সংবিধান অনুযায়ী নির্বাচন চায় ইসলামী দলগুলো

সংবিধানের মধ্যে থেকেই ইসলামী দলগুলো সরকারের অধীনে নির্বাচনে আসতে চায়। আজ মঙ্গলবার ১২টি ইসলামী দলের নেতারা আওয়ামী লীগের সভানেত্রী ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সঙ্গে সংলাপ শেষে এ কথা বলেন।

গণভবন থেকে সংলাপ শেষে বের হওয়ার পথে সাংবাদিকদের সঙ্গে কথা বলেন দলগুলোর নেতারা। ১ নভেম্বর জাতীয় ঐক্যফ্রন্টের সঙ্গে শুরু হওয়া সংলাপের ধারাবাহিকতায় প্রধানমন্ত্রী বিভিন্ন সংগঠনের সঙ্গে বসছেন।

সংলাপ ভালো হয়েছে জানিয়ে ইসলামী ঐক্যজোটের একাংশের চেয়ারম্যান আবদুল লতিফ নেজামী বলেন, ‘তত্ত্বাবধায়ক হোক, নির্দলীয় বা সর্বদলীয় সরকার এটা নিয়েই তো দ্বন্দ্ব চলছে। সরকার বলছে এখন সংবিধানের বাইরে যাওয়া যাবে না। অন্যরা বলছে সংবিধানের মধ্যেই এই দ্বন্দ্বের সমাধান সম্ভব। তাহলে তো একটা ঐক্য হয়েছেই। আমরাও সংবিধানের মধ্যে থেকেই দ্বন্দ্বের সমাধান করতে বলেছি।

বাংলাদেশ খেলাফত আন্দোলনের আমীরে শরিয়ত মাওলানা শাহ আতাউল্লাহ ইবনে হাফেজ্জি হুজুর বলেন, ‘আমরা সুষ্ঠু নির্বাচনের দাবি জানিয়েছি।’ সরকারের অধীনে নির্বাচনে যাচ্ছেন কি না জিজ্ঞেস করতে তিনি হ্যাঁ সূচক মাথা নাড়েন।

আন্‌জুমানে রহমানিয়া মইনীয়া মাইজভাণ্ডারীয়’র চেয়ারম্যান সৈয়দ সাইফুদ্দীন আহমদ মাইজভাণ্ডারী বলেন, ‘কোন জোটে যাব তা এখনই বলতে পারছি না। আমরা সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ নির্বাচনের দাবি জানিয়েছি।’

জাকের পার্টির চেয়ারম্যান মোস্তফা আমির ফয়সল মুজাদ্দেদী বলেন, ‘সংলাপে সার্বিক রাজনীতির বিষয়ে কথা হয়েছে। আমরা আগাগোড়া মহাজোটের সাথেই আছি, ভবিষ্যতেও থাকবো। বারবার তত্ত্বাবধায়ক সরকারের দাবি তো কোনো স্থায়ী সমাধান হতে পারে না। এই সরকারের অধীনে নির্বাচনে গিয়ে আমরা দেখব কতটুকু নিরপেক্ষ নির্বাচন হয়। যদি একটি নিরপেক্ষ ও সুষ্ঠু নির্বাচন করা যায় তবে সেটা হবে আমাদের জাতির জন্য এক মাইলফক।’ তিনি বলেন, সুষ্ঠু নির্বাচনের জন্য ঐক্যফ্রন্ট হোক বা অন্য দলগুলো হোক তাদের সঙ্গে জাতীয় ঐক্যমত সৃষ্টি করার পরামর্শ দেওয়া হয়েছে।

ইসলামিক ডেমোক্রেটিক অ্যালায়েন্স এর কো–চেয়ারম্যান এম এ আউয়াল বলেন, সবাই সরকারের নির্বাচনের পাশে থাকতে চায়। সমর্থন দিতে চায়। সংবিধান রক্ষা করে বিধিবিধান ঠিক রেখে যেন নির্বাচন হয়। এই সরকারের উন্নয়ন ও ইসলামের প্রচার প্রচারণায় তাদের অবদানের জন্য পাশে আছি, থাকব।

মুসলিম লীগের স্থায়ী কমিটির সদস্য আতিকুল ইসলাম বলেন, ‘এটা সংলাপ আর কী, সবাই প্রধানমন্ত্রীর প্রশংসা করেছে। আমরা বলেছি, আপনারা আওয়ামী লীগের নেতৃত্বেই তত্ত্বাবধায়ক সরকার ব্যবস্থা এসেছিল। সংবিধান সংশোধন হয়েছিল। ১৯৯৬ ও ২০০৮ সালে এই ব্যবস্থার অধীনেই আপনারা নির্বাচন করে ক্ষমতায় এসেছিলেন। এর বাইরে আর কি কিছু বলতে হবে?’