গ্রেপ্তার হননি দুই আসামি

নিহত আকিফা
নিহত আকিফা
>

• কুষ্টিয়ায় শিশু আকিফা হত্যা
• বাসমালিক ও সুপারভাইজার পলাতক।
• নভেম্বরে আদালতে অভিযোগপত্র দেওয়ার প্রস্তুতি পুলিশের।

কুষ্টিয়ায় বাসের ধাক্কায় মায়ের কোল থেকে পড়ে শিশু আকিফার মৃত্যুর ঘটনায় করা হত্যা মামলার পলাতক দুই আসামিকে এখনো গ্রেপ্তার করতে পারেনি পুলিশ। এ অবস্থায় মামলার তদন্ত কর্মকর্তা আগামী নভেম্বর মাসে আদালতে অভিযোগপত্র দেওয়ার প্রস্তুতি নিচ্ছেন।

পলাতক আসামিরা হলেন বাসমালিক মো. জয়নাল আবেদীন ও সুপারভাইজার মো. ইউনুস। কারাগারে আছেন বাসচালক মহিদ মিয়া।

ফয়সাল গঞ্জেরাজ পরিবহনের একটি বাস গত ২৮ আগস্ট কুষ্টিয়া শহরের চৌড়হাস মোড় এলাকায় শিশু আকিফাকে কোলে নিয়ে সড়ক পার হতে থাকা তার মাকে ধাক্কা দেয়। এতে সড়কে ছিটকে পড়ে গুরুতর আহত আকিফা ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যায়। এ ঘটনায় আকিফার বাবা হারুন অর রশিদ কুষ্টিয়া মডেল থানায় বাসমালিক, চালক ও সুপারভাইজারের বিরুদ্ধে হত্যাচেষ্টার মামলা করেন।

গত ৯ সেপ্টেম্বর বাসমালিক জয়নাল আবেদীনকে গ্রেপ্তার করে পুলিশে সোপর্দ করে র‍্যাব। ১০ সেপ্টেম্বর তাঁকে আদালতে পাঠায় পুলিশ। আদালতে একই সময়ে বাসচালক মহিদ মিয়া আত্মসমর্পণ করেন। তাঁদের আইনজীবী জামিনের আবেদন করলে আদালত জামিন দেন। পরদিন মামলার তদন্ত কর্মকর্তা মামলাটিতে ৩০২ ধারা সংযোজনের জন্য একই আদালতে আবেদন করেন। আদালত তা মঞ্জুর করেন। আদালতের উপপরিদর্শক আজহার আলী বাসমালিক ও চালকের জামিন বাতিলের আবেদন করলে আদালত জামিন বাতিল করে তাঁদের বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করেন। র‍্যাব আবারও মহিদকে গ্রেপ্তার করে পুলিশে দেয়। তবে জয়নালকে গ্রেপ্তার করা যায়নি। এ ঘটনায় জব্দ করা বাসটি কুষ্টিয়া মডেল থানায় রাখা হয়েছে।

মামলার তদন্ত কর্মকর্তা কুষ্টিয়া মডেল থানার উপপরিদর্শক সুমন কাদেরী গতকাল রোববার প্রথম আলোকে বলেন, ‘ময়নাতদন্ত প্রতিবেদন পেলে আশা করা যাচ্ছে নভেম্বর মাসের মধ্যে আদালতে অভিযোগপত্র জমা দেওয়া সম্ভব হবে।’ তিনি বলেন, বাসচালক মহিদ ২৯ সেপ্টেম্বর আদালতে ১৬৪ ধারায় স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিয়েছেন।

গতকাল সকালে চৌড়হাস এলাকায় আকিফাদের বাড়িতে গেলে তার বাবা হারুন অর রশিদ বলেন, পুলিশ বাসমালিকসহ দুই আসামিকে ধরতে পারেনি। এ জন্য তিনি মামলাটি নিয়ে একটু শঙ্কিত।

আকিফার বাবা বলেন, যে বাসটি জব্দ করা হয়েছে, সেটি ওই বাস কি না, তা নিয়ে তাঁর সন্দেহ রয়েছে। একই মালিকের আরও বাস রয়েছে।

তবে মামলার তদন্ত কর্মকর্তার দাবি, ওই বাসটিই জব্দ করা হয়েছে। তিনি বলেন, যে আসামি একবার গ্রেপ্তার হয়ে ছাড়া পেয়েছেন, তাঁকে ধরা কঠিন। এরপরও তাঁকে (জয়নাল) ধরতে অভিযান চলছে।