বাবাদের হারানো আসন উদ্ধারে সন্তানেরা

নওশাদ জমির ও  মাহমুদ হোসেন
নওশাদ জমির ও মাহমুদ হোসেন

বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ও সাবেক স্পিকার জমির উদ্দিন সরকার ২০০৮ সালের নির্বাচনে পরাজিত হওয়ায় পঞ্চগড়–১ আসনটি হাতছাড়া হয়েছিল বিএনপির। এবার এই আসন উদ্ধার করতে চান তাঁর ছেলে, বিএনপির আন্তর্জাতিক বিষয়ক সম্পাদক নওশাদ জমির।

একইভাবে ২০০৮ সালের নির্বাচনে পঞ্চগড়–২ আসনটিও বিএনপির হাতছাড়া হয়। জেলা বিএনপির তৎকালীন সভাপতি মোজাহার হোসেন ওই নির্বাচনে হেরে যান। এবার এই আসন উদ্ধারের জন্য ভোটের মাঠে নেমেছেন তাঁর ছেলে মাহমুদ হোসেন সুমন।

অবশ্য পঞ্চগড়–২ আসনের জন্য মনোনয়ন ফরম কিনেছেন প্রয়াত মোজাহার হোসেনের স্ত্রী নাদিরা আখতারও। তবে ছেলে মাহমুদ হোসেনেরই মনোনয়ন পাওয়ার সম্ভাবনা বেশি বলে দলীয় সূত্রগুলো জানায়।

২০০৮ সালের নির্বাচনে জমির উদ্দিন সরকার তৎকালীন জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক মজাহারুল হক প্রধানের কাছে প্রায় ৫০ হাজার ভোটের ব্যবধানে হেরে যান। এরপর থেকে পঞ্চগড়ে বিএনপির মধ্যে অভ্যন্তরীণ কোন্দলেরও সৃষ্টি হয়।

নওশাদ জমির প্রথম আলোকে বলেন, দল তাঁকেই মনোনয়ন দেবে বলে বিশ্বাস রেখে তিনি ইতিমধ্যে মনোনয়ন ফরম জমা দিয়েছেন। বাবার হারানো আসনটি উদ্ধার করাই তাঁর লক্ষ্য। একই সঙ্গে এলাকার মানুষের পাশে দাঁড়িয়ে বেকার সমস্যা দূর করতে সচেষ্ট হবেন তিনি।

পঞ্চগড়–১ আসনে প্রার্থিতার জন্য অন্যান্যের মধ্যে পৌর বিএনপির সভাপতি ও পঞ্চগড় পৌরসভার পাঁচবারের মেয়র মো. তৌহিদুল ইসলাম এবং জাতীয়তাবাদী সামাজিক সাংস্কৃতিক দলের রংপুর বিভাগীয় সাংগঠনিক সম্পাদক মো. ইউনুস শেখও মনোনয়ন ফরম কিনেছেন।

অপরদিকে পঞ্চগড়-২ আসনে ২০০৮ সালের সংসদ নির্বাচনে পঞ্চগড় জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি নূরুল ইসলাম সুজনের কাছে প্রায় ৫০ হাজার ভোটের ব্যবধানে পরাজিত হন জেলা বিএনপির তৎকালীন সভাপতি মোজাহার হোসেন। ২০১৪ সালের নির্বাচনেও নূরুল ইসলাম বিজয়ী হন। ২০১৬ সালে মোজাহার হোসেনের মৃত্যুর পর এই আসনে বিএনপির মনোনয়ন পাওয়ার জন্য সক্রিয় হয়ে ওঠেন বিএনপির জাতীয় নির্বাহী কমিটির সদস্য ফরহাদ হোসেন আজাদ। ইতিমধ্যে তিনি মনোনয়ন ফরম জমা দিয়েছেন এবং মনোনয়ন পাবেন বলেও আশাবাদী।

অন্যদিকে প্রয়াত মোজাহার হোসেনের ছেলে মাহমুদ হোসেনও এই আসনে মনোয়ন পেতে কেন্দ্রীয়ভাবে চেষ্টা চালাচ্ছেন। ইতিমধ্যে মনোনয়ন ফরম জমা দিয়েছেন তিনি। মনোনয়ন পেলে এবং নির্বাচিত হলে এলাকার উন্নয়নে মাহমুদ হোসেন তাঁর বাবার অসমাপ্ত কাজগুলো সমাপ্ত করতে চান।

পঞ্চগড়-২ আসনে প্রার্থিতার জন্য এ ছাড়াও মনোনয়ন ফরম কিনেছেন দেবীগঞ্জ উপজেলা বিএনপির সাবেক সভাপতি হামিদুর রহমান এবং বোদা উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান জামায়াতের সমর্থক সফিউল্লাহ সুফি।