কলেজছাত্রী ধর্ষণের মামলায় সাতজনের যাবজ্জীবন

কুষ্টিয়ায় এক কলেজছাত্রীকে অপহরণের পর গণধর্ষণের দায়ে সাতজনকে যাবজ্জীবন ও একজনকে ১৪ বছর কারাদণ্ডাদেশ দিয়েছেন আদালত। বৃহস্পতিবার দুপুরে কুষ্টিয়া নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালের (জেলা ও দায়রা জজ) বিচারক মুন্সী মো. মশিয়ার রহমান এ রায় দেন। রায় ঘোষণার সময় আটজন আসামিই আদালতে হাজির ছিলেন।

দণ্ডপ্রাপ্ত আসামিরা হলেন কুষ্টিয়ার কুমারখালী উপজেলার উত্তর পার সাওতা গ্রামের সাহেব আলী, জমির শেখ, মোসলেম শেখ, আরিফ শেখ, মুক্তার হোসেন শেখ, ময়েন উদ্দিন ও মিন্টু শেখ। এর মধ্যে মিন্টু শেখকে যাবজ্জীবন সাজার পাশাপাশি ১৪ বছর কারাদণ্ডাদেশ দেওয়া হয়েছে। এ ছাড়া একই উপজেলার কেশবপুর (যদুবয়রা) গ্রামের আরিফ শেখকে ১৪ বছর করে কারাদণ্ডাদেশ দেওয়া হয়েছে।

এ ছাড়া আসামি সামসুল শেখের বিরুদ্ধে আনা অভিযোগ প্রমাণিত না হওয়ায় তাঁকে বেকসুর খালাস দিয়েছেন আদালত।

আদালত সূত্র জানায়, ঝালকাঠির নলছিটি উপজেলার এক তরুণী কুষ্টিয়া সরকারি মহিলা কলেজে পড়ার সময় ফলের দোকানদার আরিফ শেখের সঙ্গে তাঁর সম্পর্ক গড়ে ওঠে। ২০১১ সালের ৩০ সেপ্টেম্বর বিকেলে ওই সম্পর্কের সূত্র ধরে ছাত্রীকে আরিফ তাঁর ফলের দোকানে ডেকে নেন। পরে আরিফ সন্ধ্যায় ছাত্রীকে বন্ধু মোস্তাকের বাড়িতে নিয়ে যান। সেখানে রাত ১০টায় আরেক আসামি মিন্টু আসেন। আরিফ এ সময় ওই মেয়েটিকে সেখানে রেখে চলে যান। পরে আসামি সাহেব আলী, মোস্তাক, মিন্টুসহ আরও চারজন মিলে তাঁকে ধর্ষণ করেন। এ ঘটনায় মেয়েটি কুমারখালী থানায় ২ অক্টোবর মামলা করেন। দীর্ঘ শুনানি শেষে বিচারক আজ এই রায় দিলেন। যাবজ্জীবন সাজাপ্রাপ্ত আসামিদের এক লাখ টাকা করে জরিমানা অনাদায়ে আরও এক বছর করে কারাদণ্ডাদেশ দেওয়া হয়।