সর্বত্র আলোচনা - এরশাদ ঢাকায়, না রংপুরে

এইচ এম এরশাদ
এইচ এম এরশাদ

একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে জাতীয় পার্টির চেয়ারম্যান এইচ এম এরশাদের পক্ষ থেকে ঢাকা ও রংপুরের দুটি আসন থেকে মনোনয়ন ফরম সংগ্রহ করা হয়েছে। তিনি একটি আসনে নির্বাচন করবেন, না দুটি আসনেই থাকবেন, এ নিয়ে রংপুরের সর্বত্র জল্পনাকল্পনা ও মুখরোচক আলোচনা চলছে।

এ ছাড়া এরশাদের হঠাৎ অসুস্থতা নিয়ে হাসপাতালে ভর্তি হওয়ার বিষয়টিও আলোচিত হচ্ছে।

রংপুর-৩ (সদর) আসনটি জাতীয় পার্টির চেয়ারম্যান এইচ এম এরশাদের। তিনি এ আসনে থাকছেন, না ঢাকা-১৭ আসন থেকে নির্বাচন করছেন, এমন আলোচনা রংপুরের সর্বত্র।

গতকাল সোমবার রংপুর শহরের কয়েকটি উল্লেখযোগ্য জনবহুল স্থান কাচারিবাজার, পোস্ট অফিসের সামনে, আদালতপাড়া এলাকায় সাধারণ মানুষের আলোচনায় এরশাদ প্রসঙ্গই বেশি উঠে আসে।

কেউ বলছেন, এরশাদের অসুস্থতা একটি রাজনৈতিক ইস্যু। আবার কেউ বলছেন, নিজ দলের মনোনয়ন নিয়ে চাপে থাকার কারণেই তিনি অসুস্থ হয়ে পড়েছেন। আবার অনেকের ভাষ্য, বয়সের ভারে তাঁর এই অসুস্থতা।

মহানগর জাতীয় পার্টির সভাপতি ও সিটি করপোরেশনের মেয়র মোস্তাফিজার রহমান বলেন, ‘রংপুর হলো জাতীয় পার্টির এলাকা। তাই আমরা চাই এ আসনে তিনি নির্বাচন করবেন। ইতিমধ্যে জেলা রিটার্নিং কর্মকর্তার কাছ থেকে তাঁর (এরশাদ) মনোনয়নপত্র সংগ্রহ করা হয়েছে।’ এ প্রসঙ্গে কাচারিবাজার এলাকায় কথা হলো মহানগর আওয়ামী লীগের সভাপতি সাফিউর রহমানের সঙ্গে। তিনি বলেন, এমনিতেই আওয়ামী লীগের মনোনয়নপ্রত্যাশী অনেক বেশি। তার ওপর মহাজোটের শরিক দল রয়েছে। এ কারণে এরশাদ একটি আসনে নির্বাচন করলে ভালো হয়। সেটি রংপুর। আর তা না হলে ঢাকা-১৭।

গত পাঁচটি সংসদ নির্বাচনে জাতীয় পার্টির প্রার্থীর নিয়ন্ত্রণে রয়েছে রংপুর-৩ আসনটি। ৯১, ৯৬, ২০০৮ ও ২০১৪ সালে চারবার জাতীয় পার্টির এইচ এরশাদ বিজয়ী হন। এর মধ্যে ২০০৮ সালে এরশাদের ছেড়ে দেওয়া আসনে উপনির্বাচনে জাতীয় পার্টির রওশন এরশাদ নির্বাচিত হন। ২০০১ সালে এই আসনে জাতীয় পার্টির জি এম কাদের বিজয়ী হন।

জেলা জাতীয় পার্টির যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক আবদুর রাজ্জাক বলেন, জাতীয় পার্টির ঘাঁটি হিসেবে পরিচিতি এই রংপুর সদর আসনটিতে দলীয় চেয়ারম্যান এরশাদ নির্বাচন করবেন, নেতা-কর্মীদের এমনই আশা।

রংপুর সদর আসনে আওয়ামী লীগের মনোনয়ন ফরম সংগ্রহ করেছেন আট নেতা। তাঁদের মধ্যে রয়েছেন আওয়ামী লীগ কেন্দ্রীয় উপদেষ্টামণ্ডলীর সদস্য চৌধুরী খালেকুজ্জামান, সংরক্ষিত আসনের সাংসদ হোসনে আরা লুৎফা ডালিয়া, জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি মমতাজ উদ্দিন আহমেদ, সাংগঠনিক সম্পাদক আনোয়ারুল ইসলাম, দপ্তর সম্পাদক তৌহিদুর রহমান, প্রচার ও প্রকাশনা সম্পাদক রোজী রহমান, মহিলাবিষয়ক সম্পাদক লতিফা শওকত, মহানগর আওয়ামী লীগের প্রচার সম্পাদক রেজাউল ইসলাম এবং সদর উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান, মহানগর আওয়ামী লীগের স্বাস্থ্য ও জনসংখ্যাবিষয়ক সম্পাদক নাসিমা জামান।

এ ছাড়া এই আসনে বিএনপির পক্ষ থেকে দলীয়ভাবে মনোনয়ন ফরম সংগ্রহ করেছেন ছয়জন। তাঁরা হলেন মহানগর বিএনপির সভাপতি মোজাফফর হোসেন, সাধারণ সম্পাদক শহিদুল ইসলাম, সহসভাপতি কাওসার জামান, জেলা বিএনপির যুগ্ম সম্পাদক শফি কামাল, প্রয়াত নেতা মশিউর রহমান যাদু মিয়ার মেয়ে রীতা রহমান ও ফরিদা খানম।