আন্ডার দামে ডান্ডা

বাজারের ফর্দ থেকে ডিমের সংখ্যা আপাতত কমিয়ে ফেলুন। বাজারে প্রতি ডজন (১২ টি) ফার্মের মুরগির ডিমের দাম উঠেছে ১১০-১১৫ টাকা, যা দু-তিন দিন আগের চেয়েও ১৫ টাকা বেশি। এখন হালিপ্রতি ডিমের দাম পড়ছে ৩৭-৩৮ টাকা।

ফার্মের ডিম তবু তুলনামূলক কম দামে বিক্রি হচ্ছে, হাঁসের ডিমের ডজন উঠেছে ১৫০ টাকায়। দেশি মুরগির ডিম আরও খরুচে, প্রতি ডজনের দাম ১৮০ টাকা। এ দর কারওয়ান বাজারের মতো বড় বাজারে। অলিগলি ও মহল্লার খুচরা দোকান থেকে কিনলে ডিমের দাম আরও বেশি পড়তে পারে।

খামারিরা বলছেন, দীর্ঘদিন ধরে ডিমের দাম না পাওয়ায় গত ঈদুল ফিতরের আগে খামারের মালিকেরা ডিম পাড়ার লেয়ার মুরগি বাজারে বিক্রি করে দিয়ে খামার খালি করেছেন। এতে এখন ডিম উৎপাদনে ঘাটতি তৈরি হয়েছে। এটা ডিমের দাম বেশি হওয়ার একটা বড় কারণ।

সরকারি বিপণন সংস্থা ট্রেডিং করপোরেশন অব বাংলাদেশের (টিসিবি) হিসাবে, বাজারে ডিমের হালিপ্রতি দর এখন ৩২-৩৬ টাকা, যা এক বছর আগের তুলনায় ১৯ শতাংশ বেশি।

তেজগাঁওয়ের ডিমের আড়ত মালিক সমিতির সভাপতি মো. আমানত উল্লাহ প্রথম আলোকে বলেন, পরিবহনশ্রমিকদের বাধার কারণে রোববার ট্রাক যেতে পারেনি। এ কারণে ওই দিন রাতে তেজগাঁওয়ে ডিমের সরবরাহ কমে যায়।

পোলট্রি খামার রক্ষা জাতীয় পরিষদের সাধারণ সম্পাদক খন্দকার মো. মহসিন বলেন, ডিমের ভালো দাম পেয়ে অনেকে খামারে নতুন করে মুরগি ওঠাচ্ছেন। ফলে দু-তিন মাসের মধ্যে ডিমের দাম কমে আসবে।