মামলার কাগজ দেখি, রাজনীতি দেখি না

ইকবাল মাহমুদ
ইকবাল মাহমুদ

জিয়া চ্যারিটেবল ট্রাস্ট দুর্নীতি মামলার অভিযোগটি দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) প্রসিকিউশন সন্দেহাতীতভাবে প্রমাণ করতে সক্ষম হয়েছে বলে মনে করেন সংস্থাটির চেয়ারম্যান ইকবাল মাহমুদ। আজ সোমবার সেগুনবাগিচায় দুদকের প্রধান কার্যালয়ের সামনে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে তিনি এ মন্তব্য করেন।

দুদকের দায়ের করা এই মামলার রায়ের প্রতিক্রিয়া জানতে চাইলে রায়ের বিষয়ে সরাসরি কোনো মন্তব্য না করে দুদক চেয়ারম্যান বলেন, প্রতিক্রিয়া নেই সেই অর্থে। আপনারা রায়টা দেখেছেন। দুদক মামলা করেছে। প্রসিকিউশন টিম সন্দেহাতীতভাবে অভিযোগ প্রমাণ করতে সক্ষম হয়েছে। আদালত নিজের বিবেচনায় রায় দিয়েছেন।

আরেক প্রশ্নের জবাবে ইকবাল মাহমুদ বলেন, ‘দুর্নীতি করলে বিচার হবে। দুর্নীতি করলে দুর্নীতির তদন্ত হবে। তদন্তের পর নিশ্চয়ই বিচার হবে।’

বিরোধী রাজনীতিবিদদের ক্ষেত্রে যেমন বিচার হয়, সরকারদলীয় ক্ষেত্রে তেমন বিচার হয় না—এমন প্রশ্নের জবাবে দুদক চেয়ারম্যান বলেন, ‘আমি খালাস দিচ্ছি কি না, সেটা দেখতে হবে। আমি তো খালাস দেওয়ার কেউ নই। এখানে রাজনীতির কিছু নেই ৷ রাজনীতির কিছু আছে বলে আমি মনে করি না। আমরা মামলার কাগজপত্র দেখি, রাজনীতি দেখি না।

প্রসঙ্গত, জিয়া চ্যারিটেবল ট্রাস্ট দুর্নীতি মামলায় বিএনপির চেয়ারপারসন খালেদা জিয়াকে সাত বছরের কারাদণ্ড দিয়েছেন আদালত। আজ সোমবার পুরান ঢাকার নাজিমুদ্দিন রোডের পরিত্যক্ত কেন্দ্রীয় কারাগারে স্থাপিত ঢাকার বিশেষ জজ আদালত-৫-এর বিচারক আখতারুজ্জামান এ রায় ঘোষণা করেন। একই মামলায় অপর তিন আসামিকেও সাত বছর করে কারাদণ্ড দেওয়া হয়েছে। তাঁরা হলেন খালেদা জিয়ার রাজনৈতিক সচিব হারিছ চৌধুরী, হারিছের ব্যক্তিগত সচিব জিয়াউল ইসলাম ও বিএনপির নেতা সাবেক মেয়র সাদেক হোসেন খোকার ব্যক্তিগত সহকারী সচিব মনিরুল ইসলাম। রায় ঘোষণার সময় বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ে (বিএসএমএমইউ) চিকিৎসাধীন খালেদা জিয়া আদালতে উপস্থিত ছিলেন না। হারিছ চৌধুরী পলাতক। কারাগারে থাকা অপর দুই আসামি জিয়াউল ও মনিরুল আদালতে উপস্থিত ছিলেন।