'হয়রানিমূলক মামলা কিছুটা হলেও নির্বাচনের পরিবেশ নষ্ট করে'

নির্বাচন কমিশনার রফিকুল ইসলাম। ফাইল ছবি
নির্বাচন কমিশনার রফিকুল ইসলাম। ফাইল ছবি

নির্বাচন কমিশনার রফিকুল ইসলাম বলেছেন, বিএনপির মামলাসংক্রান্ত তালিকা তাঁরা এখনো দেখেননি। তালিকা দেখে যদি মনে হয় যে হয়রানিমূলক মামলা করা হয়েছে, তাহলে পুলিশকে নির্দেশনা দেওয়া হবে যেন হয়রানিমূলক মামলা না দেওয়া হয়। হয়রানিমূলক মামলা দেওয়া হলে কিছুটা হলেও নির্বাচনের পরিবেশ নষ্ট হয়।

রাজধানীর আগারগাঁওয়ে নির্বাচন কমিশনে আজ রোববার দুপুরে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে নির্বাচন কমিশনার রফিকুল ইসলাম এ মন্তব্য করেন।

জাতীয় সংসদ নির্বাচনে বিএনপির মনোনয়নপ্রত্যাশী প্রার্থীদের সঙ্গে ভিডিও কনফারেন্সে সাক্ষাৎকার নিচ্ছেন দলটির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান। এ বিষয়ে সাংবাদিকেরা দৃষ্টি আকর্ষণ করলে রফিকুল ইসলাম বলেন, এ বিষয়ে কেউ অভিযোগ করেনি। তথ্যপ্রমাণসহ কেউ অভিযোগ করলে নির্বাচন কমিশন আইনে কী আছে, সেটি দেখে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

নির্বাচনের আগাম প্রচারসামগ্রী বিষয়ে নির্বাচন কমিশনার রফিকুল ইসলাম বলেন, নির্বাচনের আগাম প্রচারসামগ্রী আজ দিবাগত রাত ১২টার মধ্যে সরাতে হবে। আগাম নির্বাচনসামগ্রী কেউ না সরালে, তাঁদের বিরুদ্ধে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীকে ব্যবস্থা নেওয়ার নির্দেশ দেওয়া হবে।

বিভিন্ন বেসরকারি টেলিভিশন চ্যানেলে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে ধন্যবাদ জানিয়ে ‘থ্যাংক ইউ পিএম’ শিরোনামে একটি বিজ্ঞাপন প্রচার করা হচ্ছে। বিষয়টি আচরণবিধির লঙ্ঘন কি না, এ প্রশ্নের জবাবে রফিকুল ইসলাম বলেন, তিনি বিভিন্ন বেসরকারি টেলিভিশন চ্যানেলে এটি দেখেছেন। চ্যানেলগুলোর নিজস্ব নীতিমালা আছে, টেলিভিশন চ্যানেলের ওপর হস্তক্ষেপ করার ক্ষমতা নির্বাচন কমিশনের নেই, সে ইচ্ছাও নেই। তিনি বলেন, বিজ্ঞাপনটিতে সরকারের কর্মকাণ্ড তুলে ধরার চেষ্টা করা হয়েছে। অন্য কোনো দল এমন প্রচার করতে চাইলে সেটা করতে পারে। কেউ যদি এ বিষয়ে অভিযোগ করে, তাহলে এ বিষয়ে আইনে কী আছে, তা দেখে সিদ্ধান্ত নিতে হবে যে এটি আচরণবিধির লঙ্ঘন কি না।

নির্বাচনের আগে বিভিন্ন জায়গায় পুলিশ প্রিসাইডিং কর্মকর্তার বিষয়ে খোঁজ নিচ্ছে, এ বিষয়ে দৃষ্টি আকর্ষণ করলে রফিকুল ইসলাম বলেন, নির্বাচন কমিশন বা রিটার্নিং কর্মকর্তা, কাউকে এ ধরনের নির্দেশ দেওয়া হয়নি। যদি অতি উৎসাহী কোনো পুলিশ এ ধরনের কাজ করে থাকে, কেউ এ বিষয়ে সুনির্দিষ্ট অভিযোগ দিলে ব্যবস্থা নেওয়া হবে। এ বিষয়ে গণমাধ্যমে সংবাদ প্রকাশের বিষয়ে তিনি বলেন, গণমাধ্যমে আসা নাম, ঠিকানাগুলো যাচাই করা করা হবে। সত্যতা পেলে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

নির্বাচনী কর্মকর্তা কারা হবেন, এ বিষয়ে সাংবাদিকের প্রশ্নের জবাবে রফিকুল ইসলাম বলেন, কারা নির্বাচনী কর্মকর্তা হবেন, এ–সংক্রান্ত নীতিমালায় অনেকগুলো শর্ত আছে। যদি কেউ দণ্ডপ্রাপ্ত হন বা বেসরকারি প্রতিষ্ঠানের কোনো কর্মকর্তা কোনো দলের সঙ্গে যুক্ত থাকেন, এটা যাচাই করার সক্ষমতা নির্বাচন কমিশনের নেই। কাজটি রিটার্নিং কর্মকর্তাকে কেউ করে দিতে হবে। এ রকম ক্ষেত্রে যাচাইয়ের জন্য রিটার্নিং কর্মকর্তা পুলিশকে অনুরোধ করতে পারেন। তবে নির্বাচন কমিশন বা রিটার্নিং কর্মকর্তা এ ধরনের নির্দেশ দেননি।