হামলার আগে হাওয়া ভবন ও পিন্টুর ধানমন্ডির বাসায় বারবার বৈঠক

বনানীর হাওয়া ভবন ও সাবেক উপমন্ত্রী আবদুস সালাম পিন্টুর ধানমন্ডির ৫/এ সড়কের ৬১ নম্বর সরকারি বাসভবনে ২১ আগস্ট গ্রেনেড হামলার পরিকল্পনা হয়, যা আদালতের রায়ে প্রমাণিত হয়েছে।

কথিত আছে, বিএনপির নেতৃত্বাধীন চারদলীয় জোট সরকার ক্ষমতায় থাকার সময় বিকল্প ক্ষমতার কেন্দ্রবিন্দু ছিল এই হাওয়া ভবন। এখান থেকে সবকিছু নিয়ন্ত্রণ করতেন বিএনপি চেয়ারপারসনের বড় ছেলে ও বর্তমানে দলের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান।

রায়ে বলা হয়েছে, এই হাওয়া ভবনে তারেক রহমান সাবেক স্বরাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী লুৎফুজ্জামান বাবর, হুজি নেতা মুফতি হান্নানসহ অন্যদের সঙ্গে বৈঠক করেন। হামলার আগে পিন্টুর বাসভবনে দফায় দফায় হামলার পরিকল্পনা ও ষড়যন্ত্রমূলক বৈঠক হয়। হামলার ব্যাপারে আর্থিক ও প্রশাসনিক সহযোগিতার আশ্বাস দেন তারেক, বাবর ও পিন্টু। আসামিদের জবানবন্দি, সাক্ষীদের জবানবন্দি এবং অন্যান্য সাক্ষ্যপ্রমাণ বিশ্লেষণ করে আদালত এ রায় দেন।

গ্রেনেড হামলার দায়ে বাবর ও পিন্টুকে ফাঁসি এবং তারেককে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দিয়ে আদালত মন্তব্য করেছেন, বিরোধীদলীয় নেতাদের হত্যা করে ক্ষমতাসীনদের রাজনৈতিক ফায়দা লোটা গণতান্ত্রিক চিন্তার বহিঃপ্রকাশ নয়। জনগণ এ রাজনীতি চায় না। আদালত এ দেশে আর এমন নৃশংস ঘটনার পুনরাবৃত্তি চান না।

ঢাকার দ্রুত বিচার ট্রাইব্যুনাল-১–এর বিচারক শাহেদ নূর উদ্দিন আজ বুধবার এই রায় ঘোষণা করেন। অবশ্য তারেক রহমানকে সাজা দেওয়ায় এ রায় প্রত্যাখ্যান করেছে বিএনপি। দলটি বলছে, এ রায় ‘ফরমায়েশি’ ও ‘প্রতিহিংসার’ রায়। রায়ের পর বাবর বলেছেন, তিনি ন্যায়বিচার পাননি। অন্যদিকে সরকারি দল আওয়ামী লীগ তারেকের ফাঁসি চেয়েছে।

গ্রেনেড হামলায় জড়িত থাকার অভিযোগে আদালত তারেকসহ ৭ জন রাজনৈতিক নেতা, পুলিশের সাবেক ৩ জন মহাপরিদর্শকসহ (আইজিপি) ৮ জন পুলিশ বাহিনীর সদস্য, ডিজিএফআইয়ের সাবেক মহাপরিচালকসহ ৫ জন সামরিক বাহিনীর কর্মকর্তা এবং দেশি–বিদেশি জঙ্গি সংগঠনের ২৯ জনকে দণ্ড দিয়েছেন। ১৯ জনের মৃত্যুদণ্ড দেওয়া হয়েছে, যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দেওয়া হয়েছে আরও ১৯ জনের। আর বিভিন্ন মেয়াদে কারাদণ্ড হয়েছে আরও ১১ জনের।

২০০৪ সালের ২১ আগস্ট গুলিস্তানে আওয়ামী লীগের সমাবেশে গ্রেনেড হামলায় সাবেক রাষ্ট্রপতি জিল্লুর রহমানের স্ত্রী আইভি রহমানসহ ২২ জন নিহত হন। তৎকালীন বিরোধীদলীয় নেতা বর্তমান প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাসহ দলটির বহু নেতা-কর্মী আহত হন।

হামলার ঘটনার সঙ্গে জড়িত থাকার প্রমাণ পেয়ে ৫২ জনের বিরুদ্ধে আদালতে অভিযোগপত্র জমা দেয় পুলিশ। এ মামলার বিচার চলার সময় অন্য মামলায় জামায়াত নেতা আলী আহসান মোহাম্মাদ মুজাহিদ, মুফতি হান্নান ও শাহেদুল আলমের ফাঁসি কার্যকর হয়। তাঁদের মামলা থেকে অব্যাহতি দেওয়ায় আসামির সংখ্যা দাঁড়ায় ৪৯।

তারেক, বাবর ও পিন্টুর ভূমিকা নিয়ে রায়ে যা বলা হয়েছে

রায়ে বলা হয়েছে, মুফতি হান্নান ১৬৪ ধারার স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দিতে বলেন, ২০০৪ সালের ১৮ আগস্ট হুজির ঢাকা মহানগরের সভাপতি আবু তাহের মোহাম্মদপুর সুপার মার্কেটের কাছে তাঁর অফিসে তাঁকে (হান্নান) ও আহসান উল্লাহ কাজলকে ডাকেন। আবু তাহের মুফতি হান্নানকে বলেন, আবদুস সালাম পিন্টুর সঙ্গে বৈঠক করেছেন। ২১ আগস্ট আওয়ামী লীগের জনসমাবেশে গ্রেনেড নিক্ষেপ করে শেখ হাসিনাকে মেরে ফেলার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। পরে হান্নান ও আহসান উল্লাহ কাজল পিন্টুর সরকারি বাসভবনে যান। আবদুস সালাম পিন্টু তখন তাঁদের উদ্দেশে বলেন, আওয়ামী লীগের জনসমাবেশে শেখ হাসিনাকে হত্যার জন্য যা কিছু করা প্রয়োজন, তা আবু তাহেরের মাধ্যমে করা হবে। হামলার দিন হান্নান তাহেরের নির্দেশে হামলার দায়িত্বে কারা থাকবেন, তার তালিকা দেন। তাহেরের আদেশ অনুযায়ী হামলাকারীদের কাছে ১৫টি গ্রেনেড বুঝিয়ে দেন হান্নান। হামলার পর আহসান উল্লাহ কাজল মুফতি হান্নানকে মোবাইল ফোনে জানান, হামলার কাজ শেষ হয়েছে।

মুফতি হান্নান জবানবন্দিতে বলেন, কুমিল্লার মুরাদনগরের সাংসদ শাহ মোফাজ্জাল হোসেন কায়কোবাদ তাঁকে এবং অন্যদের হাওয়া ভবনে তারেক রহমান ও হারিছ চৌধুরীর সঙ্গে পরিচয় করিয়ে দেন। হামলার কাজকর্মের জন্য সহযোগিতা চাইলে তারেক রহমান অন্য আসামিদের সব ধরনের সহায়তার আশ্বাস দেয়। ২০০৪ সালের আগস্ট মাসে আওয়ামী লীগের প্রতিবাদ সভা আয়োজনের সংবাদ জানার পর শেখ হাসিনা ও আওয়ামী লীগ নেতাদের ওপর হামলা চালানোর সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। এ পরিকল্পনা বাস্তবায়নের জন্য পুনরায় তারেক রহমানের সঙ্গে সাক্ষাৎ করার সিদ্ধান্ত হয়। মুফতি হান্নান, মাওলানা আবু তাহের, মাওলানা শেখ ফরিদ, মাওলানা তাজউদ্দিন জঙ্গি সংগঠন আল মারকাজুলের গাড়িতে করে মাওলানা রশীদসহ অন্যরা হাওয়া ভবনে যান। সেখানে হারিছ চৌধুরী, লুৎফুজ্জামান বাবর, আলী আহসান মোহাম্মাদ মুজাহিদ, মেজর জেনারেল রেজ্জাকুল হায়দার, ব্রিগেডিয়ার জেনারেল (অব.) আবদুর রহিম উপস্থিত ছিলেন। কিছুক্ষণ পর তারেক রহমান সেখানে আসেন। শেখ হাসিনাসহ আওয়ামী লীগ নেতাদের ওপর হামলার পরিকল্পনার কথা জানিয়ে সহায়তা চাওয়া হয়। তারেক রহমান তখন বলেন, তাঁদের আর আসার দরকার নেই। লুৎফুজ্জামান বাবর ও আবদুস সালাম পিন্টুর সঙ্গে যোগাযোগ করে কাজ করার কথা বলেন। সব প্রকার সহায়তা দেবেন লুৎফুজ্জামান বাবর ও আবদুস সালাম পিন্টু। ওই বছরের ১৮ আগস্ট মুফতি হান্নান, আহসান উল্লাহ কাজল, মাওলানা আবু তাহের আবদুস সালাম পিন্টুর ধানমন্ডির বাসভবনে যান। সেখানে পিন্টু, বাবর, মাওলানা তাজউদ্দিন, আরিফ কমিশনার ও হানিফ পরিবহনের মালিক হানিফ উপস্থিত ছিলেন। পিন্টু, বাবর, কমিশনার আরিফ ও হানিফ তাঁদের সব প্রকার সহায়তা করবেন বলে জানান।

তারেক, বাবর ও পিন্টু
তারেক, বাবর ও পিন্টু

রায়ে বলা হয়, ২০ আগস্ট মুফতি মঈন ওরফে আবু জান্দাল ও আহসান উল্লাহ কাজল আবদুস সালাম পিন্টুর বাসা থেকে ১৫টি গ্রেনেড ও ২০ হাজার টাকা নিয়ে যান। ২১ আগস্ট মুফতি হান্নানসহ অন্য আসামিরা আওয়ামী লীগের সমাবেশে গ্রেনেড হামলা চালান। নিরপেক্ষ আটজন সাক্ষী মুফতি হান্নানের জবানবন্দি সমর্থন করে আদালতে জবানবন্দি দিয়েছেন। মামলার সাক্ষী আবদুর রশীদ আল মারকাজুল ইসলামী বাংলাদেশের সহসভাপতি হিসেবে মারকাজুলের মাইক্রোবাসে করে বনানীর হাওয়া ভবনে যান, যা মামলার একটি ঘটনাস্থল। ২০০৪ সালের আগস্টের মাঝামাঝি সময়ে সাক্ষী আবদুর রশীদ, মুফতি হান্নান, আবু তাহের, মাওলানা তাজউদ্দিনসহ বনানীর হাওয়া ভবনে যান। সেখানে তারেক রহমানকে উঠতে দেখেন। সাক্ষী রশীদের বক্তব্যের সঙ্গে মুফতি হান্নানের ১৬৪ ধারার স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দির মিল খুঁজে পাওয়া যায়।

রায়ে আরও বলা হয়, মাওলানা শেখ আবদুস সালাম ১৬৪ ধারার স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দিতে বলেন, ২০০৪ সালের মার্চ মাসে মোহাম্মদপুরের সাত মসজিদে একটি মিটিং হয়। মিটিংয়ে মাওলানা তাজউদ্দিন, হাফেজ আবু তাহের, আবদুল মাজেদ ভাট, মুফতি হান্নান এবং তিনি নিজে (মাওলানা শেখ আবদুস সালাম) উপস্থিত ছিলেন। মিটিংয়ে মাওলানা তাজউদ্দিন বলেন, আওয়ামী লীগ সরকার ক্ষমতায় থাকলে বাংলাদেশ ও ভারতে সংগঠনের কাজ চালাতে অসুবিধা হয়। আওয়ামী লীগ সভানেত্রী শেখ হাসিনাকে হত্যা করা গেলে আওয়ামী লীগ আর ক্ষমতায় আসতে পারবে না। তাদের দল (আওয়ামী লীগ) দুর্বল হয়ে যাবে। তাদের কার্যক্রম বাংলাদেশ ও ভারতে আরও জোরদার করা যাবে। শেখ হাসিনাকে মেরে ফেলা ছাড়া সংগঠনের কাজ চালিয়ে যাওয়া সম্ভব হবে না। কীভাবে এ কাজ করা হবে, সে ব্যাপারে তাজউদ্দিন বলেন, তাঁর কাছে ও মাজেদ ভাটের কাছে গ্রেনেড ও গোলা–বারুদ আছে। এ কাজে তাঁর ভাই আবদুস সালাম পিন্টু সরকারে মাধ্যমে সহায়তা করবেন। আসামি আবদুস সালামের এই বক্তব্য ছয়জন নিরপেক্ষ সাক্ষী সমর্থন করে আদালতে জবানবন্দি দিয়েছেন।

রায়ে বলা হয়, শাহেদুল আলম আদালতে দেওয়া জবানবন্দিতে বলেন, ২০০৪ সালের ২১ আগস্ট আসামি অভি মোবাইল ফোনের মাধ্যমে তাঁকে জানান যে ২১ আগস্টের জনসভায় শেখ হাসিনাকে হালকা নাশতা করানো হবে। এই আসামির বক্তব্য পাঁচজন সাক্ষী সমর্থন করে আদালতে জবানবন্দি দেন।

তাজউদ্দিনের গ্রেনেড দিয়ে হামলা

রায়ে উল্লেখ করা হয়েছে, আবদুল মাজেদ ভাট ১৬৪ ধারায় দেওয়া জবানবন্দিতে বলেন, কাশ্মীরের হিজবুল মুজাহিদীনে তিনি অংশ নেন। স্বাধীনতাসংগ্রামে যোগ দেন। পাকিস্তানের গোয়েন্দা সংস্থা আইএসআইয়ের লোকজনের কাছ থেকে তিনি প্রশিক্ষণপ্রাপ্ত হন। জঙ্গি সংগঠন লস্কর-ই-তৈয়বা, তেহরিক-ই-জেহাদ ইসলামি, জৈশ ই মোহাম্মদ, আল বদর, হরকাতুল জিহাদ এবং তালেবানের সঙ্গে তাঁর যোগাযোগ ছিল। বাংলাদেশে আসার পর তাঁর সব খরচ তাঁর সংগঠন হিজবুল মুজাহিদীনই বহন করত। তাজউদ্দিন তাঁকে জানান, এখন বাংলাদেশে বিএনপি ক্ষমতায় আছে। তাঁর ভাই একজন মন্ত্রী (আবদুস সালাম পিন্টু)। কাজেই তাজউদ্দিন যেকোনো কাজ করতে পারবেন। কোনো সমস্যা হলে তা সমাধন করতে পারবেন। মাজেদ ভাট জবানবন্দিতে বলেন, তাঁর বাসায় ৩০ হাজার গুলি রাখা হয়। তখন তিনি ভয়ে থাকতেন, কখন পুলিশ রেইড করে। মাওলানা তাজউদ্দিন সব সময় তাঁকে সাহস জোগাতেন। তাজউদ্দিন বলতেন, পুলিশ কোনো ঝামেলা হবে না।

রায়ে বলা হয়, মাজেদ ভাট জবানবন্দিতে বলেছেন, ২০০৪ সালের মার্চ মাসের প্রথম দিকে মাওলানা তাজউদ্দিন তাঁকে মোহাম্মদপুর সাত মসজিদে থাকতে বলেন। নামাজ শেষে তাজউদ্দিন তখন তাঁকে বলেন, যদি আওয়ামী লীগের সভানেত্রী শেখ হাসিনাকে হত্যা করা যায়, তাহলে আওয়ামী লীগ টুকরো টুকরো হয়ে যাবে। তাঁরা আর ক্ষমতায় আসতে পারবে না। ফলে বাংলাদেশ ও ভারতে কার্যক্রম চালাতে সুবিধা হবে। কাজেই শেখ হাসিনাকে মেরে ফেলতে হবে। মাওলানা আবদুস সালাম জানতে চান, এ কাজ কীভাবে করা যাবে? তখন তাজউদ্দিন বলেন, তাঁর কাছে যে গ্রেনেড আছে, সেই গ্রেনেড দিয়ে এ হামলার কাজ করা যাবে। তাজউদ্দিন আরও বলেন, বিএনপি সরকার এখন ক্ষমতায়, পরে ক্ষমতায় না–ও থাকতে পারে। আওয়ামী লীগ পুনরায় ক্ষমতায় এলে আর এ কাজ করা সম্ভব হবে না। আবদুস সালাম বিষয়টি গভীরভাবে চিন্তা করার প্রয়োজন আছে বললে তাজউদ্দিন তখন বলেন, এ নিয়ে চিন্তার কোনো কারণ নেই। সরকারের সহযোগিতা পাওয়ার বিষয়ে নিশ্চয়তা পাওয়া গেছে। এ বিষয়ে ভাইয়ের সঙ্গে কথা হয়েছে।

মাজেদ ভাট বলেন, মাওলানা তাজউদ্দিনকে ভারতে গ্রেনেড ও গুলি পাঠানোর যে দায়িত্ব দেওয়া হয়, তার জন্য বিভিন্ন সময় তাঁদের সংগঠনের পক্ষ থেকে ছয় থেকে সাত লাখ টাকা দেওয়া হয়। সেসব গ্রেনেড ও গুলি ভারতে পাঠানো হয়নি। ভারত সীমান্ত দিয়ে যে লোক গ্রেনেড ও গুলি সরবরাহ করত, তিনি বিএসএফের হাতে ধরা পড়ে যান। তখন সরবরাহ বন্ধ হয়ে যায়। ২০০৪ সালের ২১ আগস্ট ঢাকায় বঙ্গবন্ধু এভিনিউতে আওয়ামী লীগের জনসমাবেশে যে গ্রেনেড হামলা হয়েছে, তা তাজউদ্দিনের কাছে থাকা গ্রেনেড, যা মুজাফফার শাহ তাঁকে দিয়েছিলেন।

২০০৬ সালের ৭ অক্টোবর মাজেদ ভাট বাংলাদেশি পাসপোর্ট নিয়ে পাকিস্তানে যান। এর ১০ থেকে ১৫ দিন পর ইসলামাবাদে তাজউদ্দিনের সঙ্গে তাঁর দেখা হয়। তাজউদ্দিন তখন জানান, মুফতি হান্নান ধরা পড়েছেন। পুলিশের কাছে ২১ আগস্ট গ্রেনেড হামলাসহ সব গ্রেনেড হামলার কথা তিনি (হান্নান) বলে দিয়েছেন। পুলিশ তাঁকে খুঁজছে। এ অবস্থায় তাজউদ্দিন ডিজিএফআইয়ের সহযোগিতায় নাম পরিবর্তন করে বাদল নামের পাসপোর্ট নিয়ে পাকিস্তানে চলে আসেন।