বাসের ধাক্কায় দুই ছাত্রী আহত, সড়ক অবরোধ
সড়ক দুর্ঘটনায় দুই স্কুলছাত্রী আহত হওয়ার ঘটনাকে কেন্দ্র করে নারায়ণগঞ্জের সোনারগাঁ উপজেলার কাঁচপুরে ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়ক চার ঘণ্টা অবরোধ করে রাখে বিক্ষুব্ধ শিক্ষার্থীরা। আজ বৃহস্পতিবার সকাল আটটায় কাঁচপুর ওমর আলী উচ্চবিদ্যালয়ে সামনে এ ঘটনা ঘটে। এ সময় শিক্ষার্থীরা যানবাহন ভাঙচুর করে এবং গাড়িতে আগুন লাগায়। এতে মহাসড়কের প্রায় ২৫ কিলোমিটার এলাকাজুড়ে যানজট সৃষ্টি হয়।
পুলিশ ও শিক্ষার্থীরা জানায়, সকালে কাঁচপুর ওমর আলী উচ্চবিদ্যালয়ের নবম শ্রেণির দুই ছাত্রী সাদিয়া আক্তার ও আরেফিন আক্তার স্কুলে যাওয়ার পথে মহাসড়ক পার হচ্ছিল। এ সময় স্থানীয় অনন্ত গার্মেন্টস নামের একটি পোশাক কারখানার শ্রমিকদের নিয়ে তারাব পরিবহনের বাস দুই ছাত্রীকে ধাক্কা দেয়। এতে দুজন আহত হয়। গুরুতর আহত সাদিয়া আক্তারকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। আরেফিন আক্তারকে স্থানীয় হাসপাতালে চিকিৎসা দেওয়া হয়।
খবর পেয়ে স্কুলের শিক্ষার্থীরা মহাসড়ক অবরোধ করে প্রায় ৫০টি গাড়ি ভাঙচুর করেছে। ধাক্কা দেওয়া বাসটিতে আগুন দিয়েছে। পদচারী–সেতু নির্মাণ, স্কুলের সামনের সড়কে গতিরোধ করে গাড়ি চলাচলসহ তিন দাবিতে শিক্ষার্থীরা মহাসড়ক অবরোধ করে।
এতে মহাসড়কের দুই পাশে সাইনবোর্ড থেকে মেঘনাঘাট পর্যন্ত প্রায় ২৫ কিলোমিটার এলাকাজুড়ে যানজট সৃষ্টি হয়। খবর পেয়ে সোনারগাঁ থানার পুলিশ, কাঁচপুর হাইওয়ে পুলিশ, শিল্প পুলিশ ঘটনাস্থলে যায়। তারা শিক্ষার্থীদের বিচার ও দাবি মেনে নেবে বলে জানায়। শিক্ষার্থীরা দুপুর ১২টায় অবরোধ তুলে নিলে যান চলাচল স্বাভাবিক হয়।
আহত শিক্ষার্থীর বাবা মন্টু মিয়া জানান, তাঁর মেয়ে সাদিয়া আক্তার স্কুলে যাওয়ার পথে বাসের ধাক্কায় আহত হয়। সে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন।
কাঁচপুর ওমর আলী উচ্চবিদ্যালয়ের ছাত্র নাসির উদ্দিন, রিফাত হাসান ও শাকিল আহাম্মেদের ভাষ্য, চালকদের বেপরোয়া গাড়ি চলাচলের কারণে রাস্তা পারাপারের সময় বিদ্যালয়ের দুজন ছাত্রী আহত হয়েছে। তাই তারা তিন দফা দাবিতে মহাসড়ক অবরোধ করেছে।
সোনারগাঁ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোরশেদ আলম জানান, অবরোধ তুলে নেওয়ার পর যান চলাচল স্বাভাবিক হয়েছে।