এক গ্রামে আওয়ামী লীগের দুই মনোনয়নপ্রত্যাশী

সামশুল হক চৌধুরী ও মোহাম্মদ নাছির
সামশুল হক চৌধুরী ও মোহাম্মদ নাছির

বর্তমান সাংসদ সামশুল হক চৌধুরী ২০০৮ সালে বিএনপির প্রার্থী গাজী মোহাম্মদ শাহজাহানকে হারিয়ে নির্বাচিত হন। ২০১৪ সালের নির্বাচনেও সাংসদ হন তিনি। এ সময় তাঁর প্রতিদ্বন্দ্বী ছিলেন জাতীয় পার্টির প্রার্থী সাবেক সাংসদ সিরাজুল ইসলাম চৌধুরী।

 এ আসন থেকে আওয়ামী লীগ থেকে আরও যাঁরা মনোনয়ন নিয়েছেন তাঁরা হলেন চট্টগ্রাম দক্ষিণ জেলা আওয়ামী লীগের সহসভাপতি মোতাহেরুল ইসলাম চৌধুরী, চট্টগ্রাম দক্ষিণ জেলা মহিলা আওয়ামী লীগের সভাপতি চেমন আরা তৈয়ব, কেন্দ্রীয় যুবলীগের সাংগঠনিক সম্পাদক বদিউল আলম, পটিয়া উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি আ ক ম সামশুজ্জামান চৌধুরী, চট্টগ্রাম দক্ষিণ জেলার কৃষিবিষয়ক সম্পাদক আবদুর রশিদ, চট্টগ্রাম দক্ষিণ জেলা আওয়ামী লীগের সদস্য সেলিম নবী ও সাংসদ সামশুল হক চৌধুরীর ছেলে নাজমুল করিম চৌধুরী।

মনোনয়নপ্রত্যাশীদের মধ্যে বর্তমান সাংসদ সামশুল হক চৌধুরী, বিজিএমইএর সহসভাপতি মোহাম্মদ নাছির, যুবলীগের সাংগঠনিক সম্পাদক বদিউল আলম ও মহিলা আওয়ামী লীগ নেত্রী চেমন আরা তৈয়ব নির্বাচনী মাঠে সরব হয়েছেন।

মনোনয়নপ্রত্যাশী মোহাম্মদ নাছির বলেন, ‘আমি মানুষের কল্যাণে এবং তৃণমূল আওয়ামী লীগের নেতা-কর্মীদের সঙ্গে নিয়ে পটিয়ায় আওয়ামী লীগকে শক্তিশালী করার লক্ষ্যে দীর্ঘদিন ধরে কাজ করে যাচ্ছি।’

বর্তমান সাংসদ সম্পর্কে নাছির বলেন, ‘বর্তমান সাংসদ তৃণমূলের অনেক নেতা-কর্মীদের নানাভাবে হয়রানি করছেন। সাংসদের সঙ্গে অনেক নেতা-কর্মীর সুসম্পর্ক নেই। তাই পটিয়ায় আওয়ামী লীগের একটি অংশ নৌকার মাঝির পরিবর্তন চায়। তৃণমূলের নেতা-কর্মীদের দাবির পরিপ্রেক্ষিতে আমি এ আসনে নৌকা প্রতীকে নির্বাচন করতে দলীয় মনোনয়ন চেয়েছি।’

তবে সাংসদ সামশুল হকের ঘনিষ্ঠজন বলে পরিচিত চট্টগ্রাম দক্ষিণ জেলা আওয়ামী লীগের সহসভাপতি মোতাহেরুল ইসলাম চৌধুরী বলেন, সাংসদের বিরুদ্ধে আনা এসব অভিযোগ সত্য নয়। এগুলো উদ্দেশ্যপ্রণোদিতভাবে বলা হচ্ছে। দলীয় মনোনয়ন পাওয়ার জন্য নাছির এসব অভিযোগ তুলছেন।

মোতাহেরুল ইসলাম চৌধুরী আরও বলেন, বিগত পাঁচ বছরে সাংসদ সামশুল হক এলাকায় ব্যাপক উন্নয়ন করেছেন। এলাকার মানুষ তাঁকেই দলের প্রার্থী হিসেবে চায়।

মনোনয়ন বিষয়ে তিনি বলেন, দলীয়ভাবে প্রার্থীর তালিকা এখনো চূড়ান্ত না হলেও কেন্দ্র থেকে সাংসদকে এলাকায় গিয়ে নির্বাচনী কাজ করার জন্য বলা হয়েছে। এ ব্যাপারে দলের শীর্ষ নেতারাও সবুজ সংকেত দিয়েছেন বর্তমান সাংসদকে।