এ ধরনের দুর্নীতি রোধে খালেদার কঠোর শাস্তি জরুরি

প্রধানমন্ত্রীর পদে থেকে ক্ষমতার প্রভাব খাটিয়ে বিএনপির চেয়ারপারসন খালেদা জিয়া অবৈধভাবে জিয়া চ্যারিটেবল ট্রাস্টের তহবিল গঠন করে নজির স্থাপন করেছেন। ভবিষ্যতে আর যেন কেউ ক্ষমতার প্রভাব খাটিয়ে এভাবে দুর্নীতি করতে না পারেন, এ জন্য তাঁর কঠোর শাস্তি হওয়া জরুরি।

বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়াকে সাত বছর কারাদণ্ড, ১০ লাখ টাকা জরিমানা করে ঢাকার বিশেষ জজ আদালত-৫–এর বিচারক আখতারুজ্জামান রায়ের পর্যবেক্ষণে এসব কথা বলেন।

রায়ে আদালত বলেন, জিয়া চ্যারিটেবল ট্রাস্ট একটি ব্যক্তিগত ট্রাস্ট। খালেদা জিয়া ৬ মইনুল হোসেন রোডের বাসভবনের ঠিকানায় ট্রাস্টের ঠিকানা দিয়েছেন। অথচ খালেদা জিয়া এই বাসায় বসে রাষ্ট্রীয় দায়িত্ব পালন করেছেন। সরকারি সুযোগ-সুবিধা নিয়েছেন। ব্যক্তিগত ট্রাস্ট ব্যক্তিগত টাকা দিয়ে পরিচালনা হওয়ার কথা মন্তব্য করে রায়ে আদালত বলেন, এই ট্রাস্টে দলীয় ফান্ড থেকে টাকা নেওয়া যাবে তা উল্লেখ নেই। অথচ বিএনপির দলীয় ফান্ড থেকে খালেদা জিয়া এই ট্রাস্টের নামে ৬ কোটি ১৮ লাখ ৮৯ হাজার ৫২৯ টাকা জমা করান। বিএনপির দলীয় ফান্ডের হিসাব থেকে ট্রাস্টের নামে পে-অর্ডার করা হয়। খালেদা জিয়া তাঁর রাজনৈতিক সচিব হারিছ চৌধুরীর মাধ্যমে এই টাকা ট্রাস্টের হিসাবে জমা করেন। এ কাজে সহযোগিতা করেন হারিছের ব্যক্তিগত সচিব জিয়াউল ইসলাম। ব্যাংক কর্মকর্তাদের চাপ দিয়ে জিয়াউল ইসলাম বিএনপির দলীয় ফান্ডের টাকা ট্রাস্টের নামে হস্তান্তর করে অপরাধ করেছেন।

খালেদা জিয়া। ফাইল ছবি
খালেদা জিয়া। ফাইল ছবি

আদালত বলেন, বিএনপির ফান্ড থেকে জিয়া চ্যারিটেবল ট্রাস্টের নামে টাকা দেওয়ার ব্যাপারে দলীয় কোনো সিদ্ধান্ত ছিল, তার কোনো প্রমাণ আদালতে দাখিল করা হয়নি। রায়ে আদালত বলেন, জিয়া চ্যারিটেবল ট্রাস্টের হিসেবে যা টাকা জমা হয়েছে, তার কোনো বৈধ উৎস দেখাতে পারেননি খালেদা জিয়া। ক্ষমতার অপব্যবহার করে জিয়া চ্যারিটেবল ট্রাস্টের তহবিল সংগ্রহ করেছেন তিনি।

এই মামলায় অপর তিন আসামিকেও সাত বছর করে কারাদণ্ড দেওয়া হয়েছে। তাঁরা হলেন খালেদা জিয়ার রাজনৈতিক সচিব হারিছ চৌধুরী, হারিছের ব্যক্তিগত সচিব জিয়াউল ইসলাম মুন্না ও বিএনপির নেতা সাবেক মেয়র সাদেক হোসেন খোকার ব্যক্তিগত সহকারী সচিব মনিরুল ইসলাম। পাশাপাশি কাকরাইলে জিয়া চ্যারিটেবল ট্রাস্টের নামে থাকা ৪২ কাঠা সম্পত্তি রাষ্ট্রের অনুকূলে বাজেয়াপ্ত করেছেন আদালত।

জিয়া চ্যারিটেবল ট্রাস্ট দুর্নীতি মামলার রায়কে ঘিরে পুরান ঢাকার পরিত্যক্ত কারাগারে স্থাপিত অস্থায়ী আদালতের সামনে সতর্ক পাহারায় পুলিশ। আদালত চত্বর, ২৯ অক্টোবর। ছবি: আসাদুজ্জামান
জিয়া চ্যারিটেবল ট্রাস্ট দুর্নীতি মামলার রায়কে ঘিরে পুরান ঢাকার পরিত্যক্ত কারাগারে স্থাপিত অস্থায়ী আদালতের সামনে সতর্ক পাহারায় পুলিশ। আদালত চত্বর, ২৯ অক্টোবর। ছবি: আসাদুজ্জামান

খালেদার পক্ষে আদালতে কেউ ছিলেন না
জিয়া অরফানেজ ট্রাস্ট দুর্নীতি মামলায় একই আদালত খালেদা জিয়াকে পাঁচ বছর কারাদণ্ড দেন। এরপর তাঁকে পুরান ঢাকার নাজিমুদ্দিন রোডের পরিত্যক্ত কারাগারে রাখা হয়। কারাগারের একটি কক্ষকে অস্থায়ী আদালত ঘোষণার পর গত ৫ সেপ্টেম্বর খালেদা জিয়া এই আদালতে আসেন। সেদিন তাঁর আইনজীবীরা আদালতে ছিলেন না। খালেদা জিয়া আদালতে সেদিন বলেন, এ আদালত থেকে তিনি ন্যায়বিচার পাচ্ছেন না। অসুস্থ থাকায় তাঁর পক্ষে আর আদালতে আসা সম্ভব নয়। আদালত যা মন চায়, করতে পারেন। এরপর আর খালেদা জিয়া আদালতে আসেননি।

কারা কর্তৃপক্ষ আদালতকে জানায়, খালেদা আদালতে আসতে ইচ্ছুক নন। কয়েকটি শুনানির তারিখে খালেদা জিয়া আদালতে না এলে দুদক খালেদার অনুপস্থিতিতে বিচার করার আদেশ চান। আদালত এতে সায় দিলে এর বিরুদ্ধে খালেদা হাইকোর্টে গেলে তা খারিজ হয়। আপিল বিভাগও হাইকোর্টের আদেশ বহাল রাখেন। খালেদার অনুপস্থিতিতে বিচার চলতে বাধা নেই—আপিল বিভাগের ওই আদেশ আদালতকে জানান দুদকের আইনজীবী মোশাররফ হোসেন কাজল। রায় ঘোষণার সময় খালেদা জিয়ার কোনো আইনজীবীকে আদালতে দেখা যায়নি। রায় ঘোষণার পর দুদকের আইনজীবী মোশাররফ হোসেন সাংবাদিকদের বলেন, এ রায়ে তাঁরা খুশি। অপরাধের সর্বোচ্চ সাজা হয়েছে। তবে খালেদা জিয়ার পক্ষে মামলা পরিচালনাকারী আইনজীবী মাসুদ আহমেদ তালুকদার প্রথম আলোকে বলেন, এই রায় দিয়ে খালেদা জিয়াকে ন্যায়বিচার থেকে বঞ্চিত করা হয়েছে। এটি একটি রাজনৈতিক প্রহসনের মামলা। এ আদালতে একটা ফরমায়েশি রায় ঘোষণা করা হয়েছে। এই রায়ের বিরুদ্ধে উচ্চ আদালতে যাওয়া হবে কি না, তা পরে জানানো হবে বলে জানান বিএনপির কেন্দ্রীয় নেতা মাসুদ আহমেদ তালুকদার।

খালেদা জিয়ার পক্ষে আদালতে কোনো আইনজীবী ছিলেন না। দুদকের পক্ষে আইনজীবী মোশাররফ হোসেন কাজল আদালতে হাজির ছিলেন। ছবি: আসাদুজ্জামান
খালেদা জিয়ার পক্ষে আদালতে কোনো আইনজীবী ছিলেন না। দুদকের পক্ষে আইনজীবী মোশাররফ হোসেন কাজল আদালতে হাজির ছিলেন। ছবি: আসাদুজ্জামান

মামলার ১৫ বিবেচ্য বিষয়
এ মামলার ১৫টি বিবেচ্য বিষয় প্রমাণিত হয়েছে বলে আদালত রায়ে উল্লেখ করেন। এ মামলার প্রধান বিবেচ্য বিষয় হলো খালেদা জিয়া ট্রাস্ট গঠন করেন কি না? রায়ে আদালত বলেন, দুদক সাক্ষ্যপ্রমাণ দিয়ে প্রমাণ করেছে, খালেদা জিয়া তাঁর দুই ছেলেকে নিয়ে জিয়া চ্যারিটেবল ট্রাস্ট গঠন করেন। মামলার প্রধান বিবেচ্য বিষয় ছিল, ক্ষমতার অপব্যবহার করে খালেদা জিয়া ট্রাস্টের তহবিলে ৩ কোটি ১৫ লাখ ৪৩ হাজার জমা করেন কি না? আদালত রায়ে বলেন, দুদক সাক্ষ্যপ্রমাণ দিয়ে প্রমাণ করেছে, খালেদা জিয়া প্রধানমন্ত্রীর পদে থেকে অবৈধভাবে ক্ষমতার প্রভাব খাটিয়ে অন্য তিন আসামির সহায়তায় ট্রাস্টের নামে অবৈধ তহবিল সংগ্রহ করেন।

মামলার বিচার
জিয়া চ্যারিটেবল ট্রাস্টের নামে অবৈধভাবে ৩ কোটি ১৫ লাখ ৪৩ হাজার টাকা লেনদেনের অভিযোগে খালেদা জিয়াসহ চারজনের বিরুদ্ধে ২০১১ সালের ৮ আগস্ট তেজগাঁও থানায় মামলা করে দুদক। তদন্ত শেষে পরের বছর ২০১২ সালে খালেদা জিয়াসহ চারজনের বিরুদ্ধে আদালতে অভিযোগপত্র দেয় দুদক। এর দুই বছর পর ২০১৪ সালের ১৯ মার্চ খালেদাসহ চার আসামির বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠন করেন আদালত। ৩৩ জনের সাক্ষ্যগ্রহণ কার্যক্রম শেষ হলে দুদকের পক্ষে এ মামলায় যুক্তিতর্ক উপস্থাপন করা হয়। আসামিপক্ষে জিয়াউল ইসলাম মুন্না এবং মনিরুল ইসলামের পক্ষে যুক্তিতর্ক শুরু করেন তাঁর আইনজীবী। আদালত রায়ে বলেন, আড়াই বছর সময় পেলেও খালেদা জিয়ার পক্ষে আদালতে যুক্তিতর্ক উপস্থাপন করা হয়নি।

জিয়া চ্যারিটেবল ট্রাস্ট দুর্নীতি মামলার রায় ঘোষণার পর প্রিজন ভ্যানে সাবেক মেয়র সাদেক হোসেন খোকার এপিএস মনিরুল ইসলাম। আদালত চত্বর, ২৯ অক্টোবর। ছবি: আসাদুজ্জামান
জিয়া চ্যারিটেবল ট্রাস্ট দুর্নীতি মামলার রায় ঘোষণার পর প্রিজন ভ্যানে সাবেক মেয়র সাদেক হোসেন খোকার এপিএস মনিরুল ইসলাম। আদালত চত্বর, ২৯ অক্টোবর। ছবি: আসাদুজ্জামান

খালেদার বিরুদ্ধে কী অভিযোগ
অভিযোগপত্রে বলা হয়, সাবেক প্রধানমন্ত্রী খালেদা জিয়া তাঁর স্বামী জিয়াউর রহমানের নামে তাঁর তৎকালীন সেনানিবাসের বাড়ির ঠিকানায় নামসর্বস্ব জিয়া চ্যারিটেবল ট্রাস্ট গঠন করেন। খালেদা জিয়া, তাঁর দুই ছেলে তারেক রহমান ও আরাফাত রহমান ওই ট্রাস্টের ট্রাস্টি হয়েও চ্যারিটেবল কাজে কোনো অর্থ ব্যয় করেননি। বরং নিজেদের ব্যক্তিগত স্বার্থসিদ্ধির জন্য বিগত সময়ে খালেদা জিয়া প্রধানমন্ত্রীর পদে থেকে অবৈধ প্রভাব খাটিয়ে অবৈধ অর্থ সংগ্রহ করেন। অর্থ পরিচালনায় দায়িত্বরত থেকে জিয়া চ্যারিটেবল ট্রাস্টের নামে অবৈধভাবে ব্যয় করেন তাঁর রাজনৈতিক সচিব হারিছ চৌধুরী। হারিছের ব্যক্তিগত সচিব (পিএস) জিয়াউল ইসলাম এবং সাবেক মেয়র সাদেক হোসেন খোকার সহকারী ব্যক্তিগত সচিব (এপিএস) মনিরুল ইসলাম পরম্পরায় যোগসাজশে ক্ষমতার অপব্যবহার করে দুর্নীতি প্রতিরোধ আইনের ৫(২) ধারা এবং দণ্ডবিধির ১০৯ ধারার অপরাধ করেছেন।

২০০১ থেকে ২০০৬ সালের ক্ষমতায় থাকার সময় ৬ শহীদ মইনুল রোডের বাড়ির ঠিকানা ব্যবহার করে জিয়াউর রহমান চ্যারিটেবল ট্রাস্ট নামে গুলশান সাবরেজিস্ট্রি অফিসে রেজিস্ট্রি করেন খালেদা জিয়া। চ্যারিটেবল কাজের জন্য ট্রাস্ট করেছেন তা উল্লেখ আছে। কিন্তু চ্যারিটেবল কাজে কোনো টাকা খরচ করেননি। খালেদা জিয়া ট্রাস্টের কাজে তাঁর রাজনৈতিক সচিব হারিছ চৌধুরী, হারিছের এপিএস জিয়াউল ও অন্যদের সহযোগিতায় প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের সোনালী ব্যাংক শাখার হিসাবে (অ্যাকাউন্টে) ক্ষমতার অপব্যবহার করে অবৈধভাবে টাকা সংগ্রহ করে লেনদেন করেন। ট্রাস্টের নামে অবৈধভাবে টাকা গ্রহণ ও খরচসংক্রান্ত প্রতিটি পদক্ষেপে স্বচ্ছতার অভাব দেখা গেছে। খালেদা জিয়া প্রধানমন্ত্রী পদে থেকে ক্ষমতার অবৈধ প্রভাব খাটিয়ে ১ কোটি ৯০ লাখ ৫০ হাজার টাকা বিভিন্ন প্রক্রিয়ায় জমা করেন। ওই টাকার বৈধ উৎসের কোনো তথ্য-প্রমাণ পাওয়া যায়নি। প্রধানমন্ত্রী থাকার সময় ওই হিসাবে লেনদেন হলেও প্রধানমন্ত্রী পদ ছেড়ে যাওয়ার পর ওই হিসাবে আর কোনো লেনদেন হয়নি।

আদালতের সামনে দণ্ডিত মনিরুল ইসলামের স্ত্রী শাহানাজ ইসলাম। আদালত চত্বর, ২৯ অক্টোবর। ছবি: আসাদুজ্জামান
আদালতের সামনে দণ্ডিত মনিরুল ইসলামের স্ত্রী শাহানাজ ইসলাম। আদালত চত্বর, ২৯ অক্টোবর। ছবি: আসাদুজ্জামান

খালেদা জিয়া জানতেন, ১ কোটি ৯০ লাখ ৫০ হাজার টাকার উৎস অবৈধ ছিল। কারণ, তিনি ট্রাস্টের প্রথম ম্যানেজিং ট্রাস্টি। তাঁর অগোচরে ওই ট্রাস্টের হিসাবে টাকা জমা হওয়ার কথা নয়।

অভিযোগপত্রে আরও বলা হয়, বিএনপির তহবিল (ফান্ড) থেকে ৬ কোটি ১৮ লাখ ৮৯ হাজার ৫২৯ টাকা পাওয়ার পরও খালেদা জিয়া জেনেশুনে ৭ কোটি ৭৭ লাখ টাকার চেক দেন। দলের ফান্ডের অতিরিক্ত টাকা অবৈধভাবে সংগৃহীত হিসাবে জমা ছিল তা তিনি জানতেন। ওই টাকার উৎস অবৈধ। সে কারণে মেট্রোমেকার্স অ্যান্ড ডেভেলপারের ১ কোটি ৩৫ লাখ টাকাকে বৈধ করার অপচেষ্টা করেছেন। পর্যালোচনায় দেখা যায়, ৩ কোটি ১৫ লাখ ৪২ হাজার টাকা আসামিরা অবৈধভাবে সংগ্রহ করেন এবং খরচ করেন।

হারিছ চৌধুরী
অভিযোগপত্রে বলা হয়, খালেদা জিয়ার সাবেক রাজনৈতিক সচিব হারিছ চৌধুরী অবৈধভাবে অর্জিত সকল টাকা নিজ দায়িত্ব সংগ্রহ করে তাঁর এপিএস জিয়াউল ইসলাম এবং সাবেক মেয়র সাদেক হোসেন খোকার এপিএস মনিরুল ইসলাম খানের সহায়তায় সাবেক প্রধানমন্ত্রী খালেদা জিয়াকে অবৈধভাবে জিয়াউর রহমান ট্রাস্টের নামে জমি কেনার জন্য টাকা দেওয়ার ক্ষেত্রে সহযোগিতা করেছেন।

রায় ঘোষণার পর দণ্ডিত জিয়াউল ইসলাম মুন্নার বোন সাবিনা ইসলাম। আদালত চত্বর, ২৯ অক্টোবর। ছবি: আসাদুজ্জামান
রায় ঘোষণার পর দণ্ডিত জিয়াউল ইসলাম মুন্নার বোন সাবিনা ইসলাম। আদালত চত্বর, ২৯ অক্টোবর। ছবি: আসাদুজ্জামান

জিয়াউল ইসলাম মুন্না
অভিযোগপত্রে আরও বলা হয়, প্রধানমন্ত্রী খালেদা জিয়ার রাজনৈতিক সচিব হারিছ চৌধুরীর পিএস জিয়াউল ইসলাম মুন্না বিভিন্ন সময় পে-ইন স্লিপের মাধ্যমে প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়, সোনালী ব্যাংক শাখায় জিয়া চ্যারিটেবল ট্রাস্টের নামে জমা করেন। হারিছ চৌধুরীর নামে অন্যান্য যেসব পে-অর্ডার আসে, তাও তিনি জমা রাখেন। এসব পে-অর্ডার ও নগদ টাকা তাঁর অধস্তন কর্মকর্তা হিসেবে তাঁরই নির্দেশে অবৈধ টাকা দিয়ে অপরাধ করেছেন।

মনিরুল ইসলাম খান
মনিরুল ইসলামের বিরুদ্ধে অভিযোগ, ঢাকা সিটি করপোরেশনের সাবেক মেয়র সাদেক হোসেন খোকার সহকারী একান্ত সচিব প্রধানমন্ত্রীর সচিবালয়ের সাবেক প্রধানমন্ত্রীর রাজনৈতিক সচিব হারিছ চৌধুরীর কাছ থেকে টাকা নিয়ে পে–অর্ডার করার জন্য মেট্রোমেকার্স ডেভেলপমেন্টের ব্যবস্থাপনা পরিচালক এ এফ এম জাহাঙ্গীর সাহায্য শাহজালাল ইসলামী ব্যাংক ধানমন্ডি শাখায় যান। পাঁচটি পে–অর্ডারের মাধ্যমে জিয়াউর রহমান চ্যারিটেবল ট্রাস্টের নামে অ্যাকাউন্টে অবৈধভাবে সংগৃহীত মোট ১ কোটি ৩৫ লাখ টাকা পাঠানোর ব্যবস্থা করে দণ্ডবিধির অপরাধ করেছেন।