রচনা প্রতিযোগিতায় বিজয়ী দৃষ্টিপ্রতিবন্ধী শিক্ষার্থীদের পুরস্কার বিতরণ

পবিত্র রবিউল আউয়াল মাস উপলক্ষে রচনা প্রতিযোগিতায় বিজয়ী শিক্ষার্থীদের হাতে পুরস্কার তুলে দেওয়া হয়েছে। অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন সংসদে বিরোধীদলীয় নেতা রওশন এরশাদ। লেক শোর হোটেল, ঢাকা, ২১ নভেম্বর। ছবি: প্রেস বিজ্ঞপ্তি
পবিত্র রবিউল আউয়াল মাস উপলক্ষে রচনা প্রতিযোগিতায় বিজয়ী শিক্ষার্থীদের হাতে পুরস্কার তুলে দেওয়া হয়েছে। অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন সংসদে বিরোধীদলীয় নেতা রওশন এরশাদ। লেক শোর হোটেল, ঢাকা, ২১ নভেম্বর। ছবি: প্রেস বিজ্ঞপ্তি

পবিত্র রবিউল আউয়াল মাস উপলক্ষে রচনা প্রতিযোগিতায় বিজয়ী শিক্ষার্থীদের হাতে পুরস্কার তুলে দেওয়া হয়েছে। গতকাল বুধবার রাজধানীর লেক শোর হোটেলে বিজয়ীদের হাতে পুরস্কার তুলে দেওয়া হয়। 

পবিত্র রবিউল আউয়াল মাস উপলক্ষে দৃষ্টিপ্রতিবন্ধী শিক্ষার্থীদের জন্য প্রতিযোগিতার আয়োজন করে ইনস্টিটিউট অব হজরত মুহাম্মদ (সা.)। দৃষ্টিপ্রতিবন্ধী প্রতিভাবান শিক্ষার্থীদের স্বীকৃতি প্রদান এবং বিভিন্ন ধর্ম ও সংস্কৃতির মানুষকে মহানবী (সা.)–এর শিক্ষা সম্পর্কে সচেতন করতেই এ আয়োজন করা হয়।
বিশ্বনবী হজরত মুহাম্মদ (সা.)–এর জন্ম ও ওফাত দিবস ১২ রবিউল আউয়াল। এই দিনকে পবিত্র ঈদে মিলাদুন্নবী (সা.) হিসেবে পালন করেন সারা বিশ্বের মুসলমানেরা।
দৃষ্টিপ্রতিবন্ধী প্রতিভাবান শিক্ষার্থীদের স্বীকৃতি প্রদান ও বিভিন্ন ধর্ম ও সংস্কৃতির মানুষকে মহানবী (সা.)–এর শিক্ষা সম্পর্কে সচেতন করতে আয়োজিত অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন সংসদে বিরোধীদলীয় নেতা রওশন এরশাদ। প্রিয় নবীর জন্মমাসে সমাজের সুবিধাবঞ্চিত অংশের প্রতিভাবানদের স্বীকৃতি দেওয়ায় ইনস্টিটিউট অব হজরত মুহাম্মদ (সা.)–এর প্রশংসা করেন তিনি। প্রতিবন্ধী শিক্ষার্থীরা যেন স্বাধীন ও মর্যাদাপূর্ণ জীবন যাপন করতে পারে, সে জন্য তাদের শিক্ষা ও কাজের সুযোগ সৃষ্টিতে সমাজের গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তিদের এগিয়ে আসার আহ্বান জানান ইনস্টিটিউটের প্রেসিডেন্ট লে. জে. (অব.) এম নুরুদ্দিন খান।
প্রতিযোগিতায় বিজয়ীদের স্মার্টফোন উপহার দেন সংযুক্ত আরব আমিরাতের রাষ্ট্রদূত সাইয়্যেদ মোহাম্মদ আল-মুহাইরি। অনুষ্ঠানে অন্যান্যের মধ্যে ওমানের চার্জ দ্য অ্যাফেয়ার্স তায়েব সালিম আবদুল্লাহ আল আলাউই, চট্টগ্রামের তুরস্কের অনারারি কনসাল জেনারেল সালাউদ্দিন কাসেম খান, জর্জিয়ার অনারারি কনসাল রিয়াদ মোহাম্মদ, সিসিলি প্রজাতন্ত্রের অনারারি কনসাল মো. আমিরুজ্জামান, অতিরিক্ত সচিব জালাল আহমেদ প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।
ইনস্টিটিউট অব হজরত মুহাম্মদ (সা.) একটি গবেষণা প্রতিষ্ঠান। আহমদ শাফি মাকসুদ ২০০৩ সালে এটি প্রতিষ্ঠা করেন। প্রতিষ্ঠার পর থেকে এই ইনস্টিটিউট শান্তির জন্য সংলাপ, প্রতিবন্ধী ও সংখ্যালঘুদের মানবাধিকার, জলবায়ু পরিবর্তনজনিত প্রভাব, টেকসই উন্নয়ন, ইসলামি অর্থব্যবস্থা, জাকাত ও ওয়াক্ফ নিয়ে কাজ করছে। বিজ্ঞপ্তি