ওয়াসার পানির মান পরীক্ষায় কমিটি গঠন

রাজধানী ঢাকায় পাইপের মাধ্যমে সরবরাহ করা ওয়াসার পানির মান পরীক্ষায় পাঁচ সদস্যের কমিটি গঠন করে দিয়েছেন হাইকোর্ট। বিচারপতি জে বি এম হাসান ও বিচারপতি মো. খায়রুল আলমের সমন্বয়ে গঠিত হাইকোর্ট বেঞ্চ এক রিট আবেদনের প্রাথমিক শুনানি নিয়ে আজ মঙ্গলবার রুলসহ এ আদেশ দেন। কমিটিকে দুই মাসের মধ্যে প্রতিবেদন দিতে বলে আগামী ১৬ জানুয়ারি পরবর্তী দিন রেখেছেন আদালত।

কমিটিতে স্থানীয় সরকার মন্ত্রণালয়, আইসিডিডিআরবি, বুয়েটের ব্যুরো অব রিসার্চ টেস্টিং অ্যান্ড কনসালটেশন, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের (ঢাবি) ফার্মেসি অনুষদ এবং বায়োলজিক্যাল সায়েন্স অনুষদের একজন করে প্রতিনিধি থাকবেন।

‘অনিরাপদ পানি পান করছে সাড়ে সাত কোটি মানুষ’ শিরোনামে গত ১২ অক্টোবর প্রথম আলোয় একটি প্রতিবেদন ছাপা হয়। এ নিয়ে গণমাধ্যমে আসা প্রতিবেদন যুক্ত করে নিরাপদ পানি সরবরাহ নিশ্চিতে সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিদের নিষ্ক্রিয়তা চ্যালেঞ্জ করে গত ১৪ অক্টোবর রিটটি করেন সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী তানভীর আহমেদ।

মঙ্গলবার আদালতে রিটের পক্ষে আবেদনকারী তানভীর আহমেদ নিজেই শুনানি করেন, সঙ্গে ছিলেন আইনজীবী আবদুল্লাহ আবু সাঈদ। রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল মোতাহার হোসেন। পরে তানভীর আহমেদ প্রথম আলোকে বলেন, হাইকোর্ট রুলসহ পাঁচ সদস্যের ওই কমিটি গঠন করে আদেশ দিয়েছেন। রুলে দেশে পাইপের মাধ্যমে নিরাপদ পানি সরবরাহে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের ব্যর্থতা কেন অবৈধ ঘোষণা করা হবে না এবং নিরাপদ পানি সরবরাহে দ্রুত পদক্ষেপ নিতে কেন নির্দেশ দেওয়া হবে না, জানতে চাওয়া হয়েছে। স্থানীয় সরকার সচিব, স্বাস্থ্যসচিব, স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের মহাপরিচালক, জনস্বাস্থ্যের প্রধান প্রকৌশলী, ঢাকা, চট্টগ্রাম, রাজশাহী ও খুলনা ওয়াসার ব্যবস্থাপনা পরিচালকসহ বিবাদীদের রুলের জবাব দিতে বলা হয়েছে।

রিট আবেদনকারীর ভাষ্য, পানির নিরাপদ উৎসগুলোর ৪১ শতাংশই ক্ষতিকারক ই-কোলাই ব্যাকটেরিয়াযুক্ত বলে বিশ্বব্যাংকের এক প্রতিবেদনে এসেছে। পাইপের মাধ্যমে বাসাবাড়িতে সরবরাহ করা পানিতে এই ব্যাকটেরিয়ার উপস্থিতি সবচেয়ে বেশি, যা ৮০ শতাংশের ওপর। অনিরাপদ পানি পানের কারণে অনেক শিশুর স্বাভাবিক বিকাশ বাধাগ্রস্ত হওয়ার পাশাপাশি জনসাধারণ নানা রোগে আক্রান্ত হচ্ছে। অথচ সংবিধানে আছে, রাষ্ট্র মানুষের জীবনধারণের মৌলিক উপকরণ নিশ্চিত করবে, যার মধ্যে পানিও পড়ে। এসব যুক্তিতে রিটটি করা হয়।