রংপুরে গাড়ির ধাক্কায় শিশু নিহত

প্রতিদিন শিশু নিঝু আখতার স্কুলে যেত, সহপাঠীদের সঙ্গে বাড়ি ফিরত। আজ সোমবার সকালে স্কুলে যাওয়ার পর শিশুটি বাড়ি ফিরেছে ঠিকই, কিন্তু লাশ হয়ে।

ঘটনাটি ঘটেছে রংপুরের তারাগঞ্জ উপজেলার ঘনিরামপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সামনে রংপুর-দিনাজপুর মহাসড়কে। ওই ঘটনায় ক্ষুব্ধ হয়ে লোকজন সড়কে গতিরোধক নির্মাণের দাবিতে দেড় ঘণ্টা মহাসড়ক অবরোধ করে রাখেন। এতে রাস্তার দুই পাশে অসংখ্য যানবাহন আটকা পড়ে।

নিহত শিশুর পরিবার ও প্রত্যক্ষদর্শী সূত্রে জানা যায়, পাঁচ বছরের শিশু নিঝু পড়াশোনা করত ঘনিরামপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিশু শ্রেণিতে। তার বাড়ি উপজেলার কুর্শা ইউনিয়নের গুচ্ছগ্রামে। বাবার নাম নুর ইসলাম। আজ সকাল নয়টার দিকে নিঝু বইখাতা নিয়ে স্কুলে যায়। বেলা ১১টার দিকে স্কুল ছুটির পর সহপাঠীদের সঙ্গে মহাসড়ক দিয়ে হেঁটে বাড়ি ফিরছিলেন। হঠাৎ ওই স্কুলের সামনে সৈয়দপুরগামী একটি প্রাইভেট কার শিশুটিকে ধাক্কা দিয়ে পালিয়ে যায়। এতে ঘটনাস্থলে শিশুটি নিহত হয়।

নিঝু মৃত্যুর ঘটনায় ক্ষুব্ধ এলাকাবাসী ও শিক্ষার্থীরা স্কুলের সামনে গতিরোধক নির্মাণের দাবিতে মহাসড়ক অবরোধ করে রাখেন। পরে উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান আনিছুর রহমান, উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) আমিনুল ইসলাম ঘটনাস্থলে এসে অবরোধকারীদের সঙ্গে কথা বলার পর দুপুর সাড়ে ১২টার দিকে অবরোধকারীরা মহাসড়ক থেকে চলে যান। এরপর যানবাহন চলাচল স্বাভাবিক হয়।

ঘনিরামপুর গ্রামের মফিজুল ইসলাম বলেন, ঘটনাস্থলে এসে উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান, ইউএনও স্কুলের সামনের মহাসড়কে গতিরোধক নির্মাণের আশ্বাস দেওয়ায় অবরোধ তুলে নেওয়া হয়।

তারাগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) জিন্নাত আলী ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করেছেন। তিনি জানান, দুর্ঘটনায় শিশুটির মৃত্যুর পর এলাকাবাসী সড়ক অবরোধ করে রাখেন। এখন স্বাভাবিক গতিতে যানবাহন চলাচল করছে।