অনুন্নত সরঞ্জামে খালেদা জিয়ার স্বাস্থ্য পরীক্ষা

রুহুল কবির রিজভী। প্রথম আলো ফাইল ছবি
রুহুল কবির রিজভী। প্রথম আলো ফাইল ছবি

বিএনপির চেয়ারপারসন খালেদা জিয়াকে যথাযথ চিকিৎসা দেওয়া হচ্ছে না বলে অভিযোগ করেছেন দলটির জ্যেষ্ঠ যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী। তাঁর দাবি, বিএনপির চেয়ারপারসনকে বিএসএমএমইউতে যে ফিজিওথেরাপি দেওয়া হয়, সেটিও পর্যাপ্ত নয়। তাঁকে অনুন্নত চিকিৎসা সরঞ্জামাদি দিয়ে স্বাস্থ্য পরীক্ষা করাতে বাধ্য করা হচ্ছে।

আজ রোববার রাজধানীর নয়াপল্টনে বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে এই অভিযোগ করেন রিজভী।

রিজভী বলেন, খালেদা জিয়ার ব্যক্তিগত বিশেষজ্ঞ ডাক্তারদেরও অন্তর্ভুক্ত করা হয়নি স্বাস্থ্য পরীক্ষার জন্য। অথচ এ বিষয়ে উচ্চ আদালতের নির্দেশনা ছিল।

বিএনপির চেয়ারপারসন খালেদা জিয়াকে চিকিৎসার জন্য ৬ অক্টোবর বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ে (বিএসএমএমইউ) আনা হয়। এরপর থেকেই চিকিৎসার জন্য খালেদা জিয়া ভিআইপি কেবিনে রয়েছেন। জিয়া অরফানেজ ট্রাস্ট দুর্নীতি মামলায় গত ৮ ফেব্রুয়ারি খালেদা জিয়াকে পাঁচ বছর সশ্রম কারাদণ্ড ও অর্থদণ্ডাদেশ দেন ঢাকার বিশেষ জজ আদালত-৫। এরপর থেকে খালেদা জিয়া নাজিমুদ্দিন রোডের কেন্দ্রীয় কারাগারে ছিলেন।

আজকের সংবাদ সম্মেলনে রিজভী বলেন, দল ও পরিবারের পক্ষ থেকে বিশেষায়িত হাসপাতালে খালেদা জিয়ার চিকিৎসার দাবিকে সরকার তাচ্ছিল্য সহকারে অগ্রাহ্য করেছে। কারণ খালেদা জিয়া সুস্থ হলে সরকারপ্রধানের প্রতিহিংসা চরিতার্থ হবে না। সেই জন্যই আধুনিক যন্ত্রপাতির সমন্বয়ে সজ্জিত বিশেষায়িত হাসপাতালে চিকিৎসার সুযোগ থেকে খালেদা জিয়াকে বঞ্চিত করা হয়েছে।
খালেদা জিয়ার সুচিকিৎসা নিশ্চিত করার জন্য তাঁর পছন্দমতো চিকিৎসক এবং হাসপাতালের ব্যবস্থা করার দাবি জানান রিজভী।
বিএনপির এই নেতা বলেন, বাংলাদেশে ক্রমপ্রসারমান নৈরাজ্যে বিরোধী দলের নেতা-কর্মীরা এখন দ্বিতীয় শ্রেণির নাগরিকে পরিণত হয়েছেন। তাঁরা যেন নিজ দেশেই পরবাসী। অবৈধ শাসকগোষ্ঠী ফ্যাসিবাদের বিষাক্ত আক্রমণে সারা দেশ আওয়ামী লীগের উপনিবেশে পরিণত হয়েছে। এ দেশে আওয়ামী নেতা-কর্মীরা ছাড়া ভিন্ন মত, পথ ও বিশ্বাসের মানুষের নিরাপদ সুস্থ জীবন নিয়ে বেঁচে থাকার কোনো অধিকার নেই।

রিজভী বলেন, ১ সেপ্টেম্বর থেকে ১৯ অক্টোবর পর্যন্ত বিএনপির নেতা-কর্মীদের বিরুদ্ধে ৪ হাজার ২১৩টি মামলা হয়েছে। এতে এজাহারে জ্ঞাত আসামি করা হয়েছে ৯৫ হাজার ৬৩২ জনকে। অজ্ঞাত আসামি করা হয়েছে ২ লাখ ৮৮ হাজার ১৪৬ জনকে। এ পর্যন্ত ৫ হাজার ৬০ জনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে বলেও দাবি করেন রিজভী।