লক্ষ্মীপুরে ইলিশ ধরার দায়ে ৮ জেলের কারাদণ্ড

নিষেধাজ্ঞা অমান্য করে অভয়াশ্রম থেকে মেঘনা নদীতে ইলিশ ধরার দায়ে লক্ষ্মীপুরের রামগতিতে ৮ জেলেকে ২০ দিন করে বিনাশ্রম কারাদণ্ড দিয়েছেন ভ্রাম্যমাণ আদালত। আজ সোমবার বিকেলে রামগতি উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ও নির্বাহী হাকিম মোহাম্মদ রফিকুল হক এই দণ্ডাদেশ দেন।

কারাদণ্ডপ্রাপ্ত জেলেরা হচ্ছেন নোয়াখালীর হাতিয়া উপজেলার মধ্য মজলিশপুর এলাকার রবিউল হকের ছেলে মো. শাহজাহান, মো. শাহিন, মো. শাহাব উদ্দিন, মো. শাকিল; মো. হানিফের ছেলে মো. শাহাদাত হোসেন; চানন্দী এলাকার মো. আনছার উল্লাহর ছেলে মো. সালাউদ্দিন; চরগোসিয়া এলাকার মহিন্দ্র কুমার দাসের ছেলে গোলাপ দাস ও রামগতির বয়ারচর এলাকার মো. বাহারের ছেলে মো. শাহেদ।

মৎস্য সম্পদ উন্নয়ন ও সংরক্ষণবিষয়ক রামগতি উপজেলা টাস্কফোর্সের সদস্যসচিব উপজেলা মৎস্য কর্মকর্তা জসীম উদ্দিন বলেন, ইলিশের ভরা প্রজনন মৌসুমে (আশ্বিনের ভরা পূর্ণিমার আগের চার দিন ও পরের সতেরো দিন) ডিম ছাড়ার জন্য মা ইলিশ মেঘনা নদীর অভয়াশ্রমে আসে। এ কারণে ৭ অক্টোবর থেকে ২৮ অক্টোবর পর্যন্ত মেঘনা নদীর ইলিশ অভয়াশ্রমে সব ধরনের মাছ ধরার ওপর নিষেধাজ্ঞা জারি করা হয়েছে। এই নিষেধাজ্ঞা অমান্য করে সকালে মাছ ধরার সময় বয়ারচরের পাশে মেঘনা নদী থেকে তিনটি নৌকাসহ আট জেলেকে আটক করা হয়। উপজেলা মৎস্য বিভাগ ও বড়খেরি ক্যাম্পের নৌ-পুলিশ যৌথ অভিযান চালিয়ে তাঁদের আটক করে।

বড়খেরি নৌ-পুলিশ ক্যাম্পের ইনচার্জ মো. আল মামুন বলেন, আটক জেলেদের বিকেলে নির্বাহী হাকিম মোহাম্মদ রফিকুল হকের ভ্রাম্যমাণ আদালতে হাজির করা হয়। নিষিদ্ধ সময়ে মাছ ধরার অপরাধ স্বীকার করায় ভ্রাম্যমাণ আদালত তাঁদের প্রত্যেককে ২০ দিন করে বিনাশ্রম কারাদণ্ড দেন এবং তাঁদের কাছ থেকে জব্দ করা তিনটি নৌকা নিষেধাজ্ঞার সময়সীমা শেষে (২৮ অক্টোবরের পরে) নিলামে বিক্রির আদেশ দেন। পরে দণ্ডপ্রাপ্ত জেলেদের রামগতি থানায় হস্তান্তর করা হয়।

রামগতি থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) এ টি এম আরিচুল হক বলেন, দণ্ডপ্রাপ্ত জেলেদের লক্ষ্মীপুর জেলা করাগারে পাঠানো হবে।