সংলাপে ভালো কিছুর প্রত্যাশায় ঐক্যফ্রন্ট

প্রথম আলো ফাইল ছবি
প্রথম আলো ফাইল ছবি

আওয়ামী লীগের সঙ্গে কাল বৃহস্পতিবারের সংলাপ সফল হবে বলে প্রত্যাশা করছেন জাতীয় ঐক্যফ্রন্টের নেতারা। সরকার সংলাপে আন্তরিক হবে এবং সমস্যার সমাধান হবে বলেও আশাবাদী তাঁরা। আজ বুধবার বিকেলে জাতীয় প্রেসক্লাবে জাতীয় সমাজতান্ত্রিক দলের (জেএসডি) ৪৬তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উপলক্ষে আলোচনা সভায় জাতীয় ঐক্যফ্রন্টের নেতারা এ প্রত্যাশা ব্যক্ত করেন।

প্রধান অতিথির বক্তব্যে জাতীয় ঐক্যফ্রন্টের নেতা ও গণফোরাম সভাপতি ড. কামাল হোসেন বলেন, ‘সংলাপে আমরা বিশ্বাস করি। জাতীয় লক্ষ্যগুলো সামনে রেখে, সংলাপকে সব সময়ই সমর্থন করেছি। সংলাপের মাধ্যমে ঐকমত্যের ভিত্তিতে দেশকে আমরা এগিয়ে নিয়ে যাব।’ দেশে দলীয় রাজনীতির কথা উল্লেখ করে কামাল হোসেন বলেন, দলীয় রাজনীতি একটি রোগ। এ রোগ থেকে দেশকে মুক্ত করতে হবে। তিনি জানান, ঐক্যের ডাকে মানুষ স্বতঃস্ফূর্তভাবে সাড়া দিচ্ছে। জেএসডিকে শুভেচ্ছা জানিয়ে ড. কামাল বলেন, প্রতিষ্ঠার পর থেকে দলটি সংগ্রাম করে এ পর্যায়ে এসেছে এবং মেহনতি মানুষের জন্য কাজ করছে।

অনুষ্ঠানের সভাপতির বক্তব্যে জেএসডি সভাপতি আ স ম আবদুর রব প্রধানমন্ত্রীর উদ্দেশে বলেন, ‘দেশকে কঠিন কোনো জায়গায় নিয়ে যাবেন না। বল এখন সরকারের কোর্টে। সবাইকে নিয়ে যদি সংসদ নির্বাচন করতে চান, সংলাপকে সফল করতে হবে। মুক্ত আলোচনা করতে হবে। কোনো রকম পূর্বশর্ত দিয়ে সংলাপ হতে পারে না।’ দেশের রাজনীতিতে বিদেশিরা হস্তক্ষেপ করবে না বলেও আশা প্রকাশ করেন তিনি।

খালেদা জিয়ার বিরুদ্ধে দায়ের করা মামলার রায় এবং নেতা-কর্মীদের ধরপাকড়ের বিষয়টি উল্লেখ করে বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেন, সংলাপের পরিণতি নিয়ে জনগণের মনে সংশয় তৈরি হয়েছে। সংলাপ আহ্বান করার পরও বিএনপিকে নানা কৌশলে ধ্বংস করতে চাচ্ছে। তবে তিনি আশা করেন, গণতান্ত্রিক ব্যবস্থা প্রতিষ্ঠার জন্য যে সুযোগ সৃষ্টি হয়েছে, সংলাপের মাধ্যমে প্রধানমন্ত্রী তার সদ্ব্যবহার করবেন।

জাতীয় ঐক্যফ্রন্টের সাত দফা দাবির কথা উল্লেখ করে বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য মওদুদ আহমদ বলেন, ৭ দফা আদায় করতে হবে। দাবি আদায় না হওয়া পর্যন্ত আন্দোলন চলবে।

সরকারের আন্তরিকতায় সংলাপ সফল হবে বলে আশা প্রকাশ করেন নাগরিক ঐক্যের আহ্বায়ক মাহমুদুর রহমান মান্না। তিনি বলেন, সংলাপের টেবিলেই সমস্যার সমাধান হয়ে যেতে পারে। প্রধানমন্ত্রীর চিঠিতে ‘সংবিধানসম্মত বিষয়ে আলোচনা’ কথাটির উল্লেখ করে তিনি বলেন, সংবিধানের নামে আগেই দেয়াল তুলে দিলে সংলাপ সফল হবে না। প্রয়োজনে সংবিধান সংশোধন করা যায়।

আলোচনা সভায় খালেদা জিয়ার মামলার রায় ও বিএনপি নেতা-কর্মীদের ধরপাকড়ের সমালোচনা করেন জাতীয় ঐক্যফ্রন্টের নেতারা। এ ছাড়া আজকের সভায় আনুষ্ঠানিকভাবে যুক্তফ্রন্টে যোগ দেয় আরও ২০টি দল।

আ স ম আবদুর রবের সভাপতিত্বে সভায় আরও উপস্থিত ছিলেন বিএনপি নেতা খন্দকার মোশাররফ হোসেন, গণফোরামের সুব্রত চৌধুরী, মোস্তফা মহসিন মন্টু, জেএসডির তানিয়া রব, আবদুল মালেক রতন, গণস্বাস্থ্য কেন্দ্রের প্রতিষ্ঠাতা জাফরুল্লাহ চৌধুরী প্রমুখ।