ঘুমিয়ে ছিলাম, কোথা থেকে কী যে হয়ে গেল...

ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের বার্ন ইউনিটে ভর্তি রিপা আক্তার ও তাঁর সন্তান। ঢাকা, ২ নভেম্বর। ছবি: আশরাফুল আলম
ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের বার্ন ইউনিটে ভর্তি রিপা আক্তার ও তাঁর সন্তান। ঢাকা, ২ নভেম্বর। ছবি: আশরাফুল আলম

‘সবাই ঘুমিয়ে ছিলাম। আমার শাশুড়ি রান্নাঘরে চুলা জ্বালাতে গিয়েছিল কি না জানি না। হঠাৎ কী থেকে কী হয়ে গেল।’ বলছিলেন রিপা আক্তার। তিনি গৃহবধূ। স্বামী একটি পোশাক তৈরির কারখানায় অপারেটরের কাজ করেন। তিনিসহ তাঁদের পরিবারের পাঁচ সদস্য আজ শুক্রবার সকালে গ্যাসের সিলিন্ডার বিস্ফোরণে আহত হয়েছেন।

আহত লোকজনের মধ্যে রিপার দুই বছরের সন্তান আয়েশার সারা শরীরে ব্যান্ডেজ। তার শরীরের ৩২ শতাংশ পুড়ে গেছে। স্বামী আবদুর রউফের ৮৮, শ্বশুর আরব আলীর ৬০ ও শাশুড়ি হাসিনা বেগমের ৯৬ শতাংশ পুড়ে গেছে। ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের বার্ন ইউনিটে তাঁদের রাখা হয়েছে।

ঢাকার সাভারের আশুলিয়ার জামগড়া এলাকায় একটি বাসায় সকাল সাতটার দিকে এ ঘটনা ঘটে। আহত লোকজনের মধ্যে তিনজনের অবস্থা গুরুতর। রিপা আক্তার ছাড়া কেউ কথাই বলতে পারছেন না।

দুপুরে বার্ন ইউনিটের পর্যবেক্ষণ ওয়ার্ডে গিয়ে দেখা গেছে, পাশাপাশি চারটি বিছানায় পাঁচজনকে রাখা হয়েছে। প্রত্যেকেরই প্রায় সারা শরীরে ব্যান্ডেজ করা। শিশু আয়েশা মায়ের কোলে শুয়ে আছে। হাসিনা বেগম বারবার ব্যথায় কুঁকিয়ে উঠছেন। পাশে তাঁর এক স্বজন সমানে হাতপাখায় বাতাস করে যাচ্ছেন।

রিপা আক্তারের ছোট বোন আশামনি প্রথম আলোকে বলেন, তাঁরা পাঁচজনই জামগড়ার একটি বাসায় থাকতেন। গ্রামের বাড়ি চুয়াডাঙ্গায়। সকালে চুলা জ্বালাতে গিয়ে হঠাৎ আগুন ধরে যায়। পরে স্থানীয় ব্যক্তিরা হাসপাতালে নিয়ে আসেন। খবর পেয়ে তিনিও ছুটে এসেছেন।

ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের পুলিশ ফাঁড়ির উপপরিদর্শক (এসআই) বাচ্চু মিয়া প্রথম আলোকে বলেন, ‘ঘটনাটি খুব দুঃখজনক। সকালে চুলায় আগুন জ্বালাতেই গিয়ে এ ঘটনা ঘটেছে বলে আহতদের স্বজনেরা বলেছেন।’