মির্জা আব্বাস ও হাফিজ ইব্রাহিমের আবেদন খারিজ

ফাইল ছবি
ফাইল ছবি

জ্ঞাত আয়বহির্ভূত সম্পদ অর্জনের অভিযোগে দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) করা মামলা বাতিল চেয়ে বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য এবং সাবেক গৃহায়ণ ও গণপূর্তমন্ত্রী মির্জা আব্বাসের করা আবেদন সরাসরি খারিজ করে দিয়েছেন হাইকোর্ট।

বিচারপতি মো. নজরুল ইসলাম তালুকদার ও বিচারপতি কে এম হাফিজুল আলমের সমন্বয়ে গঠিত হাইকোর্ট বেঞ্চ আজ রোববার এ আদেশ দেন। ১০০ বান্ডিল ত্রাণের ঢেউটিন আত্মসাতের অভিযোগে করা মামলায় অভিযোগ গঠনের বিরুদ্ধে সাবেক সাংসদ মো. হাফিজ ইব্রাহিমের করা আবেদন আজ খারিজ করে রায় দিয়েছেন হাইকোর্টের একই বেঞ্চ।

এর ফলে তাঁদের বিরুদ্ধে করা পৃথক দুই মামলার কার্যক্রম চলবে বলে জানিয়েছেন দুদকের আইনজীবী খুরশীদ আলম খান। তিনি প্রথম আলোকে বলেন, হাফিজ ইব্রাহিমের মামলাটি ছয় মাসের মধ্যে নিষ্পত্তি করতে বিচারিক আদালতকে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।

আদালতে মির্জা আব্বাসের পক্ষে শুনানি করেন আইনজীবী এ জে মোহাম্মদ আলী। হাফিজ ইব্রাহিমের পক্ষে শুনানি করেন আইনজীবী মাহবুবউদ্দিন খোকন। দুদকের পক্ষে শুনানিতে ছিলেন আইনজীবী খুরশীদ আলম খান। রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল এ কে এম আমিন উদ্দিন মানিক।

আইনজীবী সূত্র বলছে, ৫ কোটি ৯৭ লাখ ১৩ হাজার ২৩৪ টাকা জ্ঞাত আয়বহির্ভূত সম্পদ অর্জন ও ৩৩ লাখ ৪৮ হাজার ৫৮১ টাকার তথ্য গোপনের অভিযোগে ২০০৭ সালের ১৬ আগস্ট মির্জা আব্বাসের বিরুদ্ধে রমনা থানায় মামলাটি করে দুদক। বর্তমানে মামলাটি ঢাকার বিশেষ জজ আদালত-৬-এ বিচারাধীন।

রাষ্ট্রপক্ষ জানায়, ২০০৭ সালের ১৩ জুন ভোলা থেকে ১০০ বান্ডিল ত্রাণের ঢেউটিন উদ্ধার করা হয়। সেদিনই টিন আত্মসাতের অভিযোগে বোরহান উদ্দিন উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা দুজনক আসামি করে বোরহান উদ্দিন থানায় মামলা করেন। এই মামলায় তদন্ত শেষে ২০০৯ সালের ১৮ জানুয়ারি হাফিজ ইব্রাহিমসহ চারজনের বিরুদ্ধে অভিযোগপত্র দেয় দুদক। অভিযোগ গঠনের পর তা থেকে অব্যাহতি পেতে হাইকোর্টে রিভিশান আবেদন করে হাফিজ ইব্রাহিম। শুনানি নিয়ে ২০১৩ সালের ১ অক্টোবর হাইকোর্ট রুল দিয়ে হাফিজ ইব্রাহিমের ক্ষেত্রে ওই মামলার কার্যক্রম স্থগিত করেন। আজ রোববার রুল খারিজ এবং এর আগে দেওয়া স্থগিতাদেশ প্রত্যাহার করে রায় দেওয়া হয়।