আ. লীগ-বিএনপিতে একাধিক প্রার্থী, জাপায় একজনই

>

• আদিতমারী ও কালীগঞ্জ উপজেলার ১৬টি ইউনিয়ন নিয়ে গঠিত
• মোট ভোটার: ৩ লাখ ৪৬ হাজার ১৩১ .২০০৮ সালের নির্বাচন
• বিজয়ী প্রার্থী: মজিবর রহমান (জাপা)।
• প্রাপ্ত ভোট: ১ লাখ ৬১ হাজার ৬৭৭।
• নিকটতম প্রার্থী: সালেহ উদ্দিন আহমেদ (বিএনপি)
• প্রাপ্ত ভোট: ৬১ হাজার ৫৯৯।
• ১৯৯১ থেকে ২০১৪ সাল পর্যন্ত পাঁচটি জাতীয় সংসদ নির্বাচনে জাপা টানা চারবার জয় পেয়েছে।
আওয়ামী লীগ পেয়েছে একবার, তা-ও বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায়।
• এ আসনে এখন দুজনকে দুই দলের শক্ত প্রার্থী হিসেবে মনে করা হয়।
• তাঁরা হলেন আ. লীগের নুরুজ্জামান আহমেদ এবং জাপার রোকন উদ্দিন বাবুল।

মাত্র একবার আওয়ামী লীগ আর চারবার জাতীয় পার্টির (জাপা) দখলে ছিল লালমনিরহাট-২ আসন। ১৯৯১ থেকে ২০১৪ সাল পর্যন্ত পাঁচটি জাতীয় সংসদ নির্বাচনে জাপা টানা চারবার জয় পেয়েছে। আওয়ামী লীগ পেয়েছে একবার, তা-ও আবার বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায়, ২০১৪ সালের ৫ জানুয়ারির ‘একতরফা’ নির্বাচনে।

এ আসনে এখন দুজনকে দুই দলের শক্ত প্রার্থী হিসেবে মনে করা হয়। তাঁরা হলেন আওয়ামী লীগের নুরুজ্জামান আহমেদ এবং জাপার রোকন উদ্দিন বাবুল। এই দুই দল জোটবদ্ধ নির্বাচন করলে এক রকম, আলাদা করলে অন্য রকম হিসাব। এটা নির্ভর করছে বিএনপির নির্বাচনে আসা, না-আসার ওপর।

আওয়ামী লীগের দুজন মাঠে
আ. লীগের মনোনয়নপ্রত্যাশী দুজন। তাঁদের একজন বর্তমান সাংসদ ও সমাজকল্যাণ প্রতিমন্ত্রী নুরুজ্জামান আহমেদ। তিনি জেলা আ. লীগের কার্যকরী কমিটির সদস্য এবং কালীগঞ্জ উপজেলা আ. লীগের সভাপতি। অপরজন হলেন, জেলা আ. লীগের জ্যেষ্ঠ সহসভাপতি সিরাজুল হক। তিনি আদিতমারী উপজেলার দুর্গাপুর ইউনিয়নের বাসিন্দা। লালমনিরহাট জেলা শহরেও বাসা আছে তাঁর।

আদিতমারী উপজেলার একাধিক আ. লীগ নেতা জানান, সার্বিক উন্নয়নের বিচারে বিগত পাঁচ বছরে কালীগঞ্জের চেয়ে আদিতমারী পিছিয়ে আছে। নুরুজ্জামান আহমেদ এ অভিযোগ সত্য নয় দাবি করে বলেন, তাঁর আমলে আদিতমারীর সারপুকুর ইউনিয়নের স্বর্ণামতি নদীর ওপর একটি চার লেন সেতু নির্মিত হয়েছে। তাঁর আমলেই নির্মাণকাজের শুরু ও শেষ হয়েছে।

এ ছাড়া কাকিনা-মহিপুর শেখ হাসিনা তিস্তা সেতু এবং আদিতমারী ও কালীগঞ্জের বিভিন্ন অবকাঠামোগত উন্নয়ন হয়েছে। জোট বা মহাজোট যা-ই হোক, তিনি এবারও মনোনয়ন পাবেন বলে আশাবাদী।

আ. লীগের অপর মনোনয়নপ্রত্যাশী সিরাজুল হক বলেন, তিনি ১৯৯০ ও ২০০৯ সালে আদিতমারী উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান ছিলেন। লালমনিরহাট চেম্বারের চারবারের সভাপতি এবং এফবিসিসিআইয়ের কেন্দ্রীয় পরিচালক ছিলেন তিনবার। এবার তিনিই মনোনয়ন পাবেন বলে আশাবাদী।

জাপার একজনই
জাতীয় পার্টির কেন্দ্রীয় কমিটির যুগ্ম সমাজকল্যাণবিষয়ক সম্পাদক ও লালমনিরহাট জেলা জাপার আহ্বায়ক কমিটির সদস্য রোকন উদ্দিন বাবুল এ আসনে জাপার একমাত্র মনোনয়নপ্রত্যাশী।

কালীগঞ্জের বাসিন্দা রোকন উদ্দিন বলেন, এ আসনে জাপার প্রার্থী পরপর চারবার বিজয়ী হয়েছেন। তাঁর দাবি, গত ১৬ এপ্রিল আদিতমারীর কুমড়ীরহাট এসসি স্কুল অ্যান্ড কলেজ মাঠের জনসভায় দলীয় চেয়ারম্যান এইচ এম এরশাদ আসনটিকে জাপার দুর্গ হিসেবে আখ্যায়িত করে তাঁকে প্রার্থী ঘোষণা করেছেন।

বিএনপির একাধিক প্রার্থী
জেলা বিএনপির সাবেক সাধারণ সম্পাদক ও সাবেক সহসভাপতি সালেহ উদ্দিন আহমেদ এবং জেলা কমিটির সদস্য ও কালীগঞ্জ থানা বিএনপির আহ্বায়ক কমিটির সদস্য সচিব জাহাঙ্গীর আলম এখানে দলীয় মনোনয়নপ্রত্যাশী। এর আগে ১৯৯৬ সালের ১৫ ফেব্রুয়ারির নির্বাচনে সালেহ উদ্দিন সাংসদ হয়েছিলেন। ২০০৮ সালে তিনি হেরে যান।

আর জাহাঙ্গীর আলম ২০১৪ সালে কালীগঞ্জ উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে চেয়ারম্যান পদে নির্বাচন করে হেরে যান। বর্তমানে তিনি কালীগঞ্জের চন্দ্রপুর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান। তিনি জেলা বিএনপির সভাপতি ও সাবেক উপমন্ত্রী আসাদুল হাবিবের পছন্দের লোক হিসেবে পরিচিত। সালেহ উদ্দিনের সঙ্গে আসাদুল হাবিবের দূরত্ব রয়েছে বলে প্রচার আছে।

সালেহ উদ্দিন আহমেদ হেলাল বলেন, ‘আমি কেন্দ্রীয় বিএনপির নীতি ও আদর্শ মেনে চলি। আমি এ আসনে আগে দলীয় মনোনয়নে নির্বাচন করেছি। দল আগামী নির্বাচনে গেলে আমাকে মনোনয়ন দেবে বলে আশাবাদী।’