বিএনপির চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা জয়নাল আবেদীন, নির্বাহী কমিটির সদস্য নাজিম উদ্দিন আলম প্রমুখ অনুষ্ঠানে বক্তব্য দেন।