হাওয়া ভবনের মিয়া নুর উদ্দিন আলোচনায়

শরীয়তপুর-৩ আসন থেকে মনোনয়ন চেয়ে আলোচনায় এসেছেন বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের একান্ত সচিব মিয়া নুর উদ্দিন অপু। হাওয়া ভবনের প্রভাবশালী এই কর্মকর্তাকে নিয়ে স্থানীয় বিএনপির মধ্যেই প্রতিক্রিয়া সৃষ্টি হয়েছে।

শরীয়তপুরের ভেদরগঞ্জ উপজেলার চারটি ইউনিয়ন, ডামুড্যার সাতটি, গোসাইরহাটের আটটিসহ এই তিন উপজেলার তিন পৌরসভা নিয়ে শরীয়তপুর-৩ আসন। এই আসনের বর্তমান সাংসদ আওয়ামী লীগের প্রয়াত নেতা আবদুর রাজ্জাকের ছেলে নাহিম রাজ্জাক। এবারও তিনি দলের মনোনয়নপ্রত্যাশী।

একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে শরীয়তপুর-৩ আসনে বিএনপির মনোনয়নপ্রত্যাশী পাঁচজন। তাঁরা হলেন মিয়া নুর উদ্দিন, জেলা বিএনপির সাংগঠনিক সম্পাদক সাঈদ আহম্মেদ আসলাম, জেলা মহিলা দলের আহ্বায়ক আল আসমাউল হুসনা, বিএনপির কেন্দ্রীয় নির্বাহী কমিটির সদস্য তাহমিনা আওরঙ্গ এবং বিএনপির কেন্দ্রীয় তথ্য ও প্রযুক্তি সহসম্পাদক আফজাল হোসেন।

নাম প্রকাশ না করার শর্তে গোসাইরহাট ও ডামুড্যা উপজেলা বিএনপির কয়েকজন নেতা বলেন, মিয়া নুর উদ্দিন হাওয়া ভবনের প্রভাবশালী কর্মকর্তা ছিলেন। তিনি কখনো এলাকায় রাজনীতি করেননি। সব মিলিয়ে তাঁর নির্বাচন করার ঘোষণায় ভোটার ও দলীয় সমর্থকেরা সন্তুষ্ট হতে পারেননি।

>জাতীয় সংসদ নির্বাচনে শরীয়তপুর-৩ আসনে বিএনপির পাঁচ মনোনয়নপ্রত্যাশীর মধ্যে একজন মিয়া নুর।

তবে মিয়া নুর উদ্দিনের সমর্থক জেলা যুবদলের আহ্বায়ক জামাল উদ্দিন বলেন, ‘মিয়া নুর উদ্দিন আমাদের নেতা তারেক রহমানের অত্যন্ত ঘনিষ্ঠ। তিনি মনোনয়ন পাচ্ছেন এটা প্রায় নিশ্চিত। সরকারের নানা ষড়যন্ত্রের কারণে তিনি এলাকায় নিয়মিত রাজনৈতিক কর্মকাণ্ড চালাতে পারেননি।’

আওয়ামী লীগের মনোনয়নপ্রত্যাশী ও বর্তমান সাংসদ নাহিম রাজ্জাক বলেন, ‘নির্বাচনে বিএনপির প্রার্থী হিসেবে হাওয়া ভবনের ও তারেক রহমানের স্টাফ নুর উদ্দিন অপুর নাম শোনা যাচ্ছে। তাঁদের অবৈধ প্রভাব ও কূটকৌশল সম্পর্কে মানুষ সচেতন আছে। এমন একজন বিতর্কিত মানুষকে মনোনয়ন দেওয়া ঠিক হবে না।’

এ ব্যাপারে কথা বলতে মিয়া নুর উদ্দিনের মুঠোফোনে যোগাযোগের চেষ্টা করা হয়। কিন্তু তিনি ফোন ধরেননি।

এদিকে নাহিম রাজ্জাক ছাড়াও শরীয়তপুর-৩ আসন থেকে আওয়ামী লীগের আরও কয়েকজন মনোনয়নপ্রত্যাশী রয়েছেন। তাঁরা হলেন ছাত্রলীগের সাবেক সভাপতি বাহাদুর ব্যাপারী, জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান ও জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি সাবেদুর রহমান খোকা সিকদার, সাধারণ সম্পাদক অনল কুমার দে, যুব মহিলা লীগের কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য নাজনীন আক্তার।