সূর্য উঠবে কবে?

চলছে কার্তিক মাস। এ সময় হিমেল বাতাসে থাকে শীতের আমেজ। মিঠে রোদে থাকে হেমন্তের গান। কিন্তু প্রকৃতির আচরণ এখন ঠিক যেন উল্টো। কালো মেঘ ছড়িয়ে থাকায় আকাশ গোমড়া হয়ে আছে। সূর্য থাকছে মেঘের আড়ালে। এর সঙ্গে ঝিরি ঝিরি আর গুঁড়ি গুঁড়ি বৃষ্টি। গত শনিবার থেকে এই অবস্থা চলছে।

মধ্য হেমন্তে প্রকৃতির মেজাজ কেনইবা বিগড়ে রয়েছে। আবহাওয়া অধিদপ্তর থেকে জানা গেছে, বঙ্গোপসাগরে একটি লঘুচাপ সৃষ্টির মতো পরিস্থিতির সৃষ্টি হয়েছে। এর প্রভাবে মেঘমালা দেশের উপকূলের দিকে চলে আসছে। এ জন্য দেশের উপকূলীয় ও উত্তর–পূর্বাঞ্চলে বৃষ্টি হচ্ছে।

আবহাওয়াবিদ ওমর ফারুক প্রথম আলোকে বলেন, আকাশ মেঘলা থাকায় দিনের বেলা সূর্যের দেখা পাওয়া যাচ্ছে না এবং তাপমাত্রাও বৃদ্ধি পাচ্ছে না। আজ সোমবার ও কাল মঙ্গলবার পর্যন্ত আবহাওয়া এমন থাকার সম্ভাবনা বেশি। আগামী ১ নভেম্বর সূর্যের আলো দেখা যেতে পারে।

আগামী তিন দিনের মধ্যে বৃষ্টি কমে আসতে পারে বলে জানিয়েছে আবহাওয়া অধিদপ্তর। সকালে আবহাওয়া অধিদপ্তরের পূর্বাভাসে বলা হয়েছে, লঘুচাপের বর্ধিতাংশ উত্তর বঙ্গোপসাগরে অবস্থান করছে। অপর একটি লঘুচাপের বর্ধিতাংশ পশ্চিমবঙ্গ ও তৎসংলগ্ন এলাকায় অবস্থান করছে। আগামী ২৪ ঘণ্টার এই পূর্বাভাসে বলা হয়, খুলনা, বরিশাল, চট্টগ্রাম ও সিলেট বিভাগের কিছু কিছু জায়গায় এবং ঢাকা, ময়মনসিংহ ও রাজশাহী বিভাগের দুই-এক জায়গায় অস্থায়ী দমকা হাওয়াসহ বৃষ্টি অথবা বজ্রবৃষ্টি হতে পারে। এ ছাড়া দেশের অন্যান্য এলাকা আংশিক মেঘলা আকাশসহ আবহাওয়া শুষ্ক থাকতে পারে। সারা দেশে দিন ও রাতের তাপমাত্রা প্রায় অপরিবর্তিত থাকতে পারে। আগামী ৭২ ঘণ্টায় বৃষ্টিপাতের প্রবণতা হ্রাস পেতে পারে।

গতকাল দেশের সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ছিল পঞ্চগড়ের তেঁতুলিয়া ৩১ দশমিক ৪ ডিগ্রি সেলসিয়াস। একই স্থানে আজ সকালে সর্বনিম্ন তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে ১৭ ডিগ্রি সেলসিয়াস। রাজধানী ঢাকায় সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ছিল ২৬ দশমিক ৩ ডিগ্রি সেলসিয়াস এবং সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ছিল ২১ দশমিক ১ ডিগ্রি সেলসিয়াস।