'নির্বাচন হবে গোলাপ বিছানো পথে, যেখানে কাঁটা আছে'

আগামী নির্বাচন খুব ‘সহজ-সরলভাবে’ হবে না । যাঁরা মনে করছেন, এটি বকুল বিছানো পথে হবে, তা কিন্তু হবে না। এবার নির্বাচন হবে গোলাপ বিছানো পথে, যে গোলাপের মধ্যে অসংখ্য কাঁটা আছে। যে কাঁটাগুলো দেখা যায় না, কিন্তু হাত দিলে হাতে রক্ত ঝরে, পা ফেললে পায়ে রক্ত ঝরে। এ জন্য সাবধান ও সতর্ক হতে হবে।

গতকাল বৃহস্পতিবার রাজধানীর সিরডাপ মিলনায়তনে সম্প্রীতি বাংলাদেশ আয়োজিত ‘আসন্ন জাতীয় নির্বাচন: সম্প্রীতির বাংলাদেশ’ শীর্ষক এক সেমিনারে আলোচকেরা এসব কথা বলেন । তাঁরা জাতীয় ঐক্যফ্রন্টকে ‘সাম্প্রদায়িক জোট’ আখ্যায়িত করে তাদের ভোট না দেওয়ার আহ্বান জানান ।

জাতীয় ঐক্যফ্রন্টের প্রতি ইঙ্গিত করে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক উপাচার্য অধ্যাপক আ আ ম স আরেফিন সিদ্দিক বলেন, ‘জনগণকে সতর্ক করার প্রয়োজন আছে, কারা আজকে বঙ্গবন্ধুর কথা বলে । মুক্তিযুদ্ধের কথা বলে বঙ্গবন্ধুর হত্যাকারী, মুক্তিযুদ্ধের চেতনাবিরোধী শক্তির সঙ্গে মিলিত হয়েছে।’ 

জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক উপাচার্য অধ্যাপক আনোয়ার হোসেন বলেন, খালেদা জিয়া ও তারেক রহমানের অবর্তমানে বিএনপি রাজনৈতিক দৃষ্টিভঙ্গি পরিবর্তনের সুযোগ পেয়েও তা কাজে লাগায়নি । নেতৃত্বশূন্যতা পূরণে তারা ড. কামাল হোসেনসহ কিছু রাজনীতিককে ‘ভাড়া করে’ নিজেদের দলে ভিড়িয়েছে ।
ক্ষমতায় যাওয়ার জন্য যারা সাম্প্রদায়িক শক্তির সঙ্গে আঁতাত করেছে, তাদের চিহ্নিত করে বর্জন করার আহ্বান জানান সম্মিলিত সাংস্কৃতিক জোটের সভাপতি গোলাম কুদ্দুছ।
সভাপতির বক্তৃতায় সম্প্রীতি বাংলাদেশের আহ্বায়ক পীযূষ বন্দ্যোপাধ্যায় আওয়ামী লীগের নেতৃত্বাধীন ‘অসাম্প্রদায়িক শক্তিকে’ ভোট দেওয়ার আহ্বান জানান ।
সেমিনারে মূল প্রবন্ধ পাঠ করেন নিরাপত্তা বিশ্লেষক মেজর জেনারেল (অব.) এ কে মোহাম্মদ আলী শিকদার।

আলোচনায় আরও বক্তৃতা করেন সাংস্কৃতিক ব্যক্তিত্ব সৈয়দ হাসান ইমাম, বাংলাদেশ ব্যাংকের সাবেক ডেপুটি গভর্নর খোন্দকার ইব্রাহিম খালেদ, জাতীয় প্রেসক্লাবের সভাপতি মুহম্মদ শফিকুর রহমান, নারীনেত্রী রোকেয়া কবির, স্বাধীনতা চিকিৎসক পরিষদের যুগ্ম সম্পাদক উত্তম বড়ুয়া, সাবেক ছাত্রনেতা সুভাষ সিংহ রায় প্রমুখ। অনুষ্ঠান সঞ্চালনা করেন সংগঠনের সদস্যসচিব মামুন আল মাহতাব।