ফখরুল মিথ্যাচারে খালেদার চেয়ে এগিয়ে

ওবায়দুল কাদের। ফাইল ছবি
ওবায়দুল কাদের। ফাইল ছবি

বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরের উদ্দেশে আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের বলেছেন, ‘ফখরুল সাহেব, আপনি তো মিথ্যাচারে বেগম জিয়ার চেয়ে এগিয়ে আছেন।’ এ ছাড়া ২১ আগস্টের মামলার রায়ের আগের দিন সারা দেশে আওয়ামী লীগের নেতা-কর্মীদের সতর্ক অবস্থানে থাকার নির্দেশনা দিয়েছেন ওবায়দুল কাদের।

আজ মঙ্গলবার সন্ধ্যায় ঢাকার শ্যামপুরে দলের নির্বাচনী  প্রচারপত্র বিলিতে গিয়ে ওবায়দুল কাদের এ মন্তব্য করেন।

২১ আগস্ট গ্রেনেড হামলার ঘটনায় বিএনপির কেউ জড়িত ছিলেন না, দাবি করে মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেছেন, আওয়ামী লীগই ওই ঘটনার ‘সুবিধাভোগী’। ঢাকার সেগুনবাগিচায় আজ মঙ্গলবার এক অনুষ্ঠানে মির্জা ফখরুল ইসলাম এ মন্তব্য করেন।

মির্জা ফখরুল ইসলামের বক্তব্যের জবাবে ওবায়দুল কাদের বলেন, মিথ্যাচারের জন্য যদি নোবেল পুরস্কার দেওয়া হতো, তাহলে এই কথার জন্য ফখরুল সাহেবকে মিথ্যাচারের নোবেল দেওয়া উচিত। এ রকম ডাহা মিথ্যাচার বিএনপির মহাসচিব বলতে পারেন? মনে আছে ঘটনা ঘটল, আমাদের ২৪ জন নেতা-কর্মী মারা গেল, ৫০০ নেতা-কর্মী আজকে স্প্লিন্টার বহন করছেন। তিনি বলেন, ‘সংসদ চলছিল, সংসদে বিরোধী দলের নেতা কথা বলতে দাঁড়িয়েছিলেন, কিন্তু মাইক্রোফোন সেদিন খুলল না। খালেদা জিয়া কী বলেছিলেন সেদিন মনে আছে? বলেছিলেন, “তাঁকে (শেখ হাসিনা) আবার কে মারতে আসছে, উনি তো ভ্যানিটি ব্যাগে গ্রেনেড নিয়ে আসছিলেন।” আমাদের নেত্রী উত্তর দিয়েছিলেন, “আমি কি তাহলে আত্মহত্যা করতে গিয়েছিলাম?” কী নিষ্ঠুর, কী নির্মম এই দল।’

বিএনপির আন্দোলনের বিষয়ে ওবায়দুল কাদের বলেন, ‘এই সময় আন্দোলনের ডাক দিয়ে জনগণের কাছে গেলে গণপিটুনি খায় কি না, আমার সন্দেহ হচ্ছে। মানুষ এখন নির্বাচনের মুডে। ১৪ সাল আর আসবে না। ককটেল, নাশকতা, আগুন সন্ত্রাস যদি তারা (বিএনপি) করতে যায়, জনগণ প্রতিরোধ গড়বে।’ তিনি আরও বলেন, ‘রাজনৈতিক আন্দোলন আমরা রাজনৈতিকভাবে মোকাবিলা করব । যদি সহিংসতা করে, তাহলে আইন প্রয়োগকারী সংস্থা অলরেডি কঠোর অবস্থানে।’

দলীয় নেতা-কর্মীদের উদ্দেশে সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের বলেন, ‘নেতা-কর্মীদের বলব, মাথা গরম করবেন না, কোনো ধরনের উসকানিতে পা দেবেন না। ঠান্ডা মাথায় কাজ করবেন। আক্রমণ করবেন না, আক্রান্ত হলে দাঁতভাঙা জবাব দেওয়ার জন্য প্রস্তুত থাকুন। আক্রান্ত হলে দাঁতভাঙা জবাব দিতে হবে। আগামীকাল সবাই সতর্ক থাকবেন, কোনো অবস্থাতেই উত্তেজিত হওয়া যাবে না। আমরা দেখি তারা কী করে। কিছু করতে গেলে, সময়মতো সবই করতে হবে।’

রায়ের বিষয়ে আওয়ামী লীগের অবস্থান তুলে ধরে কাদের বলেন, ‘আওয়ামী লীগের পক্ষ থেকে আমরা ন্যায়বিচার দাবি করছি। আমরা অতিরিক্ত কিছু চাই না, যে অপরাধী তাকে অপরাধী হিসেবে চিহ্নিত করুন, সে যে-ই হোক, যত প্রভাবশালীই হোক। এত রক্ত, এত প্রাণহানির বিচার বাংলাদেশে হবে, এর ন্যায়বিচার আমরা চাই।’

আওয়ামী লীগের দপ্তর সম্পাদক আবদুস সোবহান গোলাপ, শ্রমবিষয়ক সম্পাদক হাবিবুর রহমান, দক্ষিণের সভাপতি আবুল হাসনাত, সাধারণ সম্পাদক শাহে আলম মুরাদ প্রমুখ এ সময় উপস্থিত ছিলেন।