গ্রেপ্তার-আতঙ্কে কর্মসূচি শেষ হওয়ার আগেই...

জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে বিএনপির মানববন্ধন। ছবি: প্রথম আলো
জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে বিএনপির মানববন্ধন। ছবি: প্রথম আলো

বিএনপির কোনো অনুষ্ঠানে দলটির কেন্দ্রীয় নেতা আর গণমাধ্যম কর্মীদের জটলা থাকেই। আজ বুধবার প্রেসক্লাবে বিএনপির মানববন্ধনে দেখা গেল ব্যতিক্রম। নির্ধারিত সময়ের দুই-এক ঘণ্টা আগে থেকে যেখানে নেতা-কর্মীরা মানববন্ধনে অংশগ্রহণ করেন। নির্দিষ্ট সময়ের আগেই কর্মসূচিস্থল ত্যাগ করতে শুরু করেন তাঁরা। বিএনপির চেয়ারপারসন খালেদা জিয়া ও দলের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের বিরুদ্ধে দেওয়া আদালতের রায়ের প্রতিবাদে বিএনপি ওই মানববন্ধন করে।

বিএনপির চেয়ারপারসন খালেদা জিয়া ও দলের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের বিরুদ্ধে দেওয়া আদালতের রায়ের প্রতিবাদে বিএনপি ওই মানববন্ধন করে।

বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর মানববন্ধনে সভাপতিত্ব করেন। তিনি তাঁর বক্তব্যের শুরুতে বলেন, ‘আমাদের পুলিশ প্রশাসনের কাছে বলতে চাই, আমাদের এক ঘণ্টার নির্ধারিত কর্মসূচিতে আমরা সমস্ত গণতান্ত্রিক অধিকার পাব বলে আশা করি।’ বক্তব্যের শেষ দিকে তিনি বলেন, ‘পুলিশ ভাইদের বলছি, এখান থেকে কোনো নেতা-কর্মীকে গ্রেপ্তার করবেন না।’ এ সময় মানববন্ধন কর্মসূচি থেকে একটু দূরে থাকা পুলিশের একজন ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা মাথা নেড়ে সম্মতিসূচক ইশারা করেন।

আজকের কর্মসূচিতে বিএনপির বিভিন্ন অঙ্গ-সংগঠনের নেতা-কর্মীরা অংশগ্রহণ নেন। তবে অন্যদিনের তুলনায় নেতা-কর্মীদের উপস্থিতি কম ছিল। কর্মসূচি চলে বেলা ১১টা থেকে দুপুর ১২টা পর্যন্ত। মানববন্ধন চলার সময় বেলা সাড়ে ১১টা থেকে নেতা-কর্মীরা কর্মসূচিস্থল ত্যাগ করতে শুরু করেন। ১১টা ৪০ মিনিটে কর্মসূচিস্থল কর্মীশূন্য হয়ে যায়।

এর আগে সকাল ১০টা থেকে বিএনপি ও এর অঙ্গ-সংগঠনের নেতা-কর্মীরা জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে জড়ো হতে থাকেন। এ সময় দলের নেতা-কর্মীরা খালেদা জিয়াকে মুক্ত করার দাবিতে বিভিন্ন স্লোগান দিতে থাকেন।

বিএনপির মানববন্ধন কর্মসূচি ঘিরে প্রেসক্লাবের সামনে পুলিশ সতর্ক অবস্থানে ছিল। মানববন্ধনস্থলের পাশে জলকামান, এপিসি ও প্রিজন ভ্যান দেখা গেছে। এ ছাড়া মানববন্ধন ঘিরে দাঙ্গা ও গোয়েন্দা পুলিশের উপস্থিতিও ছিল অনেক বেশি।