মিয়ানমারকে অবশ্যই রোহিঙ্গাদের ফেরত নিতে হবে

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সঙ্গে সৌজন্য সাক্ষাৎ করেছেন ডেনমার্কের রাষ্ট্রদূত উইনি এস্ট্রাপ পিটারসেন। প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়, ঢাকা, ২০ নভেম্বর। ছবি: বাসস
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সঙ্গে সৌজন্য সাক্ষাৎ করেছেন ডেনমার্কের রাষ্ট্রদূত উইনি এস্ট্রাপ পিটারসেন। প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়, ঢাকা, ২০ নভেম্বর। ছবি: বাসস

বাংলাদেশে আশ্রয় নেওয়া রোহিঙ্গাদের ফেরত নিতে মিয়ানমারের প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন ঢাকায় নিযুক্ত ডেনমার্কের নতুন রাষ্ট্রদূত উইনি এস্ট্রাপ পিটারসেন। তিনি বলেছেন, মিয়ানমারের উচিত রোহিঙ্গা শরণার্থীদের বাংলাদেশ থেকে ফেরত নিয়ে যাওয়া। মঙ্গলবার সকালে প্রধানমন্ত্রীর তেজগাঁও কার্যালয়ে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সঙ্গে সৌজন্যসাক্ষাতে এ কথা বলেন ডেনমার্কের রাষ্ট্রদূত।

বৈঠকের পর প্রধানমন্ত্রীর প্রেস সচিব ইহসানুল করিম সাংবাদিকদের ব্রিফ করেন। তিনি বলেন, বৈঠকে প্রধানমন্ত্রী রোহিঙ্গা শরণার্থীদের বাংলাদেশ থেকে ফেরত নিয়ে যাওয়ার বিষয়ে পুনরায় গুরুত্ব আরোপ করেন।

বিপন্ন রোহিঙ্গা জনগোষ্ঠীর পুনর্বাসনে তাঁর সরকারের পদক্ষেপসমূহ উল্লেখ করে শেখ হাসিনা বলেন, রোহিঙ্গাদের অস্থায়ী আবাসনের জন্য তাঁর সরকার নোয়াখালীতে একটি চরের উন্নয়ন ঘটাচ্ছে। আলোচনায় দেশের গণতন্ত্রের প্রসঙ্গ উঠলে প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘আমরা ভবিষ্যতে দেশে গণতন্ত্রের বিকাশ চাই।’

উইনি এস্ট্রাপ বৈঠকে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে বাংলাদেশের চমকপ্রদ আর্থসামাজিক উন্নয়নের ভূয়সী প্রশংসা করেন। তিনি বলেন, ‘আমি আপনার গতিশীল নেতৃত্বে বাংলাদেশের আর্থসামাজিক উন্নয়নের বিশেষ করে নারীর ক্ষমতায়নের বিষয়ে জানতে পেরে আনন্দিত হয়েছি।’

দেশের উন্নয়নে সরকারের নিরন্তর প্রচেষ্টার উল্লেখ করে প্রধানমন্ত্রী বলেন, দেশে সরকারের ধারাবাহিকতা বজায় থাকায় এখন উন্নয়নগুলো দৃশ্যমান হচ্ছে। তিনি বলেন, ‘আমরা জনগণের খাদ্যনিরাপত্তাসহ মৌলিক চাহিদাগুলো নিশ্চিত করতে নিরন্তর প্রচেষ্টা অব্যাহত রেখেছি।’ শেখ হাসিনা এ সময় তাঁর সরকারের কৃষি, শিক্ষা, স্বাস্থ্য ও নারীর ক্ষমতায়নের উল্লেখযোগ্য সাফল্যগুলো তুলে ধরেন। তিনি বলেন, তাঁর সরকারের বিবিধ পদক্ষেপের কারণে দেশের নারী সমাজ এখন দেশের সব খাতে অত্যন্ত সফলতার সঙ্গে কাজ করছে।

প্রধানমন্ত্রীর মুখ্য সচিব মো. নজিবুর রহমান এ সময় উপস্থিত ছিলেন।