ইভটিজিংয়ের অভিযোগ তুলে ছাত্রদলকর্মীকে মারধর

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের টিএসসিতে ছাত্রদলের এক কর্মীকে ইভটিজিংয়ের অভিযোগ তুলে মারধর করা হয়েছে। অভিযোগ উঠেছে, ছাত্রলীগের কয়েকজন কর্মী তাঁকে মারধর করেন। বৃহস্পতিবার রাত পৌনে নয়টার দিকে এ ঘটনা ঘটে৷

মারধরের শিকার ছাত্রদলকর্মীর নাম মো. ইমন৷ তিনি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের আধুনিক ভাষা ইনস্টিটিউটের অধীন ইংলিশ ফর স্পিকার্স অব আদার ল্যাংগুয়েজেস বিভাগের তৃতীয় বর্ষের শিক্ষার্থী এবং মুক্তিযোদ্ধা জিয়াউর রহমান হল শাখা ছাত্রদলের কর্মী ইমন ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল থেকে প্রাথমিক চিকিৎসা নিয়েছেন৷

প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, রাত পৌনে নয়টার দিকে টিএসসির ডাচ-বাংলা ব্যাংক এটিএম বুথের সামনে শহীদ সার্জেন্ট জহুরুল হক হল শাখা ছাত্রলীগের সহসম্পাদক সাকিবুর রহমান সায়েম ও জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান হল শাখা ছাত্রলীগের সহসম্পাদক সোয়েব আহমেদ বাঁধন সাত-আটজনকে সঙ্গে নিয়ে ইমনকে মারধর করছিলেন৷ কিছুক্ষণ পরে টিএসসির চায়ের দোকানে আড্ডারত শিক্ষার্থী ও কয়েকজন পথচারী তাঁকে উদ্ধার করেন৷

মারধরের শিকার ছাত্রদলকর্মী মো. ইমন প্রথম আলোকে বলেন, ‘টিএসসিতে কয়েকজন বন্ধুর সঙ্গে বসে চা খাচ্ছিলাম৷ হামলাকারীদের গতিবিধি বুঝতে পেরে আমার বন্ধু নয়ন আমাকে সেখান থেকে চলে যেতে বলে৷ আমি চলে যাচ্ছিলাম৷ টিএসসির ডাচ-বাংলা ব্যাংক এটিএম বুথের সামনে যেতেই একজন আমাকে এসে বলে, আমার বিরুদ্ধে ইভটিজিংয়ের অভিযোগ আছে৷ জহুরুল হক হলের সায়েম তাঁর ৭/১০ জন বন্ধুকে নিয়ে আমাকে কিল-ঘুষি মারতে শুরু করে৷ তাঁরা আমার শার্ট টেনে ছিড়ে ফেলেছে৷ পরে আশপাশে থাকা লোকজন আমাকে উদ্ধার করে৷ সায়েম ছাড়া অন্যদের আমি চিনতে পারিনি।’

তবে অভিযুক্ত সাকিবুর রহমান সায়েমের দাবি, তাঁর বিরুদ্ধে ওঠা অভিযোগ সম্পূর্ণ মিথ্যা ও ভিত্তিহীন ৷

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর অধ্যাপক এ কে এম গোলাম রব্বানী প্রথম আলোকে বলেন, ‘এ রকম একটি মৌখিক অভিযোগ আমার কাছে এসেছে৷ ইমন জিয়াউর রহমান হলের ছাত্র৷ আমি হল প্রশাসনকে বিষয়টি অবহিত করেছি৷ তাঁরা বিষয়টি তদন্ত করে ব্যবস্থা নেবেন৷’

মারধরের বিষয়ে জানতে ছাত্রলীগের কেন্দ্রীয় সভাপতি রেজওয়ানুল হক চৌধুরী শোভন ও সাধারণ সম্পাদক গোলাম রাব্বানী এবং ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় শাখার সাধারণ সম্পাদক সাদ্দাম হোসেনের মোবাইল ফোনে যোগাযোগের চেষ্টা করা হলেও তাঁরা ফোন ধরেননি ৷

ছাত্রলীগের ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় শাখার সভাপতি সনজিত চন্দ্র দাস প্রথম আলোকে বলেন, ‘নেত্রীর প্রোগ্রাম উপলক্ষে আমি নিজ এলাকায় এসেছি৷ আমি খোঁজ নিচ্ছি৷’