আলোচনা চলবে কি না, জানা যাবে ৮ নভেম্বরের পর

আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের । ফাইল ছবি
আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের । ফাইল ছবি

জাতীয় ঐক্যফ্রন্টের সঙ্গে আরও আলোচনা হতে পারে, সেটা ৮ তারিখের পর জানা যাবে বলে মন্তব্য করেছেন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের। সংলাপ শেষে তিনি গণভবনে সাংবাদিকদের কাছে এ মন্তব্য করেন।

আওয়ামী লীগের সভাপতি প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সঙ্গে জাতীয় ঐক্যফ্রন্টের নেতাদের মধ্যে সাড়ে ৩ ঘণ্টা সংলাপ হয়েছে। বৃহস্পতিবার রাজধানীর গণভবনে সন্ধ্যা সাতটার দিকে সংলাপ শুরু হয়ে শেষ রাত সাড়ে ১০টায়। সংলাপ শেষে ওবায়দুল কাদের সাংবাদিকেরা সঙ্গে কথা বলেন। আলোচনা কনটিনিউ করা হবে কি না—এর জবাবে তিনি বলেন, হতে পারে সেটা ৮ তারিখের (নভেম্বর) পর জানা যাবে।

বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার মুক্তির বিষয়ে তারা কী বলেছেন—জানতে চাইলে ওবায়দুল কাদের বলেন, তারা মুক্তি চেয়েছেন। কিন্তু এটা আইন আদালতের বিষয়।

আওয়ামী লীগ সভাপতি শেখ হাসিনার নেতৃত্বে ১৪ দলীয় জোটের ২৩ নেতার সঙ্গে সংলাপে অংশ নেন জাতীয় ঐক্যফ্রন্টের ২০ নেতা। ঐক্যফ্রন্টের নেতৃত্ব দেন ড. কামাল হোসেন। তাঁর সঙ্গে ছিলেন বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। সংলাপে বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য গয়েশ্বর চন্দ্র রায় থাকার কথা থাকলে শেষ পর্যন্ত তিনি আর যোগ দেননি।

সন্ধ্যা সাতটার দিকে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা সংলাপ কক্ষে ঢুকে জাতীয় ঐক্যফ্রন্ট নেতাদের সঙ্গে শুভেচ্ছা বিনিময় করেন। এরপর সংলাপের শুরুতেই সূচনা বক্তব্য দেন তিনি। সূচনা বক্তব্যে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, তাঁর সরকার টানা ৯ বছর ১০ মাস ধরে ক্ষমতায়। দিন বদলের যে সূচনা তাঁরা করেছেন, সেই দিন বদল হচ্ছে। একে আরও সামনের দিকে এগিয়ে নিয়ে যেতে হবে।

সংলাপে ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগের প্রধান রাজনৈতিক প্রতিপক্ষ বিএনপি জাতীয় ঐক্যফ্রন্টের শরিক দল হিসেবে অংশ নেয়। বিএনপির পক্ষে দলটির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরসহ স্থায়ী কমিটির ছয় সদস্য ছিলেন।

ঐক্যফ্রন্ট প্রধানমন্ত্রী ও আওয়ামী লীগ সভানেত্রী শেখ হাসিনার সঙ্গে সংলাপে বসার আগ্রহের কথা জানিয়ে চিঠি দেয়। এর পরিপ্রেক্ষিতে প্রধানমন্ত্রী তাদের নৈশভোজের আমন্ত্রণ জানান। সেই আমন্ত্রণে ঐক্যফ্রন্ট গণভবনে সংলাপে গেলেও নৈশভোজে অংশ নেবে না বলে জানিয়েছে।

গণফোরাম, বিএনপি, জাসদ (জেএসডি) ও নাগরিক ঐক্য নিয়ে জাতীয় ঐক্যফ্রন্ট গঠিত হয়। গঠনের পরই ৭ দফা দাবি মানতে আন্দোলনে নামে তারা। তবে সংলাপের কারণে সেই আন্দোলনে কিছুটা ভাটা পড়েছে। ইতিমধ্যে ঐক্যফ্রন্ট সিলেট ও চট্টগ্রামে সমাবেশ করেছে। কাল তাদের ঢাকায় সমাবেশ করার কথা আছে। এ ছাড়া ৬ নভেম্বর রাজশাহীতে সমাবেশ করার কথা রয়েছে।