টেলিনর ইয়ুথ ফোরামে নির্বাচিত ১৬ জনের মধ্যে দুজন বাংলাদেশি

টেলিনর ইয়ুথ ফোরামের নির্বাচিত প্রতিনিধিরা। ছবি: সংগৃহীত
টেলিনর ইয়ুথ ফোরামের নির্বাচিত প্রতিনিধিরা। ছবি: সংগৃহীত

নোবেল পিস সেন্টারের সহযোগিতায় টেলিনর ইয়ুথ ফোরাম ২০১৮-১৯-এর জন্য নির্বাচিত ১৬ জন প্রতিনিধির নাম ঘোষণা করেছে টেলিনর গ্রুপ। তাঁদের মধ্যে দুজন বাংলাদেশি। তাঁরা হলেন সায়মা মেহেদী খান ও সামীন আলম। আজ সোমবার নরওয়ের অসলোতে তাঁদের নাম ঘোষণা করা হয়। টেলিনর ইয়ুথ ফোরামের এ বছরের প্রতিনিধিরা ডিজিটাল প্রযুক্তির মাধ্যমে স্বাস্থ্য খাতে বৈষম্য চিহ্নিতকরণ ও এর সমাধানে কাজ করবেন।

এ বিষয় টেলিনর গ্রুপের এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, সম্প্রতি জাতিসংঘের সাধারণ পরিষদের আলোচ্য বিষয়গুলোর মধ্যেও অসংক্রামক রোগ এবং সর্বজনীন স্বাস্থ্যসেবা অন্যতম প্রধান আলোচ্য বিষয় ছিল। উন্নয়ন, সামাজিক ক্ষমতায়ন, মানুষের সমতার ক্ষেত্রে স্বাস্থ্যের ভূমিকা এবং মানব স্বাস্থ্যের প্রত্যক্ষ সম্পর্কের কারণে স্বাস্থ্য বিষয়টিকে এ বছর টেলিনর ইয়ুথ ফোরামের প্রতিপাদ্য হিসেবে নির্ধারণ করা হয়েছে।

যেসব দেশে টেলিনরের কার্যক্রম রয়েছে, সেখানে এসব প্রতিনিধিকে তরুণ নেতৃত্ব হিসেবে স্বীকৃতি দিয়েছে টেলিনর ইয়ুথ ফোরাম। বাংলাদেশ, ডেনমার্ক, মালয়েশিয়া, নরওয়ে, পাকিস্তান, সুইডেন ও থাইল্যান্ডের পাঁচ হাজারের বেশি তরুণ মেধাবীদের মধ্য থেকে এই ১৬ জন নির্বাচিত হন। নির্বাচিত প্রতিনিধিরা এ বছরের ডিসেম্বর থেকে আগামী বছরের মে মাস পর্যন্ত সব দিক থেকে স্বাস্থ্য খাতের বৈষম্য দূরীকরণের সমাধান উন্নয়নে কাজ করবেন।

এ নিয়ে টেলিনর গ্রুপের প্রেসিডেন্ট ও প্রধান নির্বাহী সিগভে ব্রেক্কে বলেন, ‘বয়োজ্যেষ্ঠদের ক্ষেত্রেই হোক কিংবা প্রান্তিক ও নিম্ন উপার্জনকারী জনগোষ্ঠীর স্বাস্থ্যসেবা গ্রহণের সুযোগ নিশ্চিত করতেই হোক, স্বাস্থ্য ও প্রযুক্তির মধ্যে সম্পর্ক স্থাপনে আমরা অনেক কিছু অর্জন করতে পারি। ফলে এ বছর টেলিনর ইয়ুথ ফোরামে নির্বাচিত ১৬ তরুণ ছাড়া গুরুত্বপূর্ণ অবদান আর কারা রাখতে পারবেন?’ তিনি বলেন, সম্ভাবনাময় ও শান্তিপূর্ণ ভবিষ্যতের জন্য স্বাস্থ্য খাতে বৈষম্য দূরীকরণ এবং স্বাস্থ্যসেবায় সবার সুযোগ নিশ্চিত করা অবিচ্ছেদ্য অংশ। মোবাইল নেটওয়ার্ক ও প্রযুক্তি এ বিষয়ে তাৎপর্যপূর্ণ ভূমিকা রাখতে পারে।

এ বছরের কর্মসূচিতে প্রতিনিধিদের চারটি দলে ভাগ করা হবে। প্রতিটি দলকেই আগামী ডিসেম্বরে অনুষ্ঠিতব্য টেলিনর ইয়ুথ ফোরামের শুরুতে আলাদা আলাদা স্বাস্থ্যবিষয়ক চ্যালেঞ্জ দেওয়া হবে। দলগুলোকে চ্যালেঞ্জ অ্যাসাইনমেন্ট ও সলিউশন প্রোপোজলে সহায়তা ও নির্দেশনা দিতে টেলিনর গ্রুপ প্রশিক্ষণ দেবে।