শহিদুলের মুক্তির অপেক্ষায় কারাগারের সামনে স্বজনেরা

কেরানীগঞ্জে ঢাকা কেন্দ্রীয় কারাগারের সামনে অপেক্ষায় শহিদুল আলমের স্বজন ও আইনজীবীরা। ছবি: ইকবাল হোসেন
কেরানীগঞ্জে ঢাকা কেন্দ্রীয় কারাগারের সামনে অপেক্ষায় শহিদুল আলমের স্বজন ও আইনজীবীরা। ছবি: ইকবাল হোসেন

তথ্য ও যোগাযোগপ্রযুক্তি আইনে করা মামলায় আলোকচিত্রী শহিদুল আলমের মুক্তির অপেক্ষায় ঢাকা কেন্দ্রীয় কারাগারের সামনে অপেক্ষা করছেন তাঁর স্বজনেরা। তাঁর জামিন মঞ্জুর করে হাইকোর্টের দেওয়া রায়ের কপি গতকাল সোমবার হাতে পেয়েছেন তাঁর আইনজীবী। এ রায় স্থগিত চেয়ে আবেদন করেছে রাষ্ট্রপক্ষ।

আজ মঙ্গলবার বেলা সাড়ে ১১টা থেকে কেরানীগঞ্জে ঢাকা কেন্দ্রীয় কারাগারের সামনে অপেক্ষা করছেন শহিদুল আলমের স্ত্রী রেহনুমা আহমেদ, স্বজন ও আইনজীবীরা। তাঁর জামিনের কপি কারাগারে পৌঁছে দিয়েছেন আইনজীবীরা।

স্ত্রী রেহনুমা আহমেদ বলেন, বেলা সাড়ে ১১টা থেকে কারাগারের সামনে অপেক্ষা করছেন। কিন্তু এখনো শহিদুল আলমকে মুক্তি দেওয়া হয়নি। এ নিয়ে তাঁরা চিন্তিত।

মুক্তি দিতে কেন দেরি হচ্ছে, তা জানতে জেলার মাহবুবুল ইসলামের ফোনে প্রথম আলো একাধিকবার চেষ্টা করেও তাঁকে পাননি।

নিরাপদ সড়কের দাবিতে শিক্ষার্থীদের আন্দোলনের মধ্যে ‘উসকানিমূলক মিথ্যা’ প্রচারের অভিযোগে তথ্য ও যোগাযোগপ্রযুক্তি আইনে করা মামলায় গত ৫ আগস্ট ধানমন্ডির বাসা থেকে তাঁকে তুলে নেয় ডিবি। ৬ আগস্ট শহিদুল আলমকে সাত দিনের রিমান্ডে নেয় পুলিশ। রিমান্ড শেষে গত ১২ আগস্ট শহিদুলকে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেন নিম্ন আদালত। এরপর থেকে তিনি কারাগারে আছেন। ওই মামলায় ১১ সেপ্টেম্বর ঢাকা মহানগর দায়রা জজ শহিদুল আলমের জামিন নাকচ করেন। এরপর ১৭ সেপ্টেম্বর তিনি হাইকোর্টে জামিন চেয়ে আবেদন করেন।