গ্রেপ্তার ছয় 'খাট' ব্যবসায়ীর দুজন বলেন, 'খাট' আসে ইথিওপিয়া থেকে

আন্তর্জাতিক মাদক কারবারি মোহাম্মদ ও বাহার আবদুর রহমানই বাংলাদেশের মাদক ব্যবসায়ীদের কাছে মাদক ‘খাট’ পাঠাতেন। ইথিওপিয়ান এই দুই নাগরিকের দেওয়া ঠিকানা মোতাবেক এ দেশের মাদক ব্যবসায়ীরা ‘খাট’কে গ্রিন টি দেখিয়ে তা বিদেশে পাঠাতেন। দুটি তদন্ত সংস্থার কর্মকর্তারা বলছেন, গ্রিন টি হিসেবে মাদক ‘খাট’ আমদানি করে এ দেশের মাদক ব্যবসায়ীরা আবার তা ইথিওপিয়ান নাগরিকদের দেওয়া ঠিকানায় বিদেশে পাঠিয়ে দেন। দুই বছর ধরে ডাক বিভাগের মাধ্যমে মাদক ‘খাট’ বাংলাদেশে এনেছেন মাদক ব্যবসায়ীরা। চার টন খাটসহ ছয়জন ‘খাট’ ব্যবসায়ীকে গ্রেপ্তার করেছে দুটি তদন্ত সংস্থা। তাঁদের জিজ্ঞাসাবাদ করে আরও ১৬ জন ‘খাট’ ব্যবসায়ীর নাম জানতে পেরেছে মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তর ও পুলিশের অপরাধ ও তদন্ত বিভাগ (সিআইডি)।

সিআইডির হাতে গ্রেপ্তার সাইফুল নামের মাদক ব্যবসায়ী আদালতকে জানিয়েছেন, লন্ডনে তাঁর ঘনিষ্ঠ বন্ধু ফেরদৌস বসবাস করেন। তাঁর মাধ্যমে ইথিওপিয়ার নাগরিক মোহাম্মাদের সঙ্গে পরিচয় হয়। মাদক ব্যবসায়ী মোহাম্মাদের মাধ্যমে ডাক বিভাগের মাধ্যমে তিনি খাট আমদানি করেছেন। এ বছরে খাট আমদানি করে তা চট্টগ্রামের ব্যবসায়ী আহম্মেদের কাছে বিক্রি করেন।

নাজিম নামের ব্যবসায়ী মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তরকে বলেছে, দুবাই থাকার সময় ইথিওপিয়ার নাগরিক মাদক ব্যবসায়ী বাহার আবদুর রহমানের সঙ্গে তাঁর পরিচয় হয়। বাহারই তাঁকে প্রস্তাব দেন, ইথিওপিয়া থেকে তিনি গ্রিন টি (খাট) বাংলাদেশে পাঠাবেন। ৫০০ কেজি আমদানি করলে তিনি পাবেন ১ হাজার ৫০০ ডলার। পরে বাহার ডাক বিভাগের মাধ্যমে ২০০ কেজি খাট পাঠান। তা আবার বাহারের দেওয়া ঠিকানা অনুযায়ী আমেরিকা, ইউরোপ ও অস্ট্রেলিয়ার ক্রেতাদের কাছে পাঠান।

তদন্ত কর্মকর্তা ও মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তরের বিভাগীয় গোয়েন্দা কার্যালয়ের সহকারী পরিচালক মেহেদী হাসান প্রথম আলোকে বলেন, এখন পর্যন্ত ২২টি ভিন্ন ভিন্ন ঠিকানায় বাংলাদেশে ‘খাট’ মাদক আমদানি করা হয়েছে। আরও আমদানি পর্যায়ে আছে। মাদক ব্যবসায়ীরা ভুল ঠিকানা ব্যবহার করে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর নজরের বাইরে থেকে এই মাদক ব্যবসা করে আসছেন।

বাংলাদেশে প্রথম ‘খাটের’ চালানটি গত ৩১ আগস্ট আটক করে মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তর। শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের বাংলাদেশ ডাক বিভাগের অফিসে ৮৬০ কেজি ‘খাট’ জব্দ করা হয়। এর ১০ দিনের মাথায় গত ১১ সেপ্টেম্বর ডাক বিভাগের গুলিস্তানের জিপিও থেকে ১ হাজার ৫৮৬ কেজি ‘খাট’ জব্দ করে সিআইডি। এ ঘটনায় রাজধানীর বিমানবন্দর এবং পল্টন থানায় মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ আইনে পৃথক দুটি মামলা হয়। মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তরের হিসাব বলছে, ৩১ আগস্ট থেকে ৪ অক্টোবর পর্যন্ত দেশে ৪ হাজার ১৬২ কেজি ‘খাট’ মাদক জব্দ করা হয়।

khat-infograph-1
khat-infograph-1

অন্য ব্যবসার আড়ালে
‘খাট’ ব্যবসায় জড়িত যে ২০ জন বাংলাদেশির নাম সিআইডি জানতে পেরেছে, তাঁদের মধ্যে গ্রেপ্তার হয়েছেন চারজন। তাঁরা হলেন উজ্জ্বল মিয়া, রাশেদুজ্জামান, সাইফুল আলম ও আতিকুল্লাহ বাহার। আদালতে ১৬৪ ধারায় স্বীকারোক্তি দিয়েছেন সাইফুল ও রাশেদুজ্জামান। আসামি আতিকুল্লাহর গার্মেন্টস ব্যবসা আছে, উজ্জ্বল শুঁটকি রপ্তানির ব্যবসা করেন, সাইফুল মোবাইলের ব্যবসা করেন।

মামলার তদন্ত কর্মকর্তা সিআইডির পরিদর্শক আরশেদ আলী মণ্ডল প্রথম আলোকে বলেন, ‘খাট’ ব্যবসায় জড়িত চারজন ব্যবসায়ী। অন্য ব্যবসার আড়ালে অন্তত দুই বছর ধরে তাঁরা ইথিওপিয়া থেকে গ্রিন টি বলে ‘খাট’ আনছেন। এই ‘খাট’ পরে তাঁরা ৫ কেজি, ১০ কেজি, ১৫ কেজি করে প্যাকেটজাত করে তা গ্রিন টি বলে বিদেশে রপ্তানি করছেন।

অন্যদিকে, মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তরের হাতে গ্রেপ্তার এস এম বাবুল আহমেদ ও নাজিম দুজন কার্গো ব্যবসায়ী। বাবুলের ঢাকা ও চট্টগ্রামে অফিস আছে। মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তরের অতিরিক্ত পরিচালক (গোয়েন্দা) নজরুল ইসলাম সিকদার বলেন, নাজিম ও বাবুলের অন্য ব্যবসার আড়ালে খাট ব্যবসা করছিলেন।

আমদানি
সিআইডির মামলায় ২০ জনের নাম এসেছে। এসব ব্যক্তি ও তাঁদের মালিকানাধীন প্রতিষ্ঠানের নামে গ্রিন টি নামে ‘খাট’ এসেছে। এর মধ্যে চারজনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। বাকি প্রতিষ্ঠান ও ব্যক্তির নাম হলো এশা এন্টারপ্রাইজ, সানিয়াংগাল, ফকিরাপুলের আলমগীর হোসেন, মতিঝিলের মতি মিয়া, আকরামুল, ফকিরাপুলের মুশফিক, মিজানুর, উত্তরার রাশেদ হোসাইন, আরিফ, বনানীর ওবায়েদ রহমান, ফরিদপুরের শাহ আলম, টয়েনবী সার্কুলার রোডের বাদল, মোহাম্মদ জয়, রাশেদুল আমিন ও রুহুল আমিন মোল্লা।

সিআইডি কর্মকর্তা আরশেদ আলী মণ্ডল বলেন, এশা এন্টারপ্রাইজের মালিক হলেন মাহবুবুল আলম। এই প্রতিষ্ঠানের নামে ৪২ কার্টন ‘খাট’ আসে, যা জব্দ করা হয়েছে। মাহবুবসহ বাকি ব্যক্তিদের গ্রেপ্তারের চেষ্টা চালাচ্ছেন তিনি।

‘খাট’ আর গ্রিন টি
‘খাটের’ জন্মস্থান আফ্রিকার দেশ ইথিওপিয়ায়। ‘খাটের’ যতগুলো চালান ধরা পড়েছে, তা সবই এসেছে ইথিওপিয়া থেকে। মাদক ব্যবসায়ীরা ‘খাট’কে গ্রিন টি দেখিয়ে তা ডাক বিভাগের মাধ্যমে আমদানি করে আসছেন। আবার তা বিভিন্ন কুরিয়ার সার্ভিসের মাধ্যমে গ্রিন টি হিসেবে যুক্তরাষ্ট্র, যুক্তরাজ্যসহ বিভিন্ন দেশে পাচার করা হয়েছে।

আন্তর্জাতিক মাদক ব্যবসায়ী চক্র কেন মাদক ‘খাট’ পাচারের রুট হিসেবে বাংলাদেশকে বেছে নিয়েছে, এর কারণ জানালেন মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তরের কর্মকর্তা মেহেদী হাসান। তিনি প্রথম আলোকে বলেন, যুক্তরাজ্যসহ ইউরোপের বিভিন্ন দেশে ‘খাটের’ ব্যাপক চাহিদা আছে। কিন্তু খাট উৎপাদনকারী আফ্রিকার দেশগুলো কুরিয়ারের মাধ্যমে সরাসরি এসব দেশে পাঠাতে পারে না। যেসব দেশে চা উৎপন্ন হয়, চা রপ্তানি করে, সেসব দেশকে টার্গেট করেন আন্তর্জাতিক মাদক ব্যবসায়ীরা। বাংলাদেশ যেহেতু বিদেশে চা রপ্তানি করে, সে জন্য এ দেশের মাদক ব্যবসায়ীর মাধ্যমে খাটকে গ্রিন টি দেখিয়ে কুরিয়ার সার্ভিসের মাধ্যমে বিদেশে পাচার করছে সংঘবদ্ধ আন্তর্জাতিক মাদক ব্যবসায়ী চক্র।

‘খাট’ যখন গ্রিন টি
গ্রেপ্তার আসামি নাজিম উদ্দিনের প্রতিষ্ঠানের নাম নওশীন এন্টারপ্রাইজ। এ প্রতিষ্ঠানের নামে ইথিওপিয়া থেকে একটি চালান (৪৪০ কেজি) আসে গত ২৮ মে। প্রতিষ্ঠানটি দাবি, আমদানি করা ওই পণ্য হলো গ্রিন টি। আমদানি করা ওই পণ্যের নমুনার রাসায়নিক পরীক্ষার জন্য রাজস্ব বিভাগ থেকে পাঠানো হয় কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উদ্ভিদ সঙ্গনিরোধ বিভাগে। জানতে চাওয়া হয়, এ পণ্যের বাণিজ্যিক নাম কী? এটি খাওয়ার যোগ্য কি না? পণ্যটির গুণগত মান ঠিক আছে কি না? পরীক্ষা-নিরীক্ষা করার পর ৩১ মে ছাড়পত্র দেয় উদ্ভিদ সঙ্গনিরোধ বিভাগ। প্রতিষ্ঠানটির দেওয়া ছাড়পত্র প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়, ইথিওপিয়া থেকে আমদানি করা গ্রিন টি ধ্বংসাত্মক পোকামাকড় ও রোগবালাইমুক্ত। আমদানিকারককে দেওয়া যায়।

কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উদ্ভিদ সঙ্গনিরোধ কেন্দ্রের ভারপ্রাপ্ত পরিচালক কৃষিবিদ মো. আজহার আলী প্রথম আলোকে বলেন, ‘আমাদের কাছে জানতে চাওয়া হয়েছিল, পণ্যটি রোগবালাইমুক্ত কি না। পরীক্ষায় দেখা যায়, পণ্যটি রোগবালাইমুক্ত। এর বাইরে আমাদের কাছে আর কিছু জানতে চাওয়া হয়নি। পণ্যটি আমাদের কাছে গ্রিন টি হিসেবে পাঠানো হয়, সেটি যে “খাট” নামের মাদক কি না, তা আমাদের জানা নেই ।’

এ ব্যাপারে কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের মহাপরিচালক মোহাম্মদ মহসিন প্রথম আলোকে বলেন, এ ছাড়পত্র দেওয়ার বিষয়টি নিয়ে তদন্ত চলছে। কীভাবে ছাড়পত্র দেওয়া হলো, তা যাচাই-বাছাই করে দেখা হচ্ছে।

গুলিস্তানের জিপিও থেকে মাদক ‘খাট’ জব্দের সময় উপস্থিত ছিলেন মামলার সাক্ষী সহকারী রাজস্ব কর্মকর্তা মিজানুর রহমান। তিনি প্রথম আলোকে বলেন, ‘আমরাও জানতাম না যে গ্রিন টির আড়ালে “খাট” নামের মাদক ডাক বিভাগের মাধ্যমে আমদানি করছে সংঘবদ্ধ মাদক ব্যবসায়ীরা। সেদিন আমাদের সামনে গ্রিন টির নামে আমদানি করা খাট জব্দ করে সিআইডি।’

খাট যেভাবে মাদক
ইথিওপিয়া থেকে ‘খাটের’ চাষাবাদ প্রথমে শুরু হয় ইয়ামেনে। এরপর তা ছড়িয়ে পড়ে কেনিয়া, উগান্ডা, সোমালিয়া ও জিবুতিতে। বাংলাদেশের পানপাতার মতো আফ্রিকার দেশগুলোতে খাওয়া হয়। ১৯৮০ সালে প্রথম খাটকে মাদক বলে ঘোষণা করে ওয়ার্ল্ড হেলথ অর্গানাইজেশন (ডব্লিউটিও)। বাংলাদেশের মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ আইনেও এটি মাদক বলে গণ্য। মামলায় বলা হয়েছে, ‘খাট’ মাদকদ্রব্য, যা নেশার উপাদান হিসেবে ব্যবহৃত উদ্ভিদের পাতাবিশেষ।

মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তরের কর্মকর্তা মেহেদী হাসান বলেন, ইয়াবা আর ‘খাটের’ পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া একই রকম। খাট সেবনকারীরা প্রচুর কথা বলেন। ইয়াবা তৈরির উপাদান ডেসট্রোঅ্যামফিটামিনের মতো কাজ করে ‘খাটের’ অ্যালকালয়েড ক্যাথিনোন। ‘খাট’ সেবনের ফলে ঘুম, ক্ষুধা কমে যায়, যৌন ক্ষমতা কমায়, মস্তিষ্কে রক্তক্ষরণের ঝুঁকি বেড়ে যায় কয়েক গুণ।

‘খাট’ পূর্ব ও দক্ষিণ আফ্রিকার পাহাড়ি এলাকায় জন্মায়। পাহাড়ি খাটগাছের উচ্চতা ৬০ ফুট। আর চাষাবাদ করা খাটগাছের উচ্চতা ১৬ ফুট পর্যন্ত লম্বা হয়ে থাকে।

জানত না কোনো সংস্থা
গ্রিন টির আড়ালে মাদক ‘খাট’ আমদানি করা কিংবা গ্রিন টি হিসেবে পাচারের বিষয়টি জানতেন না বলে জানান দেশের দুটি সরকারি সংস্থার কর্মকর্তারা। কর্মকর্তারা বলছেন, ‘খাট’ সম্পর্কে ধারণাই ছিল না তাঁদের।

শুল্ক গোয়েন্দা ও তদন্ত অধিদপ্তরের মহাপরিচালক (ডিজি) শহীদুল ইসলাম প্রথম আলোকে বলেন, গ্রিন টির আড়ালে বিদেশ থেকে ভয়াবহ মাদক ‘খাট’ আমদানি করে তা বিদেশে পাচার করে আসছিলেন মাদক ব্যবসায়ীরা, সে বিষয়টি আগে কেউ জানতেন না। মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তর ‘খাট’ মাদক হিসেবে শনাক্ত হওয়ার পর তাঁর দপ্তরসহ সরকারি সব সংস্থাই এখন সতর্ক অবস্থান নিয়েছে। কঠোর নজরদারি করা হচ্ছে।

মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তরের অতিরিক্ত পরিচালক (গোয়েন্দা) নজরুল ইসলাম শিকদার প্রথম আলোকে বলেন, ডাক বিভাগের মাধ্যমেই ‘খাট’ মাদক গ্রিন টি বলে আমদানি-রপ্তানি করে আসছেন মাদক ব্যবসায়ীরা। কয়েকটি সংস্থার লোকজন এটি সন্দেহের চোখেও দেখতেন। শেষ পর্যন্ত তাঁরাই প্রথম বাংলাদেশে গ্রিন টির নামে আমদানি করা ভয়াবহ মাদক ‘খাট’ জব্দ করেছেন। বাংলাদেশে এ মাদক সেবনকারীর সন্ধান না পেলেও কিছু কিছু প্রতিষ্ঠান দেশে এর ব্যবহার করেছে বলে জানতে পেরেছেন।

কনজ্যুমার অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশের (ক্যাব) চেয়ারম্যান গোলাম রহমান প্রথম আলোকে বলেন, গ্রিন টির আড়ালে মাদক ‘খাট’ ব্যবসায় জড়িত ব্যক্তিদের সবাইকে গ্রেপ্তার করে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির ব্যবস্থা করতে হবে। এ মাদক যাতে ছড়িয়ে না পড়তে পারে, সে ব্যাপারে সবাইকে সতর্ক থাকা দরকার। ‘খাট’ পাচারে আন্তর্জাতিক মাদক ব্যবসায়ী চক্র যাতে বাংলাদেশকে রুট হিসেবে ব্যবহার না করতে পারে, সে জন্য সরকারি সংস্থাগুলোর কঠোর নজরদারি জরুরি।