আ.লীগের দুই পক্ষের সংঘর্ষের নিহতের মামলায় গ্রেপ্তার যুবলীগ নেতার জামিন

রাজধানীর মোহাম্মদপুরের আদাবরে আওয়ামী লীগের দুই পক্ষের সংঘর্ষের সময় পিকআপ ভ্যানের চাপায় দুজনের মৃত্যুর ঘটনার মামলায় গ্রেপ্তার আসামির জামিন মঞ্জুর করেছেন আদালত। ঢাকার মুখ্য মহানগর হাকিম আদালত আজ রোববার জামিনের আদেশ দেন। জামিনপ্রাপ্ত আসামি হলেন, স্থানীয় যুবলীগ নেতা আরিফুর রহমান তুহিন।

আদালত সূত্র বলছে, মোহাম্মদপুর থানা-পুলিশ আসামি আরিফুর রহমানকে আজ ঢাকার আদালতে হাজির করে পাঁচ দিন রিমান্ডে নেওয়ার আবেদন করে। অপরদিকে আরিফুরের আইনজীবীরা রিমান্ড বাতিল চেয়ে আদালতের কাছে জামিনের আবেদন করেন। আরিফুরের আইনজীবীরা আদালতকে বলেন, সন্দেহজনকভাবে পুলিশ আরিফকে এ মামলায় গ্রেপ্তার করেছে। উভয় পক্ষের কথা শুনে আদালত আসামি যুবলীগ নেতা আরিফুর রহমানকে দুই হাজার টাকা মুচলেকায় জামিন দেন।

এর আগে শনিবারের রাতে নিহত আরিফের বাবা ফারুক হোসেন বাদী হয়ে দণ্ডবিধির ৩০৪ ধারায় অজ্ঞাত ২০ থেকে ২৫জনকে আসামি করে মামলা করেন। রাতেই আরিফুর রহমানকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ।

আদাবর এলাকায় আওয়ামী লীগের দুই গ্রুপের মধ্যে সংঘর্ষের সময় শনিবার দুপুরে পিকআপ ভ্যানের চাপায় দুই তরুণ নিহত হন। নিহত দুজন হলো আরিফ হোসেন (১৪) ও মো. সুজন (১৮)। এদের মধ্যে সুজন নির্মাণশ্রমিক এবং আরিফ প্রিন্টিংয়ের কাজ করত।
একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের তফসিল ঘোষণার পর এটাই নির্বাচনী সহিংসতায় বড় ধরনের প্রাণহানির প্রথম ঘটনা।

পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, ঢাকা-১৩ আসনের সাংসদ আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক জাহাঙ্গীর কবির নানক ও ওই আসনে মনোনয়নপ্রত্যাশী মহানগর উত্তর আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক সাদেক খানের কর্মী-সমর্থকদের মধ্যে এই সংঘাতের ঘটনা ঘটে । শনিবার সকাল সাড়ে নয়টার দিকে আওয়ামী লীগের মনোনয়নপ্রত্যাশী সাদেক খানের মনোনয়নপত্র সংগ্রহ করার জন্য তাঁর কর্মী-সমর্থকদের একটি গাড়িবহর মিছিল নিয়ে মোহাম্মদপুর এলাকার সুনিবিড় হাউজিংয়ের সামনে যায় । এ সময় নানকের সমর্থকেরা তাঁদের ওপর হামলা চালায়।