মনোনয়ন চান দুই নেত্রী

তারানা হালিম ও নাহার আহমেদ
তারানা হালিম ও নাহার আহমেদ
>
  • দুই নারী মনোনয়নপ্রত্যাশীর একজন তথ্য প্রতিমন্ত্রী তারানা হালিম।
  • অপরজন জেলা আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক নাহার আহমেদ
  • তারানা হালিম টাঙ্গাইল-৬ আসন থেকে দলীয় মনোনয়ন চাইবেন
  • নাহার আহমেদ টাঙ্গাইল-৫ আসন থেকে দলীয় মনোনয়ন চাইছেন
  • দুই নারী মনোনয়নপ্রত্যাশী নিজ আসনে নিয়মিত গণসংযোগ করছেন

টাঙ্গাইলের আট সংসদীয় আসনের মধ্যে দুটি আসন থেকে সরাসরি নির্বাচনে অংশ নিতে আওয়ামী লীগের দুজন নারী মনোনয়নপ্রত্যাশী মাঠে নেমেছেন।

দুই নারী মনোনয়নপ্রত্যাশীর একজন তথ্য প্রতিমন্ত্রী তারানা হালিম। তিনি টাঙ্গাইল-৬ (নাগরপুর-দেলদুয়ার) আসন থেকে দলীয় মনোনয়ন চাইবেন। অপরজন জেলা আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক নাহার আহমেদ। তিনি টাঙ্গাইল-৫ (সদর) আসন থেকে দলীয় মনোনয়ন চাইছেন। তাঁরা দুজনই নিজ নিজ আসনে নিয়মিত গণসংযোগ করছেন।

দলীয় সূত্র জানায়, নবম ও দশম জাতীয় সংসদ নির্বাচনে  তারানা হালিম সংরক্ষিত নারী আসন থেকে সাংসদ নির্বাচিত হন। দশম সংসদ নির্বাচনের পর প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার মন্ত্রিসভায় তিনি প্রতিমন্ত্রীর দায়িত্ব পান। দুবার সংরক্ষিত আসন থেকে নির্বাচিত হলেও এবার সরাসরি নির্বাচনে অংশ নিয়ে সাংসদ হতে চান। তাঁর নির্বাচনী এলাকা টাঙ্গাইল-৬ (নাগরপুর-দেলদুয়ার) আসনের দুটি উপজেলাতেই তিনি নিয়মিত গণসংযোগ করছেন। এ আসনে তারানা হালিম ছাড়াও বর্তমান সাংসদ খন্দকার আবদুল বাতেন, ২০০৮ সালের নির্বাচনে আওয়ামী লীগের মনোনয়নপ্রাপ্ত জেলা আওয়ামী লীগের শিল্প ও বাণিজ্যবিষয়ক সম্পাদক আহসানুল ইসলাম, কেন্দ্রীয় আওয়ামী লীগের উপকমিটির সাবেক সহসম্পাদক তারেক শামস খান, নাগরপুর উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি জাকিরুল ইসলাম, ছাত্রলীগের সাবেক নেতা আশরাফুল ইসলাম, কৃষক লীগের কেন্দ্রীয় সহসভাপতি কাজী আনিছুর রহমান মনোনয়ন চাইবেন।

তারানা হালিম জানান, তিনিসহ আরও কয়েকজন দলীয় মনোনয়ন চাইছেন। তিনি এলাকায় নিয়মিত গণসংযোগ করে শেখ হাসিনার উন্নয়নের চিত্র সাধারণ মানুষের কাছে তুলে ধরছেন। দল মনোনয়ন দিলে তিনি এ আসন থেকে সরাসরি নির্বাচনে অংশ নেবেন।

টাঙ্গাইল-৫ (সদর) আসনে আওয়ামী লীগের মনোনয়ন চাইছেন নাহার আহমেদ। সন্ত্রাসীদের হাতে নিহত আওয়ামী লীগ নেতা ফারুক আহমেদের স্ত্রী তিনি। তাঁর নেতৃত্বেই ২০১৪ সালে টাঙ্গাইলে ফারুক আহমেদের হত্যাকারীদের বিচারের দাবিতে আন্দোলন গড়ে ওঠে।

নাহার আহমেদ জানান, শেখ হাসিনার উন্নয়নের রাজনীতির সুফল মানুষের ঘরে ঘরে পৌঁছে দিতেই তিনি জাতীয় সংসদ নির্বাচনে অংশ নিতে চান। আর কখনো যেন দল সন্ত্রাসীদের নিয়ন্ত্রণে না যায়, সে জন্য তিনি ভবিষ্যতে কাজ করতে চান।