টেকনাফে লেগুনার চালক ও তাঁর সহকারীর লাশ উদ্ধার

কক্সবাজারের টেকনাফে এক লেগুনার চালক ও তাঁর সহকারীর হাত-মুখ বাঁধা লাশ উদ্ধার করেছে পুলিশ। আজ বৃহস্পতিবার বেলা সাড়ে ১১টার দিকে উপজেলার হ্নীলা ইউনিয়নের সাইরংখাল ও স্থল বন্দরের উত্তর পাশের জলিলের দিয়া কাঠের জেটির কাছাকাছি স্থান থেকে লাশ দুটি উদ্ধার করা হয়। পুলিশ বলছে, নিহত ব্যক্তিদের মধ্যে একজন রোহিঙ্গা যুবক।

নিহত এই দুই যুবক হলেন টেকনাফের বাহারছড়ার শামলাপুরের আছারবনিয়ার রোহিঙ্গা ক্যাম্পের বি ব্লকের বাসিন্দা সৈয়দ ইসলাম (২২) ও উখিয়ার মনখালীর বাসিন্দা সরোয়ার আলম (২০)।

টেকনাফ মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) রনজিত কুমার বড়ুয়া বলেন, সকালে স্থানীয় জেলেরা ওই দুটি লাশ দেখতে পেয়ে পুলিশে খবর দেন। লাশ দুটির হাত-মুখ গামছা দিয়ে বাঁধা ছিল। দুজনের মুখ ও কানে আঘাতের চিহ্ন আছে।

ওসি বলেন, লাশ দুটি উদ্ধার করে থানায় নিয়ে আসা হলে বিকেলের দিকে নিহত রোহিঙ্গা যুবকের মা তাহেরা বেগম ও সরোয়ার আলমের মা সবুরা খাতুন তাঁদের ছেলেদের মরদেহ শনাক্ত করেন। লাশ দুটি ময়নাতদন্তের জন্য কক্সবাজার মর্গে পাঠানো হয়েছে। এ ঘটনায় মামলা প্রক্রিয়াধীন রয়েছে। পুলিশ ঘটনার আসল রহস্য বের করতে কাজ করছে।

তাহেরা বেগম ও সবুরা খাতুন প্রথম আলোকে জানান, গত সোমবার সকালে নিজ নিজ ঘর থেকে ওই দুই যুবক বের হন। তাঁরা দুজন একই লেগুনার চালক ও সহকারীর দায়িত্বে ছিলেন। গত দুই দিনে তাঁদের বিভিন্ন স্থানে খোঁজা হয়েছিল। আজ লোকমুখে দুটি লাশ উদ্ধারের খবর পেয়ে তাঁরা টেকনাফ থানায় আসেন। সেখানে এসে তাঁরা ছেলেদের লাশ দেখতে পান। তবে তাঁরা ছেলেদের হত্যার ব্যাপারে কোনো ধারণা দিতে পারেননি।