প্রশিক্ষণ নিয়ে বিদেশ যান

বিদেশে চাকরিপ্রার্থীদের জন্য প্রশিক্ষণ অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ উল্লেখ করে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা চাকরির জন্য দেশের বাইরে যাওয়ার আগে সঠিক প্রশিক্ষণ গ্রহণের পরামর্শ দিয়েছেন। বৃহস্পতিবার বিকেলে সৌদি আরবের জেদ্দায় বাংলাদেশ কনস্যুলেট ভবনের ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপনকালে প্রধানমন্ত্রী এসব কথা বলেন। ছবি: বাসস
বিদেশে চাকরিপ্রার্থীদের জন্য প্রশিক্ষণ অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ উল্লেখ করে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা চাকরির জন্য দেশের বাইরে যাওয়ার আগে সঠিক প্রশিক্ষণ গ্রহণের পরামর্শ দিয়েছেন। বৃহস্পতিবার বিকেলে সৌদি আরবের জেদ্দায় বাংলাদেশ কনস্যুলেট ভবনের ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপনকালে প্রধানমন্ত্রী এসব কথা বলেন। ছবি: বাসস

বিদেশে চাকরিপ্রার্থীদের জন্য প্রশিক্ষণ অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ উল্লেখ করে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা চাকরির জন্য দেশের বাইরে যাওয়ার আগে সঠিক প্রশিক্ষণ গ্রহণের পরামর্শ দিয়েছেন। তিনি বলেছেন, ‘এটি খুবই দুর্ভাগ্যজনক যে যাঁরা চাকরি নিয়ে বিদেশে যেতে চান, তাঁদের প্রশিক্ষণ নেওয়ার আগ্রহ কম। অল্প কিছু টাকা খরচ করে সার্টিফিকেট সংগ্রহ করে বিদেশে যাওয়ার পর তাঁরা বিপদে পড়েন।’

প্রধানমন্ত্রী আজ বৃহস্পতিবার বিকেলে সৌদি আরবের জেদ্দায় বাংলাদেশ কনস্যুলেট ভবনের ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপনকালে এসব কথা বলেন। মহানবী হজরত মুহাম্মদ (স.)-এর রওজা মোবারক জিয়ারত শেষে দুপুরে জেদ্দায় পৌঁছান তিনি। এর আগে প্রধানমন্ত্রী ও তাঁর সফরসঙ্গীদের বহনকারী সৌদি অ্যারাবিয়ান এয়ারলাইনসের একটি বিশেষ ফ্লাইট দুপুর ১২টার দিকে বাদশাহ আবদুল আজিজ আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে অবতরণ করে।

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেন, ‘যাঁরা চাকরি নিয়ে বিদেশে যেতে ইচ্ছুক, সরকার তাঁদের প্রশিক্ষণের ব্যবস্থা করছে। এই প্রশিক্ষণ তাঁদের জন্য খুবই গুরুত্বপূর্ণ। অন্যথায় বিদেশে অবস্থানকালে অত্যাচার-নির্যাতনের শিকার হন তাঁরা।’ তিনি বলেন, অনেক মানুষ যথাযথ প্রশিক্ষণ না থাকায় বিপদের শিকার হন। এটা খুবই দুঃখজনক এবং যাতে কেউ এ কাজ না করেন, সে ব্যাপারে মনোযোগ দেওয়া দরকার।

প্রধানমন্ত্রী বলেন, বিদেশে চাকরিপ্রার্থী অনেক লোক দালালের খপ্পরে পড়ে জায়গা-জমি বিক্রি করে বিপদে পড়েন। তাঁদের ভুল সিদ্ধান্তের জন্য দিনের পর দিন জেলে কাটাতে হয়। তাঁদের তথ্য প্রদানের মাধ্যমে প্রবাসীরা গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করতে পারেন।

প্রধানমন্ত্রী প্রবাসী কল্যাণ তহবিলকে প্রবাসীদের কল্যাণে লাগানোর প্রয়োজনীয়তার ওপর জোর দিয়ে বলেন, ‘বৈদেশিক অর্থের বড় অংশই আসে প্রবাসীদের পাঠানো রেমিট্যান্সে। আমাদের দূতাবাস ও মিশনগুলো তাঁদের অর্থেই পরিচালিত হয়। তাই আমি চাই, প্রবাসী কল্যাণ তহবিল তাঁদের কল্যাণেই ব্যবহৃত হোক।’

শেখ হাসিনা বলেন, ‘প্রবাসীদের সন্তানদের জন্য স্কুল প্রতিষ্ঠায় এ তহবিল ব্যবহৃত হবে এবং সেই স্কুলগুলো এ তহবিলেই চলবে। কেননা, প্রবাসীদের টাকা দিয়েই এ তহবিল গঠন করা হয়। এটি মনে রাখতে হবে।’ মদিনায় বাংলাদেশি স্কুল বন্ধ প্রসঙ্গে তিনি বলেন, ‘এই স্কুল বন্ধ হবে না; চালু থাকবে। এ জন্য যত টাকা দরকার, আমি দিব।’ এ ব্যাপারে তিনি প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের সচিবকে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ গ্রহণের নির্দেশ দেন।

প্রধানমন্ত্রী দেশের আর্থসামাজিক উন্নয়নে প্রবাসীদের অবদান ও প্রতিটি আন্দোলন-সংগ্রামে তাঁদের অবদানের কথাও স্মরণ করেন। সৌদি আরবে বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত গোলাম মসিহ অনুষ্ঠানে অন্যান্যের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন।

প্রধানমন্ত্রী বৃহস্পতিবার রাতে এশার নামাজের পর মক্কায় পবিত্র ওমরাহ পালন করবেন। আগামীকাল শুক্রবার দেশের উদ্দেশ্যে জেদ্দা ত্যাগ করবেন তিনি।

সৌদি বাদশাহ এবং দুটি পবিত্র মসজিদের খাদেম সালমান বিন আবদুল আজিজ আল সৌদের আমন্ত্রণে প্রধানমন্ত্রী চার দিনের সরকারি সফরে গত মঙ্গলবার সৌদি আরবে যান।