পানিপথে কলকাতা টু ঢাকা!

পশ্চিমবঙ্গের সঙ্গে বাংলাদেশের বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্ককে আরও জোরদার করার লক্ষ্য নিয়ে এবার নৌপথে চালু হচ্ছে বিলাসবহুল ক্রুজ জলযান। এই জলযান কলকাতার মিলেনিয়াম পার্ক থেকে ছেড়ে হলদিয়া বন্দর হয়ে সুন্দরবন ধরে বরিশাল-নারায়ণগঞ্জ দিয়ে পৌঁছাবে ঢাকায়।

কলকাতা থেকে দুই দেশের সুন্দরবন ঘুরে আরও এই জলযান বা ক্রুজ ঢাকায় পৌঁছাবে। এই ক্রুজ চালাবে ‘ভিভান্ডা ক্রুজ’। তারা ইতিমধ্যে এই ক্রুজ চালানোর কথা তাদের ওয়েবসাইটে ঘোষণা করেছে। কলকাতা থেকে সুন্দরবন হয়ে ঢাকায় চলাচলে ১৩ দিন ১৪ রাতের প্যাকেজ থাকছে। এর মধ্যে প্রথম চার দিন কলকাতার মিলেনিয়াম পার্কের গঙ্গার ঘাট থেকে এটি ছেড়ে হলদিয়া বন্দর হয়ে ভারতের অংশের সুন্দরবন ঘুরে বাংলাদেশের সুন্দরবন হয়ে ঢাকার পথে যাত্রা করবে। দাঁড়াবে বরিশালও। মূলত, ষষ্ঠ দিনে এই জলযানটি সুন্দরবনের ভারতীয় অংশ থেকে বাংলাদেশের সুন্দরবনে প্রবেশ করবে। তারপর বাংলাদেশের সুন্দরবন ঘুরে বরিশাল হয়ে চলে যাবে নারায়ণগঞ্জে। সেখানে প্রাচীন বাংলার রাজধানী সোনারগাঁ, পানামা সিটি ঘুরবে। এখানে যাত্রাবিরতি করে এলাকার বিভিন্ন ঐতিহাসিক স্থান ঘুরে ঢাকায় যাবে। তারপর আবার ফিরবে কলকাতায়।
জানা গেছে, এই জলযানে যাঁরা যাত্রী হবেন, তাঁদের পাসপোর্ট-ভিসা থাকতে হবে। পশ্চিমবঙ্গের উত্তর চব্বিশ পরগনা জেলার হেমনগরে হবে অভিবাসন ও শুল্কসংক্রান্ত কাজ।

এই বিলাসবহুল জলযান সংস্থার কর্মকর্তা মণীষা সরকার জানিয়েছেন, তাঁদের এই পরিষেবা চালু করা হচ্ছে তিনতলাবিশিষ্ট ক্রুজ পরমহংস-এ। রয়েছে এটিতে ২৬টি এসি রুম। প্রতিটি রুমই নদীর উপকূলমুখী। এই ক্রুজে থাকছে রেস্তোরাঁ, স্পা ও জিম; যা যাত্রীরা ব্যবহার করতে পারবেন।

উল্লেখ্য, নয়াদিল্লিতে গত বৃহস্পতিবার বাংলাদেশ ও ভারতের মধ্যে এই চুক্তি হয়েছে। এর আওতায় বাংলাদেশের চট্টগ্রাম ও মোংলা বন্দর ব্যবহার করে ভারতের উত্তর-পূর্বাঞ্চলীয় রাজ্যগুলোতে পণ্য সরবরাহ করতে পারবে ভারত। এই চুক্তি ছাড়াও দুই দেশের মধ্যে নদী সংযোগ বাড়িয়ে বাণিজ্য বৃদ্ধির জন্য অভিন্ন নদীর সংস্কারের চেষ্টার বিষয়ে আলোচনা হয়েছে। তা ছাড়া কলকাতা থেকে ঢাকা হয়ে আসামের গুয়াহাটি ও জোরহাটের মধ্যে নদীপথে যাত্রী ও পণ্য পরিবহন ব্যবস্থা চালু করার সিদ্ধান্ত গৃহীত হয়েছে। পাশাপাশি ঠিক হয়েছে, ভারতের চেন্নাই থেকে জাহাজে বাংলাদেশের চট্টগ্রাম ও কক্সবাজার পর্যন্ত পর্যটকদের নিয়ে যাওয়ার বিষয়টিও।