আলোচনা আজই শেষ? যা বললেন তোফায়েল...

বাণিজ্যমন্ত্রী তোফায়েল আহমেদ । প্রথম আলাে ফাইল ছবি
বাণিজ্যমন্ত্রী তোফায়েল আহমেদ । প্রথম আলাে ফাইল ছবি

বাণিজ্যমন্ত্রী আওয়ামী লীগের উপদেষ্টামন্ডলীর সদস্য তোফায়েল আহমেদ বলেছেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন যেকোনো জায়গায় যেকোনো সময় আলোচনা হতে পারে।

আওয়ামী লীগের সভাপতি প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সঙ্গে জাতীয় ঐক্যফ্রন্টের নেতাদের মধ্যে সাড়ে ৩ ঘণ্টা সংলাপ হয়েছে। বৃহস্পতিবার রাজধানীর গণভবনে সন্ধ্যা সাতটার দিকে সংলাপ শুরু হয়ে শেষ রাত সাড়ে ১০টায়। সংলাপ শেষে সাংবাদিকদের বাণিজ্যমন্ত্রী বলেন, ‘আলোচনা হয়েছে। সংবিধানের মধ্যেই আমরা কথা বলেছি। সংবিধানের আলোকে আলোচনা হয়েছে। আলোচনা গঠনমূলক হয়েছে।’

আলোচনা কি আজই শেষ? না আরও হবে—সাংবাদিকদের এমন প্রশ্নের জবাবে বাণিজ্যমন্ত্রী বলেন, ‘প্রধানমন্ত্রী বলেছেন, যেকোনো জায়গায় যেকোনো সময় আলোচনা হতে পারে। আমরা তাদের নির্বাচনে অংশ নেওয়ার কথা বলেছি।’

আওয়ামী লীগ সভাপতি শেখ হাসিনার নেতৃত্বে ১৪ দলীয় জোটের ২৩ নেতার সঙ্গে সংলাপে অংশ নেন জাতীয় ঐক্যফ্রন্টের ২০ নেতা। ঐক্যফ্রন্টের নেতৃত্ব দেন ড. কামাল হোসেন। তাঁর সঙ্গে ছিলেন বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। সংলাপে বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য গয়েশ্বর চন্দ্র রায় থাকার কথা থাকলে শেষ পর্যন্ত তিনি আর যোগ দেননি।

সন্ধ্যা সাতটার দিকে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা সংলাপ কক্ষে ঢুকে জাতীয় ঐক্যফ্রন্ট নেতাদের সঙ্গে শুভেচ্ছা বিনিময় করেন। এরপর সংলাপের শুরুতেই সূচনা বক্তব্য দেন তিনি। সূচনা বক্তব্যে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, তাঁর সরকার টানা ৯ বছর ১০ মাস ধরে ক্ষমতায়। দিন বদলের যে সূচনা তাঁরা করেছেন, সেই দিন বদল হচ্ছে। একে আরও সামনের দিকে এগিয়ে নিয়ে যেতে হবে।

সংলাপে ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগের প্রধান রাজনৈতিক প্রতিপক্ষ বিএনপি জাতীয় ঐক্যফ্রন্টের শরিক দল হিসেবে অংশ নেয়। বিএনপির পক্ষে দলটির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরসহ স্থায়ী কমিটির ছয় সদস্য ছিলেন।

ঐক্যফ্রন্ট প্রধানমন্ত্রী ও আওয়ামী লীগ সভানেত্রী শেখ হাসিনার সঙ্গে সংলাপে বসার আগ্রহের কথা জানিয়ে চিঠি দেয়। এর পরিপ্রেক্ষিতে প্রধানমন্ত্রী তাদের নৈশভোজের আমন্ত্রণ জানান। সেই আমন্ত্রণে ঐক্যফ্রন্ট গণভবনে সংলাপে গেলেও নৈশভোজে অংশ নেবে না বলে জানিয়েছে।

গণফোরাম, বিএনপি, জাসদ (জেএসডি) ও নাগরিক ঐক্য নিয়ে জাতীয় ঐক্যফ্রন্ট গঠিত হয়। গঠনের পরই ৭ দফা দাবি মানতে আন্দোলনে নামে তারা। তবে সংলাপের কারণে সেই আন্দোলনে কিছুটা ভাটা পড়েছে। ইতিমধ্যে ঐক্যফ্রন্ট সিলেট ও চট্টগ্রামে সমাবেশ করেছে। কাল তাদের ঢাকায় সমাবেশ করার কথা আছে। এ ছাড়া ৬ নভেম্বর রাজশাহীতে সমাবেশ করার কথা রয়েছে।