প্রধান দুই দলেই বিভক্তি

 আওয়ামী লীগ

দলীয় মনোনয়ন ফরম সংগ্রহ করেছেন জেলা আওয়ামী লীগের সদস্য নজরুল ইসলাম, আওয়ামী লীগের সাবেক কেন্দ্রীয় নেতা মমতাজ হোসেন, কেন্দ্রীয় যুবলীগের তথ্য ও প্রযুক্তিবিষয়ক সম্পাদক এবং জেলা আওয়ামী লীগের যুগ্ম সম্পাদক ইকবাল পারভেজ ও মুজাহিদুর রহমান হিলু সরকার, জেলা আওয়ামী লীগের সহসভাপতি মিজানুর রহমান বাচ্চু।

দলের তৃণমূল নেতা-কর্মীদের মতে, যাঁরা দলের তৃণমূল নেতা-কর্মীদের মূল্যায়ন করবেন এবং ব্যক্তিস্বার্থের ঊর্ধ্বে উঠে দলের স্বার্থে কাজ করবেন—এমন প্রার্থীকেই মনোনয়ন দেওয়া উচিত।

নজরুল ইসলাম বলেন, ‘বিগত দিনে আমি আড়াইহাজারে স্কুল-কলেজ, মসজিদ, মাদ্রাসা, হাসপাতাল ও আশ্রয়ণ প্রকল্প করেছি। এলাকায় শতভাগ বিদ্যুৎ সরবরাহ নিশ্চিত করেছি। তাই দল আমাকেই আগামী নির্বাচনে মনোনয়ন দেবে।’ তিনি বলেন, অন্য যাঁরা দলের মনোনয়ন কিনেছেন, তাঁরা কোনো দিন এলাকায় আসেননি। তাঁরা জনগণ থেকে বিচ্ছিন্ন।

মমতাজ হোসেন বলেন, ‘দলের নেতা-কর্মীদের মূল্যায়ন করা হয়নি। দলের নেতা-কর্মীদের কোণঠাসা করা রাখা হয়েছে। এ কারণে দলের তৃণমূল নেতা–কর্মীরা সাংসদ নজরুলের প্রতি ক্ষুব্ধ। তাই আগামী নির্বাচনে দলের মনোনয়ন চাই। এলাকার লোকজন শান্তি চায়। দল মনোনয়ন দিলে আমি জয়ের ব্যাপারে আশাবাদী।’

ইকবাল পারভেজ বলেন, ‘আমি দীর্ঘদিন ধরে আড়াইহাজারে দলের জন্য কাজ করছি। সুখ-দুঃখে এলাকার মানুষের পাশে থেকেছি এবং দলের নেতা-কর্মীদের সংগঠিত করেছি। যার কারণে উপজেলা আওয়ামী লীগ, জেলা আওয়ামী লীগ ও অন্যান্য সহযোগী সংগঠনের সবাই আমার সঙ্গে একাত্মতা ঘোষণা করে আড়াইহাজারের পরিবর্তনের জন্য কাজ করে যাচ্ছে। যেখানে আমি গণসংযোগ করেছি, দলীয় সাবেক সাংসদসহ আওয়ামী লীগের জ্যেষ্ঠ নেতারাসহ হাজারো মানুষ স্বতঃস্ফূর্তভাবে অংশগ্রহণ করেছে। আমি দলের মনোনয়ন পাওয়ার ব্যাপারে শতভাগ আশাবাদী।’

 বিএনপি

দলীয় থেকে মনোনয়ন ফরম সংগ্রহ করেছেন আড়াইহাজার থানা বিএনপির সাবেক সভাপতি ও সাবেক সাংসদ জেলা কমিটির সদস্য আতাউর রহমান খান, বিএনপির কেন্দ্রীয় কমিটির ধর্মবিষয়ক সম্পাদক ও উপজেলা বিএনপির সভাপতি প্রয়াত বদরুজ্জামান খান খসরুর ছেলে উপজেলা বিএনপির ভারপ্রাপ্ত সভাপতি মাহবুবুর রহমান সুমন, বিএনপির কেন্দ্রীয় কমিটির সহ–আইনবিষয়ক সম্পাদক নজরুল ইসলাম আজাদ, জেলা ছাত্রদলের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি মোহাম্মদ উল্লাহ ।

দলের তৃণমূলের নেতা-কর্মীরা জানান, এই আসনে বিএনপিতে অভ্যন্তরীণ কোন্দল আছে। এখানে বিএনপির একটি অংশের নেতৃত্ব দেন আতাউর রহমান, অন্য অংশের নেতৃত্ব দেন তাঁর সৎভাই বদরুজ্জামান খসরুর ছেলে মাহমুদুর রহমান। আরেক অংশের নেতৃত্ব দেন নজরুল ইসলাম আজাদ। কিন্তু এই আসনে বিএনপির ভোটার বেশি। কোন্দল মিটলে আসনটি পুনরুদ্ধার করা সম্ভব বলে নেতা-কর্মীরা মনে করেন।

আতাউর রহমান খান বলেন, ‘ক্ষমতাসীনদের অত্যাচার, মিথ্যা মামলায় মানুষ অতিষ্ঠ। এবার দলের মনোয়নয়ন চেয়েছি। আমাকে মনোনয়ন দিলে এলাকার মানুষ ভোট দেওয়ার সুযোগ পেলে জয়ের ব্যাপারে আমি আশাবাদী।’ দলের কোন্দল প্রসঙ্গে তিনি বলেন, বিএনপি বড় দল। এখানে অনেকেই সাংসদ হওয়ার জন্য মনোনয়ন চাইতে পারেন। এটাকে কোন্দল বলা যাবে না।

মাহবুবুর রহমান বলেন, ‘আমি দলের মনোনয়নপ্রত্যাশী। আমার বাবা ৪০ বছর ধরে এই সংগঠনের সঙ্গে জড়িত ছিলেন। আমার এলাকার লোকজন আমাকে চায়। দল থেকে যদি মনোনয়ন দেওয়া হয়, আমি জয়ের ব্যাপারে শতভাগ আশাবাদী। তরুণ ভোটারদের সমর্থন পাব। আর দলে কোনো বিভক্তি নেই।’