গৃহপরিচারিকাকে নির্যাতন, গৃহকর্ত্রী গ্রেপ্তার

লামিয়া আক্তার মরিয়ম
লামিয়া আক্তার মরিয়ম

বরিশাল নগরে শিশু গৃহপরিচারিকাকে নির্যাতনের অভিযোগে গৃহকর্ত্রী শারমিন আকতারকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। নগরের ২৯ নম্বর ওয়ার্ডের মদিনা সড়কের ভাড়া বাসা থেকে গতকাল সোমবার রাতে তাঁকে গ্রেপ্তার করা হয়। নির্যাতনের শিকার লামিয়া আক্তার মরিয়মকে (১২) উদ্ধার করে শের-ই-বাংলা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।

লামিয়া বরিশালের গৌরনদী উপজেলার নোয়াপাড়া এলাকার ইকবাল সরদারের মেয়ে। তার মা নেই, বাবা ঢাকায় রিকশা চালান। সে দাদির কাছে থাকত। গ্রেপ্তার শারমিন আকতার বেসরকারি সংস্থার কর্মকর্তা আশরাফুল ইসলাম চৌধুরীর স্ত্রী। স্ত্রীকে গ্রেপ্তারের খবর পেয়ে তিনি আত্মগোপন করেছেন বলে পুলিশ জানিয়েছে।

বরিশাল নগর পুলিশের সহকারী পুলিশ কমিশনার নাসির উদ্দিন মল্লিক বলেন, গোপন সংবাদের ভিত্তিতে গোয়েন্দা পুলিশ (ডিবি) জানতে পারে, মদিনা সড়কের ‘আকাশ মঞ্জিল’ এর চারতলার ভাড়া বাসায় লামিয়াকে আটকে রেখে নির্যাতন করা হচ্ছে। সোমবার রাত ৯ টার দিকে ওই বাসায় অভিযান চালিয়ে লামিয়াকে উদ্ধার ও শারমিনকে আটক করা হয়।

লামিয়া জানায়, সে ছয় মাস আগে আশরাফুল-শারমিন দম্পতির বাসায় আসে। প্রথম সে তাঁদের ছোট বাচ্চাকে দেখাশোনা করত। পরে তাকে দিয়ে বাড়ির ভারী কাজ করতে বাধ্য করা হতো। কাজ পছন্দ না হলে তাকে মারধর করতেন তাঁরা। বাড়ি ফিরে যেতে চাইলে তাঁরা তার মাথার চুল কেটে দেন এবং মারধর করেন। নির্যাতনের কারণে তার দুই হাতে ক্ষতের সৃষ্টি হয়েছে। চিকিৎসা না করানোর ফলে তাতে পচন ধরেছে।

বরিশাল শের-ই-বাংলা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের শিশু বিভাগের প্রধান অসীম কুমার বলেন, শিশুটি শারীরিকভাবে অসুস্থ। তার সুস্থ হয়ে উঠতে সময় লাগতে পারে। তবে আশঙ্কার কিছু নেই।

বরিশাল নগর গোয়েন্দা পুলিশের উপপরিদর্শক (এসআই) ইউনুস আলী ফরাজী মঙ্গলবার বিকেলে প্রথম আলোকে বলেন, এ ঘটনায় তিনি বাদী হয়ে বিমানবন্দর থানায় শিশু ও মানবপাচার আইনে একটি মামলা দায়ের করেছেন। মামলায় শারমিন ও তাঁর স্বামীকে আসামি করা হয়েছে।