সোনা পাচারে অ্যাভিয়েশন সিকিউরিটির সদস্য আটক

জব্দ হওয়া সোনার বার। ছবি: সংগৃহীত
জব্দ হওয়া সোনার বার। ছবি: সংগৃহীত

সোনা চোরাচালানে জড়িত থাকার অভিযোগে ঢাকার হজরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে এক যাত্রী ও অ্যাভিয়েশন সিকিউরিটির এক সদস্যকে আটক করা হয়েছে।

গতকাল শনিবার রাত নয়টার দিকে ওই দুজনকে আটক করা হয়। ঢাকা কাস্টম হাউসের উপকমিশনার অথেলো চৌধুরী এই তথ্য জানান।

আটক দুজন হলেন সৌদি এয়ারলাইনসের একটি ফ্লাইটে আসা যাত্রী মো. ইয়াকুব মিয়া ও অ্যাভিয়েশন সিকিউরিটির সদস্য মো. শরীফুল ইসলাম।

আটক যাত্রী মো. ইয়াকুব মিয়া। ছবি: সংগৃহীত
আটক যাত্রী মো. ইয়াকুব মিয়া। ছবি: সংগৃহীত

ঢাকা কাস্টম হাউস সূত্র জানায়, গোপন তথ্য থাকায় কাস্টম হাউসের প্রিভেনটিভ টিম ও নিয়মিত শিফটের কর্মকর্তারা বিমানবন্দরের গুরুত্বপূর্ণ পয়েন্টে অবস্থান নেন।

সৌদি এয়ারলাইনসের ফ্লাইটটি রাত ৯টার দিকে অবতরণের পর বোর্ডিং ব্রিজ-৭-এ সংযুক্ত হয়। যাত্রীরা নামতে শুরু করলে সন্দেহভাজন যাত্রী ইয়াকুবকে অনুসরণ করা হয়। গ্রিন চ্যানেল অতিক্রমের পর তাঁর কাছে শুল্ক কর আরোপযোগ্য কোনো পণ্য আছে কি না, তা জানতে চাওয়া হয়। তিনি অস্বীকার করেন। এ সময় তাঁর মোবাইলে ঘন ঘন ফোন আসতে থাকে। বাংলাদেশি মোবাইল নম্বর ধরে নিরাপত্তা সদস্য শরীফুল আলমকে অনুসরণ করা হয়। কাস্টমসের উপস্থিতি টের পেয়ে শরীফুল দৌড়ে স্টাফ গেট দিয়ে পালিয়ে যান। পরে বিমানবন্দরের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের সহযোগিতায় তাঁকে আটক করা হয়।

আটক অ্যাভিয়েশন সিকিউরিটির সদস্য মো. শরীফুল ইসলাম। ছবি: সংগৃহীত
আটক অ্যাভিয়েশন সিকিউরিটির সদস্য মো. শরীফুল ইসলাম। ছবি: সংগৃহীত

আটকের পর যাত্রী ও অ্যাভিয়েশন সিকিউরিটির সদস্যকে কাস্টমস ব্যাগেজ কাউন্টারে নেওয়া হয়। যাত্রীর দেহ তল্লাশি করে তাঁর পরনের জ্যাকেট থেকে পাঁচটি সোনার বার উদ্ধার করা হয়। এর ওজন ৫৮০ গ্রাম। আনুমানিক মূল্য প্রায় ২৯ লাখ টাকা।

আটক যাত্রী ও অ্যাভিয়েশন সিকিউরিটির সদস্যকে থানা-পুলিশের কাছে সোপর্দ করা হয়েছে।