রাষ্ট্রপক্ষের আবেদনে রায় হয়নি, তদন্তকারী তলব আদালতের

রায় ঘোষণা বাতিলের পর সাংসদ পিনু খানের ছেলে বখতিয়ার আলম রনিকে কারাগারে নিয়ে যাওয়া হচ্ছে। মহানগর দায়রা জজ আদালত, ৪ অক্টোবর। ছবি: দীপু মালাকার
রায় ঘোষণা বাতিলের পর সাংসদ পিনু খানের ছেলে বখতিয়ার আলম রনিকে কারাগারে নিয়ে যাওয়া হচ্ছে। মহানগর দায়রা জজ আদালত, ৪ অক্টোবর। ছবি: দীপু মালাকার

আওয়ামী লীগের সাংসদ পিনু খানের ছেলে বখতিয়ার আলম ওরফে রনির বিরুদ্ধে ইস্কাটনে গুলি ছুড়ে দুজনকে হত্যা করার ঘটনায় করা মামলার রায় আজ বৃহস্পতিবার হয়নি। রাষ্ট্রপক্ষ মামলার তদন্ত কর্মকর্তাকে পুনরায় সাক্ষ্যগ্রহণে আদালতে তলব করার আবেদন করেন। এমন আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে আজ ঢাকার অতিরিক্ত মহানগর দায়রা জজ মঞ্জুরুল ঈমাম রায় ঘোষণা না করে ওই সাক্ষীকে ১৭ অক্টোবর হাজির করার নির্দেশ দেন।

রাষ্ট্রপক্ষ আদালতে লিখিত আবেদনপত্র দিয়ে বলে, আজ এ মামলার রায় প্রচারের জন্য দিন রয়েছে। এ মামলার তদন্তকারী যখন জবানবন্দি দেন, তখন মামলার কল ডিটেইলস রেকর্ড (সিডিআর) আদালতকে দেখানো হয়নি। এই আলামত দেখানোর জন্য আবার তদন্তকারীকে আদালতে ডাকা দরকার।

আদালত উভয় পক্ষের বক্তব্য শুনে ওই সাক্ষীকে আদালতে হাজির হওয়ার নির্দেশ দেন।

এর আগেও গত ৮ মে মামলার রায় ঘোষণার দিন ঠিক ছিল। সেদিন আদালত বলেন, এ মামলায় আরও যুক্তিতর্কের প্রয়োজন আছে। তখন আদালত রায় ঘোষণার আদেশ প্রত্যাহার করেন।

২০১৫ সালের ১৩ এপ্রিল গভীর রাতে নিউ ইস্কাটনে একটি গাড়ি থেকে এলোপাতাড়ি গুলি ছোড়া হয়। গুলিতে রিকশাচালক আবদুল হাকিম ও অটোরিকশাচালক ইয়াকুব আলী গুরুতর আহত হন। পরে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় ১৫ এপ্রিল হাকিম এবং ২৩ এপ্রিল ইয়াকুব মারা যান। এ ঘটনায় হাকিমের মা মনোয়ারা বেগম ১৫ এপ্রিল রমনা থানায় মামলা করেন। সূত্রবিহীন এই মামলায় তথ্যপ্রযুক্তি ও দৈনিক জনকণ্ঠ পত্রিকার ক্লোজড সার্কিট ক্যামেরার (সিসি) সহায়তায় সাংসদ-পুত্রের প্রাডো গাড়ি এবং তাঁর অবস্থান সম্পর্কে নিশ্চিত হয় পুলিশের গোয়েন্দা শাখা (ডিবি)। গাড়ির সূত্র ধরে একই বছরের ৩০ মে এলিফ্যান্ট রোডের বাসা থেকে রনিকে গ্রেপ্তার করে ডিবি পুলিশ। এরপর থেকে তিনি কারাগারে।

রায় ঘোষণার দিন ঠিক থাকায় আজ সকাল ১০টার পর আসামি বখতিয়ার আলম রনিকে কারাগার থেকে আদালতে হাজির করা হয়। আদালতে তোলা হয় বেলা ১১টার দিকে। রাখা হয় আসামির কাঠগড়ায়। আদালত রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবীদের কাছে জানতে চান, এ মামলায় অস্ত্র জব্দ করা হয়েছে কি না? লাইসেন্স জব্দ করা হয়েছিল কি না? তখন সরকারি কৌঁসুলি মাকসুদুর রহমান আদালতকে জানান, অস্ত্র জব্দ করা হয়েছে। এ সময় আসামির আইনজীবী কাজী নজিবুল্লাহ হীরু আদালতে উপস্থিত ছিলেন।