যশোর-৫ চান জেসমিন, গণভবনের সামনে সমর্থকদের স্লোগান

আগামী নির্বাচনে নিজেদের পছন্দের প্রার্থীকে সাংসদ হিসেবে দেখতে প্রধানমন্ত্রীর সরকারি বাসভবন গণভবনের সামনে ‘সংখ্যালঘু সম্প্রদায়’-এর ব্যানারে বিক্ষোভ করেছে যশোর-৫ (মনিরামপুর) আসনের কর্মী–সমর্থকেরা। মনিরামপুরের প্রয়াত আওয়ামী লীগ নেতা খান টিপু সুলতানের সহধর্মিণী জেসমিন আরাকে সাংসদ হিসেবে দেখতে এই বিক্ষোভ করেন তাঁর কর্মী–সমর্থকেরা।

আজ শুক্রবার দুপুরে গণভবনের সামনে আওয়ামী লীগের মনোনয়নপ্রত্যাশী জেসমিন আরার কর্মী-সমর্থকেরা গণভবনের সামনে বিক্ষোভ করেন। তারা যশোর-৫ (মনিরামপুর) আসনের বর্তমান সাংসদ স্বপন ভট্টাচার্যের বিরুদ্ধে স্লোগান দেন। একই সঙ্গে তারা স্বপন ভট্টাচার্যের বিরুদ্ধে সংখ্যালঘুদের ‘নির্যাতন’ করার অভিযোগ করেন। এ ছাড়া স্বপন ভট্টাচার্য বিএনপি-জামায়াতের ‘লোক’ বলেও তাদের অভিযোগ।

গণভবনের সামনে স্লোগান দিচ্ছেন আওয়ামী লীগের মনোনয়নপ্রত্যাশী জেসমিন আরার কর্মী-সমর্থকেরা। ছবি: আবদুস সালাম।
গণভবনের সামনে স্লোগান দিচ্ছেন আওয়ামী লীগের মনোনয়নপ্রত্যাশী জেসমিন আরার কর্মী-সমর্থকেরা। ছবি: আবদুস সালাম।

অভিযোগের বিষয়ে বর্তমান সাংসদ স্বপন ভট্টাচার্য প্রথম আলোকে বলেন, হিন্দু সম্প্রদায়ের লোক হয়ে আমি হিন্দুদের ওপর অত্যাচার কেন করব? নির্বাচন সামনে থাকায় প্রতিপক্ষ লোক ভাড়া করে আমার বিরুদ্ধে এটি করিয়েছে। তিনি বলেন, এলাকার জনগণের কাছে জিজ্ঞেস করলেই জানা যাবে—তারা কেমন আছে। গণভবনের সামনের বিক্ষোভ রাজনৈতিক উদ্দেশ্যপ্রণোদিত।

গণভবনের সামনে বিক্ষোভের বিষয়ে জেসমিন আরা প্রথম আলোকে বলেন, এলাকার লোকজন আসতেই পারে, তারা তাদের দাবি জায়গা মতো জানাতেই পারে। লোক ভাড়া করে এনে বিক্ষোভ করানো হচ্ছে, এ অভিযোগের বিষয়ে তিনি বলেন, এ অভিযোগটি মিথ্যা।

২০১৪ সালের ৫ জানুয়ারির নির্বাচনে যশোর-৫ (মনিরামপুর) আসনে নৌকা মার্কার প্রার্থী ছিলেন খান টিপু সুলতান। স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে কলস প্রতীক নিয়ে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেন আওয়ামী লীগের আরেক নেতা মনিরামপুর উপজেলার সাবেক চেয়ারম্যান স্বপন ভট্টাচার্য (বর্তমান সাংসদ)। ৫ জানুয়ারির নির্বাচনের আগে নাশকতার কারণে আসনটির ১২২টি কেন্দ্রের মধ্যে ৬০টি আসনে ভোট গ্রহণ স্থগিত করা হয়েছিল। পরে ১৬ জানুয়ারি স্থগিত হওয়া ভোটকেন্দ্র গুলোতে ভোট নেওয়া হয়। বিএনপি-জামায়াতের কর্মী-সমর্থকেরা স্বতন্ত্র প্রার্থীর পক্ষে সোচ্চার ছিলেন এবং টিপু সুলতান যেন কোনোভাবে জিততে না পারেন, সেটাই ছিল তাঁদের লক্ষ্য। এ কারণে ২০ হাজার ভোটের ব্যবধানে জয়ী হন স্বপন ভট্টাচার্য।

একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে মনিরামপুর আসনটিতে আওয়ামী লীগের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য পীযূষ কান্তি ভট্টাচার্য মনোনয়নপ্রত্যাশী। তিনি আসনটির বর্তমান সাংসদ স্বপন ভট্টাচার্যের বড় ভাই। আওয়ামী লীগের দলীয় সূত্র জানিয়েছে, এই আসনে এবার পীযূষ কান্তি ভট্টাচার্যের মনোনয়ন পাওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে।