ডিএনসিসির মিরপুর অফিসে অভিযান, তিনজন বরখাস্ত

ডিএনসিসির আঞ্চলিক কার্যালয়ে দুদকের অভিযান। ছবি: সংগৃহীত
ডিএনসিসির আঞ্চলিক কার্যালয়ে দুদকের অভিযান। ছবি: সংগৃহীত

ঘুষ ও দুর্নীতির অভিযোগে ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনের (ডিএনসিসি) অঞ্চল-২, মিরপুর অফিসে অভিযান চালিয়েছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)। অভিযানে দুর্নীতির সম্পৃক্ততা পাওয়ায় দুদকের পরামর্শে তিনজনকে বরখাস্ত করা হয়েছে। আরেকজনের বরখাস্তের বিষয়টি প্রক্রিয়াধীন।
ঘুষ ছাড়া সেবা পাওয়া যায় না, দুদকের হটলাইনে (১০৬) এমন অভিযোগ পেয়ে আজ মঙ্গলবার ওই কার্যালয়ের রাজস্ব বিভাগের ট্রেড লাইসেন্স শাখায় অভিযান চালায় দুদকের একটি দল। দুদকের সহকারী পরিচালক সেলিনা আখতার মনির নেতৃত্বে পুলিশসহ সাত সদস্যের একটি দল এ অভিযানে ছিল।
অভিযানে দুদকের দলটি ওই কার্যালয়ের রাজস্ব বিভাগের লাইসেন্স ও বিজ্ঞাপন সুপারভাইজার হিসেবে কর্মরত তিনজনের প্রত্যেকের সঙ্গে একজন করে দালাল সংযুক্ত দেখতে পায়। তাঁরা ঘুষ লেনদেনে সহায়তা করছিলেন। দুদকের দলটি সেখানে উপস্থিত হওয়ামাত্রই দালালেরা পালিয়ে যান।
এ ছাড়া মো. বাবুল নামে প্রকৌশল শাখার একজন চেইনম্যানের বিরুদ্ধে ঘুষের বিনিময়ে কাজ করে দেওয়ার অভিযোগ পাওয়া যায়। ওই অফিসে সিটিজেন চার্টার এবং বিভিন্ন সেবার ফি-সংবলিত তালিকাও পায়নি দুদকের দলটি।
এসব অনিয়ম দুদকের উপস্থিতিতে প্রত্যক্ষ করে শিগগিরই দূর করার নিশ্চয়তা দেন আঞ্চলিক নির্বাহী কর্মকর্তা মো. সেলিম ফকির।
সেলিম ফকির রাতে প্রথম আলোকে জানান, লাইসেন্স সুপারভাইজার নাইম হোসেন, মানিক মল্লিক ও আবুল কালামকে সাময়িক বরখাস্ত করা হয়েছে। চেইনম্যান মো. বাবুলকেও বরখাস্ত করার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। এ বিষয়ে বুধবার আদেশ হতে পারে বলে জানান তিনি।
অভিযানের সমন্বয়কারী দুদকের মহাপরিচালক (প্রশাসন) মোহাম্মাদ মুনীর চৌধুরী বলেন, সরকারি দপ্তরগুলোতে ঘুষের দৌরাত্ম্য বন্ধে দুদক সব সময় তৎপর থাকবে। প্রয়োজনে ফাঁদ পেতে এসব দুর্নীতিবাজকে ধরা হবে।